বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০১৬
কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তা প্রাচীর না থাকায় আইজি প্রিজনের অসন্তোষ
Home Page » জাতীয় » কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তা প্রাচীর না থাকায় আইজি প্রিজনের অসন্তোষবঙ্গ-নিউজঃ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন
কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চারদিকে নিরাপত্তা প্রাচীর না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে তার এই অসন্তোষের কথা জানান। বর্তমানে কারাগারের সেল ঘেষে একটি প্রাচীর আছে। তবে কারাগারের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির চারপাশে একটি নিরাপত্তা দেয়াল করার কথা রয়েছে। কারাগার নির্মাণের আগেই সেটা নির্মাণের কথা ছিল। পিডব্লিউডি এতদিনেও সেই দেয়াল নির্মাণ না করায় কারা মহাপরিদর্শকের এই অসন্তোষ।
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ‘কারাগার নির্মাণের আগে নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু পিডব্লিউডি সেটা না করেই কারাগার নির্মাণ করেছে। নিরাপত্তা প্রাচীর না থাকায় কারাগারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই দ্রুত নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ করা জরুরি। বিশেষ করে পূর্ব দিকের নিরাপত্তা প্রাচীর বেশী গুরুত্বপূর্ণ।’
নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণের জন্য পিডব্লিউডি-কে তাগাদা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি তাদের জানানোর পর তারা কাজ শুরুর চেষ্টা করেছে। তবে তারা এলাকাবাসীর বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানিয়েছে।’
রাস্তা নির্মাণের কথা বলে এলাকাবাসীর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। তাই তারা নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ করতে দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কারারক্ষীরা।
বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতার কারণে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের এখানে রাখা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
কারা মহাপরিদর্শক জানান, ‘কেন্দ্রীয় কারাগারটি নাজিম উদ্দিন রোডে থাকার সময় বেশীর ভাগ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে রাখা হতো কাশিমপুরে। দু’একজনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হতো। বর্তমানে এখানে ওই রকম কোনও বন্দি নেই। কারণ, এখানে নিরাপত্তার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।’
এটি একটি দৃষ্টিগোচর স্থাপনা। মহাসড়কের পাশে বাউন্ডারি ওয়াল নেই। নিরাপত্তারক্ষীও অনেক কম। তাই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের এখানে রাখা হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন আইজি প্রিজন।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন বলেন, ‘কারাগারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প মন্থর গতিতে চলছে। যেমন দর্শনার্থীদের সাক্ষাতের স্থান তৈরি ও রান্নাঘরের চুলা নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখনও করা হয়নি। আমি মনে করি, পিডব্লিউডি-এর সুপারভিশনের ঘাটতি রয়েছে।’
বর্তমান কারাগারে বন্দিরা আরামে থাকতে পারছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বন্দিদের জীবন-যাপন চরম দুর্দশার ছিল। সেটা থেকে অনেক উত্তরণ হয়েছে। তবে আমরা আত্মতৃপ্ত নই। খাবার সরবরাহে এখনও সমস্যা হচ্ছে। আমি মনে করি,এখানে আসায় বন্দিদের ৬৫ ভাগ কষ্ট লাঘব হয়েছে।’
বন্দিদের মনিটরিং এর জন্য কারারক্ষীর সংখ্যা কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সাড়ে ৭ হাজার বন্দির জন্য মাত্র ৭০০ কারারক্ষী রয়েছে। মাত্র দুজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা আছে, যা যথেষ্ট না। সুপারভিশনের জন্য অন্তত ২০ জন কর্মকর্তা থাকা দরকার।’
বাংলাদেশ সময়: ৮:৪৮:৫৫ ৩২০ বার পঠিত