শনিবার, ১ অক্টোবর ২০১৬

ভালোবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী

Home Page » জাতীয় » ভালোবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী
শনিবার, ১ অক্টোবর ২০১৬



1.pngবঙ্গ-নিউজঃ  উড়ি হামলার ১১ দিন পর গভীর রাতে অন্ধকারে ভারতীয় সেনারা তাদের প্রথম অভিযান চালায়। নিঃশব্দে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে ভারতীয় সেনারা অপরিসীম দক্ষতায় নিখুঁত অভিযান চালায়। নিখুঁত দক্ষতায় রাতের অন্ধকারেই অভিযান শেষ করে ফিরে আসে ভারতীয় সেনাদের স্পেশ্যাল ফোর্স। সফল এই অভিযানের নাম দেয়া হয় অপারেশন ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’।

ভারতের এই হামলায় ৩৫-৪০ জন সন্ত্রাসী ও নয় পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে। পাকিস্তান অবশ্য দাবি করেছে, এই অভিযানের ঘটনা পুরোপুরি বানোয়াট। সীমান্তে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে মারা গেছে দুই পাকিস্তানি সেনা।

ভারতীয় সেনাদের এ অভিযানের পর হঠাৎ করেই গণমাধ্যমে উঠে এসেছে একটি শব্দ- ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’। গণমাধ্যম থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সেখান থেকে সবার মুখে মুখে এই শব্দটি।

নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ভেতর ঢুকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর খবরটা গণমাধ্যমে আসার পর উপমহাদেশে শুরু হয়েছে টানটান উত্তেজনা। পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী দুই দেশের যুদ্ধ কি তাহলে লেগেই যাচ্ছে?

আসলেই কী এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক? ভারতের আন্দবাজার পত্রিকায় বর্ণনা করা হয়েছে এ সম্পর্কে।

‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ কোনও যুদ্ধ নয়। এমনকি কোনও ছায়া-যুদ্ধও নয়। অথবা একটাকে যুদ্ধের মহড়াও বলা যায় না। শব্দটা সাধারণ মানুষের কাছ নতুন লাগতে পারে। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীকেই এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালাতে হয়েছে।

কোনও দেশের সেনাবাহিনী এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নামের হানাদারি চালায়, অতর্কিতে। কোনও প্রাক-ঘোষণা ছাড়াই। দেশের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক দীর্ঘদিনের কোনও সমস্যা মেটাতেও এটা চালাতে হয়।

অভ্যন্তরীণ শত্রু, সংস্থা বা সংগঠন হোক কিংবা বহিরাগত- ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ সব সময়েই হঠাৎ করা হয়। আগেভাগে তার খবর ঘোষণা করা হয় না। খুব অল্প সময়ে, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে শত্রুদের গোপন ডেরা বা সুড়ঙ্গ বা কোনও দুর্গম, দুর্ভেদ্য ঘাঁটির ওপরে চালানো হয় এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’।

ওই হানাদারি চালিয়ে শত্রুদের ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে-উড়িয়ে দিয়ে আসার পর সেনাবাহিনী আর সেই এলাকায় মোতায়েন থাকে না বা সেই এলাকা দখল করে বসে থাকে না। হানাদারির উদ্দেশ্য সফল হলেই সেনাবাহিনী আবার দেশে বা তার আগের অবস্থানে ফিরে আসে।

‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়ে সেনাবাহিনী শত্রুদের আটক বা গ্রেপ্তার করে না। তাদের একেবারে ধ্বংস করে দেয়। তুমুল গোলাবর্ষণে তাদের ঘাঁটিগুলি মাটিতে মিশিয়ে দেয়। এমন হানাদারিতে সবটাই সেনাবাহিনী করে প্রায় আলোর গতিতে।

‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে। যে দেশের সেনাবাহিনীই এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালাক, তাদের নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খুব সামান্য রাখতে হয়। এমনকি, যে এলাকায় গিয়ে সেনাবাহিনী হামলা চালাচ্ছে, সেই এলাকার পরিধি যাতে খুব বেশি না বেড়ে বা ছড়িয়ে যায় বা যারা ‘টার্গেট’, তাদের ছাড়া যেন অন্য কেউ সেনাবাহিনীর ওই ‘স্ট্রাইকে’ না মারা যায় বা জখম হয়, সে দিকেও সেনাবাহিনীকে কড়া নজর রাখতে হয়।

সে জন্যই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করতে হয় প্রায় আলোর গতিতে। আচমকা, চোখের পলক পড়ার আগেই।

‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করার জন্য সেনাবাহিনীর কোনও সবিস্তার পরিকল্পনা বা দফাওয়ারি বৈঠকেরও প্রয়োজন হয় না। সেনাবাহিনীর গুটিকয়েক সংশ্লিষ্ট কর্তার চটজলদি বৈঠকের পরেই দুম করে শুরু হয়ে যায় এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’। আর মাছ নয়, তির ছোঁড়ার আগে ‘মাছের চোখ’ দেখার মতোই নিশানাকে নির্ভুলভাবে বেছে নিতে হয়।

এখানে ‘এটা না হলে, ওটা’ বা ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর মেথড’ খাটে না। একটাই নিশানা হবে, আর সেটাকেই নির্ভুল হতে হবে। আর একেবারে একশো ভাগ নিশ্চিত হয়েই সেই নির্ভুল নিশানায় আঘাত হানতে হবে। এটাই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র মূল মন্ত্র।

