বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০১৬
সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে’
Home Page » জাতীয় » সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে’
বঙ্গ-নিউজঃ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ
সরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অনেক কেন্দ্র তাৎক্ষণিক বন্ধ করতে হয়। গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের স্বল্পতা ও কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে।’ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সোহরাব উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।
প্রশ্ন-উত্তরের আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল পাঁচটার পর সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্ন-উত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
জাসদের এ কে এম রেজাউল হক তানসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে গ্যাসের মজুদ, চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে চাহিদা মেটানোর জন্য আগামীতে উচ্চমূল্যে এলএনজি গ্যাস আমদানি করতে হবে। তাই সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এ জন্য বর্তমান সরকার যানবাহনে সিএনজি গ্যাসের ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছে।’
সরকারি দলের গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে নওগাঁর বদলগাছিতে কয়লা অনুসন্ধানের জন্য একটি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।’
সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাজী রোজীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে ১০ হাজার ৩৮ মেগাওয়াট বেড়ে বিদ্যুতের উৎপাদন ১৪ হাজার ৯৮০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে ৭৬ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আছে। ২০২১ সাল নাগাদ দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা যাবে।’
আওয়ামী লীগের কামরুল আশরাফ খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিতাস গ্যাসের অধিভুক্ত এলাকায় ৩৭টি অভিযানের মাধ্যমে ৪৬ কিলোমিটার অবৈধ বিতরণ লাইন এবং ২৬ হাজার ৯৮৩টি বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।’
মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান বাড়ায় গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে। বর্তমানে দৈনিক ৩ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ২ হাজার ৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলিত হচ্ছে। তবে সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ৫৯টি অনুসন্ধান কূপ খনন ও ৩৭টি উন্নয়ন কূপ খনন করবে। এ ছাড়া ২৩টি পুরনো কূপের ওয়ার্কওভার করা হবে। সেক্ষেত্রে গ্যাসের দৈনিক উৎপাদন ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাবে।’
লায়লা আরজুমান বানুর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহে ঘাটতি থাকায় গ্যাসের পাইপলাইন সম্প্রসারণ ও নতুন সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। বাসা-বাড়ি বা আবাসিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে সরকারের কোনও পরিকল্পনা নেই।’
গোলাম রাব্বানীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি খাতে ৩ হাজার ১১ মেগাওয়াট ক্ষমতার পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ওরিয়ন গ্রুপ ও এস আলম গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। কেন্দ্রগুলো ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রগুলো চালু হবে। এ ছাড়া মহেশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য মালয়েশিয়া, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতা সই হয়েছে। জাইকার সহায়তায় মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।’
সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ‘২০১১ থেকে এ পর্যন্ত ৪৬টি প্রতিষ্ঠানকে এলপিজি বটলিং প্লান্ট নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ সময়: ৮:৪৫:১৫ ৩৫১ বার পঠিত