শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০১৬
স্কুলছাত্রীকে ক্লাসে ঢুকে ৩ যুবকের মরধর, কাউন্সিলরের মীমাংসা
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » স্কুলছাত্রীকে ক্লাসে ঢুকে ৩ যুবকের মরধর, কাউন্সিলরের মীমাংসাবঙ্গ-নিউজঃ ঠাকুরগাঁও শহরের সিএম আইয়ুব উচ্চ বিদ্যালয়ে অপরিচিত এক নারীসহ তিন যুবক ১০ম শ্রেণির কক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ মিলেছে।
এ ঘটনার খবর জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ওই বিদ্যালয়ে ক্লাসের বিরতিতে পরবর্তী ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করছিল ছাত্রীরা। এ সময় একজন নারী ও তিনজন যুবক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষে ঢুকে হরিজন সম্প্রদায়ের একজন ছাত্রীকে মারধর করে ও তার স্কুলব্যাগ তল্লাশি করে।
তল্লাশির সময় ওই ছাত্রীর ব্যাগে একটি মোবাইল সেট পেয়ে তারা বলে, এ ছাত্রী মোবাইল চোর। এ কথা বলেই তারা ওই ছাত্রীকে মারধর শুরু করেন।
হরিজন সম্প্রদায়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ট সর্ম্পক আছে। সে কারণে ওই সহপাঠীর বাড়িতে আমি প্রায় যাতায়াত করছিলাম এমন কি গতকাল বিদ্যালয় শুরুর আগে আমি ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সহপাঠীর বাড়িতে গেলে ও ছাড়া অন্য কেউ আমার সঙ্গে কথা বলতো না।
তার দাবি, আমাদের দুই বান্ধবীর সর্ম্পক যাতে না থাকে সে জন্যই ওই বান্ধবীর নানী ও মামা গতকাল এ ঘটনা ঘটায়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপেন্দ্রাথ ঝা বলেন, ঘটনার সময় ১০ম শ্রেণির ছাত্রীরা শিক্ষকদের খবর দেন। পরে শিক্ষকরা কক্ষ থেকে বের হয়ে দেখি একজন নারী ও তিন জন যুবক ওই ছাত্রীকে ঘিরে রেখেছে। এ সময় সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। কিন্তু ছাত্রীর নাক মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা গেছে।
ওই সহপাঠীর নানী বলেন, বিদ্যালয় শুরুর আগে এ মেয়েটি তার মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। এরপর থেকে বাড়ির একটি মোবাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বাড়ির লোকজন সন্দেহ করছিল মোবইলটি এ মেয়েটি নিয়ে গেছে। তা যাচাই করতেই আমরা বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম এবং ছাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে মোবাইলটি পাওয়া যায়। তাই এ ঘটনা ঘটে।
সদর থানার এসআই আবু হানিফ মন্ডল বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ওই সহপাঠীর নানীকে আটক করা হয় আর যুবকরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়ালিউর রহমান ঘটনাটির সমঝোতার উদ্যোগ নেন। পরে তিনি দুপক্ষকে নিয়ে বসে মীমাংসা করে দেন।
এ ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
এ ব্যাপারে ছাত্রীর বাবা বলেন, কাউন্সিলরসহ অন্যরা তাকে অনুরোধ করায় সমঝোতা করতে বাধ্য হন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ বলেন, স্কুলে ঢুকে ছাত্রীকে মারধরের ঘটনাটি ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৬:২৭ ৪৪০ বার পঠিত