মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০১৬
হিলারিকে নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস
Home Page » প্রথমপাতা » হিলারিকে নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাসবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ
সোহা্নুর রহমান সোহানঃ
সালিস সিগেল, (৯৬)মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আজ লাখো নারী এমন কিছু করবেন, যা এর আগে করার কখনোই সুযোগ পাননি তারা। ভোটাধিকার পাওয়ার পর এই প্রথম তারা প্রেসিডেন্ট পদে কোনো নারী প্রার্থীকে ভোট দেবেন।
১৯২০ সালের ১৮ আগস্টের আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের কোনো ভোটাধিকার ছিল না। মার্কিন সংবিধানের ১৯তম সংশোধনী পাস হওয়ার পর নারীরা ভোটাধিকার অর্জন করেন। রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তাই নারী প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৯৬ বছর। তাদেরই একজন এসটেল শুলৎ?জ। বয়স ৯৮ বছর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি একজন শ্রমিক, পরবর্তী সময় প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। প্রথমবার তিনি শিশু বয়সে মায়ের হাত ধরে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন।
এসটেল এখন হৃদ?রোগী। থাকছেন সেবাসদনে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে একজন নারীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে আমি আরও বাঁচতে চাই।’
গত অক্টোবরেই এসটেল তার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন। বলেন, তিনি বুঝতে পারছেন পরিস্থিতি কতটা হৃদয়স্পর্শী হতে পারে। তাই তিনি তার নাতনি সারাহ বুইনিন বেনরকে তার পোস্টাল ব্যালটসহ একটি ছবি ফেসবুকে দিতে বলেন। কারণ, তিনি কম্পিউটার চালাতে পারেন না।
এই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার পর শত শত লাইক পড়ে। অনেকে সারাহ ও তার পরিবারকে এ ধরনের আরও ঘটনা খুঁজতে বলেন। এরপরই সারাহ ও তার দুই বন্ধু মিলে ‘আই ওয়েটেড নাইনটি সিক্স ইয়ারস’ নামে একটি ওয়েবসাইট খোলেন। সেখানে দাদির ছবিটি পোস্ট করা হয়। কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে এক হাজার ৬০০ লাইক পড়ে। আর নারীর ভোটাধিকার যুগের আগে জন্ম নেয়া নারীদের মন্তব্যে ভরে যায়। তারা সবাই হিলারি ক্লিনটনের সমর্থক।
অনেকের আবার বয়স এতটাই যে নারীদের ভোটাধিকার পাওয়ার বিষয়টি তাদের মনে নেই। ম্যাসাচুসেটসের ১০৩ বছর বয়সী জুলিয়েট বার্নস্তেইনেইর জন্ম ১৯১৩ সালে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে, নারীরা ভোটাধিকার পাওয়ার পর প্রথম যেবার নারীরা ভোট দিতে গেলেন, সেবার মায়ের সঙ্গে ঘোড়ায় চড়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলাম।’
শিকাগোর ৯৮ বছর বয়সী বেতরাইস লাম্পকিন বলেন, ‘যেসব নারী প্রথম তাদের চুল ছোট করেন এবং লম্বা স্কার্ট থেকে ছোট স্কার্ট পরতে শুরু করেন, তাদের মধ্যে একজন আমার মা।’
অনেকে জীবনে প্রথমবারের মতো নারী প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়ে দারুণ খুশি। ৯৮ বছর বয়সী অ্যাঙ্গেলা এসতেলা গারাভেলি অ্যাসতর আগাম ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু ফলাফল দেখে যাওয়ার আগে গত ২১ অক্টোবর মারা যান তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘যদি আরও একবার ভোট দেয়ার সুযোগ পেতেন, তাহলে একজন নারীকে দিতেন।’
এই ওয়েবসাইটটির চেষ্টা বিফলে যায়নি। গত অক্টোবরে হিলারি ব্যক্তিগত এক চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘একটি বড় দল থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম নারী প্রার্থী হতে পারায় আমিও অভিভূত!’
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১৬:৪১ ৩৬৭ বার পঠিত