বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০১৬
১০ টাকার চাল বিতরণে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী
Home Page » জাতীয় » ১০ টাকার চাল বিতরণে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গ-নিউজঃ জাতীয় সংসদে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে অনিয়ম পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যাদের কিনে খাওয়ার সামর্থ্য আছে, তারা এটা পাবে না। আর যাদের খাদ্য কেনার মতো সামর্থ্য নেই, তাদের তালিকাভুক্ত করতে হবে। তালিকা তৈরিতে যদি কেউ অনিয়ম করে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মীর শওকত আলী বাদশার এ সংক্রান্ত এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১০ টাকার চাল বিতরণে কাজে যারা ডিলার আছেন, তারা যদি অনিয়ম করেন, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করে দেওয়া হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যদি কোনও অনিয়ম করেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে বাদশা তার নির্বাচনি এলাকা বাগেরহাটে কিছু ক্ষেত্রে তালিকা তৈরিতে অনিয়ম হয়েছে বলে দাবি করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী তালিকাগুলো সঠিক ও যথাযথ হয়েছে কিনা জনপ্রতিনিধিদের পরীক্ষা করে দেখার পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে কোনও অনিয়ম হলে তা খতিয়ে দেখতে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্ন-উত্তরে প্রথম ৩০ মিনিট প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে সামাজিক শক্তির উদ্যোগে মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন আনতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. আবদুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেবল অস্ত্র দিয়ে আজকের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে না। এ জন্য সব সামাজিক শক্তির উদ্যোগে মানিবক চেতনা জাগরিত করে মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন আনতে হবে।’
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার পর্যায়ক্রমে দেশের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ক্যাথ ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জেলা সদর হাসপাতালে পর্যায়ক্রমে করোনারি কেয়ার ইউনিট এবং সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ চালু করা হবে।’
মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৫ সালে চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২০ সালের মধ্যে এই হার ৮ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। একই সময়ের মধ্যে রফতানি আয় ৩০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, আমদানি ৪০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ২৩ হাজার মেগাওয়াট এবং বিদ্যুৎ এলাকার বিস্তৃতি ৯৬ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এ ছাড়া বেসরবকারি বিনিয়োগের জন্য ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।’
ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারে মন্দার পরও বাংলাদেশের রফতানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করা হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল।’
মামুনুর রশিদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ৭ বছরের বেশি বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের হার ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ। হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা হলে এর হার ৭০ শতাংশের বেশি হবে।’
আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পায়রা সমুদ্র বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কাজ ২০১৩ সাল নাগাদ শেষ হবে। তবে তিনটি জেটি নির্মাণের কাজ ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হবে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৯:৩৪ ৩১৬ বার পঠিত