মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০১৬

আফগানিস্তানে আবারও তালেবান হামলা, দখলে কুন্দুস নগরী

Home Page » প্রথমপাতা » আফগানিস্তানে আবারও তালেবান হামলা, দখলে কুন্দুস নগরী
মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০১৬



113.jpgবঙ্গ-নিউজঃ আফগানিস্তানের কুন্দুস নগরে হামলা চালিয়েছে তালেবানরা। নগরীর অন্তত চারটি স্থানে হামলা চালায় তারা।

কুন্দুসের থাণ্ডার পুলিশ জোনের শিয়ার আলি কামাল বলেন, সোমবার মধ্যরাতে এই হামলা শুরু হয় এবং তা এখনও চলছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্ব শক্তি দিয়ে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করছি।’

কুন্দুসের আকাশে সেনা হেলিকপ্টার উড়তে দেখা যাচ্ছে, শুনতে পাওয়া যাচ্ছে গোলাগুলির আওয়াজ।

তালেবান যোদ্ধারা কুন্দুস নগরীর কেন্দ্রীয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে সেখানে নিজেদের পতাকা উত্তোলন করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ও পুলিশ জানায়, তালেবানরা গভর্নরের সীমানায় ও পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালালে অনেককেই বিমানবন্দরের দিকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।

ব্রাসেলসে এক আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সম্মেলনের একদিন আগে এই হামলা আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালেবানদের আক্রমণের সক্ষমতা সম্পর্কেো নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।

এক বছর আগেও কুন্দুস নগরী তালেবানদের দখলে ছিলো। এখন সেখানে তীব্র যুদ্ধ চলছে। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ আগেই টুইটার পোস্টে এই হামলার বিষয়ে ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, নওয়াবাদ এলাকায় চারটি চেকপয়েন্ট দখল করে নেওয়া হয়েছে, সে সময় বেশ কিছু যোদ্ধা নিহত হওয়ার কথাও জানান তিনি। তবে এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানান, তিনি অন্তত পাঁচ তালেবান যোদ্ধাকে একে-৪৭ জাতীয় বন্দুক নিয়ে নগরীতে টহল দিতে দেখেছেন।

এই পরিস্থিতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সকল পক্ষের প্রতি নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গণমাধ্যম ও মানবিক সংস্থাগুলোর প্রতি বিশেষভাবে এই আহ্বান রাখে অ্যামনেস্টি।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘সন্দেহাতীতভাবেই নাগরিকদের বিপন্ন করছে এই হামলা। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তালেবানরা নাগরিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে এবং জীবনের অধিকার লঙ্ঘন করছে।’

তালেবানরা নাওয়া জেলায় এক পুলিশ প্রধানকে হত্যা করেছে বলেও জানা গেছে। একে তাদের শক্তি প্রদর্শনের পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। পুরো দেশটির এক তৃতীয়াংশের ওপরও সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ অবশিষ্ট আছে কিনা সন্দেহ।

তবে তালেবানদের হামলার বিষয়টি আফগান সরকার দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে দরাদরির হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই ধারণা এই উছিলায় আরও বেশি তহবিল দাবি করতে পারে আফগানিস্তান।

বাংলাদেশ সময়: ৯:৩৬:০০   ৪১৪ বার পঠিত