শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৬
কতোটা অমানবিক…বিস্কুটের বাক্সে ভরে বাচ্চা পাচার!
Home Page » এক্সক্লুসিভ » কতোটা অমানবিক…বিস্কুটের বাক্সে ভরে বাচ্চা পাচার!বঙ্গ নিউজঃ বাচ্চা চুরি বা পাচারের অনেক গল্পই আমাদের জানা। তাই বলে বিস্কুটের ছোট্ট বাক্সে ভরে বাচ্চা পাচার। এমনই অমানবিক উপায়ে বাচ্চা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। ইতোমধ্যে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে এই চক্রের ১৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
অমানবিক পদ্ধতিতে বাচ্চা পাচারের এই গ্রুপটির সন্ধান পায় পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি পুলিশ। উত্তর চব্বিশ পরগণার বাদুড়িয়াতে প্রথম এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সি আই ডি বলছে, ‘ছোট ছোট বিস্কুটের বাক্সে কোনমতে ভরে তিনটি নবজাতককে পাচার করার সময় হাতেনাতে ধরা হয়েছে। বাদুড়িয়ার একটি নার্সিং হোম থেকে চক্রটি বাচ্চা পাচারের পরিকল্পনা করেছিল।’
পুলিশের তাৎক্ষণিক অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় ওই নার্সিং হোমের মালিক, সংশ্লিষ্ট নার্স, ওখানকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রধান এবং একজন আদালত কর্মীকে। এর মধ্যে খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন একজন চিকিৎসক। আটককৃতদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত তিন বছরে তারা এই উপায়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ত্রিশটি শিশুকে পাচার করেছেন। পাচার করা হয়েছে বিদেশেও।
আটককৃতদের বক্তব্যের জের ধরে বিগত তিনদিনে কলকাতা ও দক্ষিণ পশ্চিম কলকাতার বিভিন্ন নার্সিং হোমে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবারও দুজনকে আটক করা হয়েছে। সিআইডি বলছে, অনেক সময় মাকে জানানো হতো আপনি মৃত সন্তান প্রসব করেছেন। এরপর জীবিত সন্তান বদলে মৃত শিশু তুলে দেয়া হতো পরিবারের হাতে।
জানা গেছে, এইসব নাসিং হোমে গর্ভপাত করতে আসা মেয়েদের বুঝিয়ে সন্তান ধারণ করতে বলা হতো। এরপর টাকা বিনিময়ে রেখে দেয়া হতো ওই শিশুকে। ছেলে আর মেয়ে শিশুভেদে দাম পড়তো এক লাখ থেকে তিন লাখ টাকা। শিশু দত্তক নেয়ার বাহানায় অপরাধীরা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও খোলে। গরীব এবং যেসব গর্ভবতী মায়ের দেখভালের লোকবল কম তাদেরই টার্গেট করা হতো।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৩২:৫১ ৩৯৪ বার পঠিত