মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০১৬
বিচারকদের আচরণবিধি নিয়ে আদালতের অসন্তোষ
Home Page » প্রথমপাতা » বিচারকদের আচরণবিধি নিয়ে আদালতের অসন্তোষবঙ্গ-নিউজঃ নিম্ন আদালতের বিচারকদের আচরণবিধি (কোড অব কনডাক্ট) চূড়ান্ত না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আপিল বিভাগ।
এ ব্যাপারে সময় চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি অস্পষ্ট জানিয়ে আদালত শেষবারের মতো আগামী ২৪ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছে। এ সময়ের মধ্যে আচরণবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করে তা আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে ৯ সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালত বলেছে, ‘এটাই শেষ সময়। এ বিষয়ে আর কোনো সময় দেয়া হবে না।’
গতকাল সকালে চাকরির আচরণবিধিমালা প্রণয়নের কাজ কতদূর এগিয়েছে সে বিষয়ে একটি এফডিভেট দাখিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তাতে বলা হয়, চাকরির আচরণবিধির খসড়া রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কবে পাঠানো হয়েছে তা এতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ ছিল না।
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে আপিল বিভাগ বলে, ‘আপনাদের এ আবেদন অস্পষ্ট।’ এরপর আবেদনে আচরণবিধি প্রণয়নের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আট সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়।
এ পর্যায়ে আপিল বিভাগ বলে, ‘আট সপ্তাহ কেন আট দিনও সময় দেব না। আপনারা বারবার সময় আবেদন করছেন। আপনারা যদি ভেবে থাকেন রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলেই তা মঞ্জুর করব- এটা দুর্ভাগ্যজনক।’
পরে আদালত ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করে। এ পর্যায়ের অ্যাটর্নি জেনারেল আরও চার দিন সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান। তবে সে আবেদনও নাকচ হয়ে যায়।
মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়।
ওই রায়ে আপিল বিভাগ বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্থী ও বাতিল ঘোষণা করে। একই সঙ্গে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়া নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আদালতে দাখিল করা হয়।
সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী বলে গত ২৮ আগস্ট শুনানিতে জানায় আপিল বিভাগ।
এরপর ওই খসড়া সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্ট আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেই সঙ্গে ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা চূড়ান্ত করে প্রতিবেদন আকারে আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয় আইন মন্ত্রণালয়কে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:০৭:৩৫ ৪২৩ বার পঠিত