ভারত অতর্কিতভাবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে যে হামলা চালিয়েছে তাতে অন্তত সাতটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। সেই হামলার ভিডিও ফুটেজও আছে বলেও দাবি ভারতের। সেনাবাহিনী কীভাবে সেই হামলা পরিচালনা করেছে, তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় পাকিস্তান সীমান্তের দুই কিলোমিটার ভেতরে অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। স্থলসেনা ছাড়াও হেলিকপ্টারের সাহায্যে কমান্ডোরাও অংশ নিয়েছেন এই অভিযানে।

অতর্কিতে এই হামলা চালানোর জন্য গতকাল বুধবার দুপুরেই সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। অভিযান পরিচালনার সময়ও পূর্বপরিকল্পনা পুরোপুরি কাজে লেগেছে এবং কোনো ভারতীয় সেনার ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। সফলভাবে হামলা পরিচালনা করে ভোর সাড়ে ৪টার মধ্যে সেনারা ভারতীয় ভূখণ্ডে ফিরে এসেছে।

আনন্দ বাজার পত্রিকা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে যাওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশ দেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় এই অভিযান।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার স্পেশ্যাল ফোর্সকে নিয়ে পৌঁছায় নিয়ন্ত্রণ রেখায়। নিয়ন্ত্রণ রেখার এ পাশে অর্থাৎ ভারতের দিকেই প্যারাড্রপ করে বাহিনীর সেনাদের নামানো হয়। ফলে পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার কোনও প্রশ্নই ওঠেনি। এতই গোপনে হয়েছে এই প্যারাড্রপিং যে নিয়ন্ত্রণ রেখার অন্য পাশে পাহারায় থাকা পাক বাহিনী কিছুই বুঝতে পারেনি।

প্যারাড্রপিং-এর পর পায়ে হেঁটেই নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে ভারতের স্পেশ্যাল ফোর্স। নিয়্ন্ত্রণ রেখা বরাবর প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিল জঙ্গিদের লঞ্চিং প্যাডগুলি। সীমান্ত থেকে মোটামুটি ২ কিলোমিটার ভিতরে এগুলোর অবস্থান ছিল। অন্ধকার হওয়া সত্ত্বেও দ্রুত জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে পৌঁছয় ভারতীয় সেনা। পরিকল্পনা এত নিখুঁত ছিল যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর ঢুকে পড়ার কথা পাক সেনা বা জঙ্গিরা একদমই টের পায়নি। এর পর বিধ্বংসী হামলা চালানো হয় জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে। শিবিরগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ৩৮-৪০ জন জঙ্গি এই অভিযানে মারা পড়ে।

ভারতীয় বাহিনী অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে বলে বুঝতে পারে পাক সেনা। আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে গোলাগুলি চালাতে শুরু করে তারা। কিন্তু ভারতীয় বাহিনীর অবস্থান ঠিক কোথায়, সেটা একেবারেই বুঝতে পারেনি পাক বাহিনী। অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার মতো করে তারা গুলিবর্ষণ করতে থাকে।

চার ঘণ্টার মধ্যে অভিযান শেষ করে ভোর হওয়ার আগেই নিয়ন্ত্রণ রেখার এ পারে ফিরে আসে ভারতের স্পেশ্যাল ফোর্স। পাক বাহিনীর গোলাগুলির পাল্টা জবাবও দেওয়া হয় তার মধ্যেই। এতে পাক সেনার দুই সেনার মৃত্যু হয়। ভারতীয় সেনার কোনও ক্ষতি হয়নি। ভারতীয় বাহিনীর কাছে নির্দেশ ছিল, অভিযান চালাতে গিয়ে ভারতীয় বাহিনীর কারও মৃত্যু হলে, তাঁর দেহ ফেলে আসা যাবে না। নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু সে পরিস্থিতি তৈরিই হয়নি।

ভারতের এই হামলায় ৩৫-৪০ জন সন্ত্রাসী ও নয় পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে। তবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই হামলা চালানোর দাবি স্বীকার করেনি পাকিস্তান। শুধু সীমান্তে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে দুই পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে উরির সেনাছাউনিতে ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ জন ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হন। এ হামলায় পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। ওই হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালানোর দাবি করল ভারত।
জনতার অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। অভ্যর্থনা জানাতে দীর্ঘ ১৪ কিলোমিটার পথজুড়ে জনতার ঢল নামে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে যোগদান শেষে এমিরেটস এয়ার লাইন্সের ফ্লাইট ইকে-৫৮৬ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
রাত সাড়ে ৭টার দিকে তিনি গণভবনে পৌঁছান। এই পথে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে পতাকা উড়িয়ে, ফুল ছিটিয়ে, হাত নেড়ে ও মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান হাজার হাজার নেতা-কর্মী। এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাড়িতে বসে হাত নেড়ে উপস্থিত জনতার অভিনন্দনের জবাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী ‘প্লানেট ৫০:৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ এ্যাওয়ার্ড’ পাওয়া ও যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় সাফল্যজনক সফরের জন্য আওয়ামী লীগ তাঁর আগমনে বিপুল অভ্যর্থনার আয়োজন করে।বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে জনতার ঢল নামে। ব্যান্ড পার্টি, ভুভুজেলা বাজিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়। হাতে থাকা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উড়িয়ে স্বাগত জানান। কখনো ছিটিয়ে দেন ফুল।
বিমান থেকে নেমে আসার পর আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র, মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারাও প্রধানন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা এমিরেটসের ফ্লাইটে গতরাতে ওয়াশিংটনের ডুলেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ত্যাগ এবং ঢাকার পথে দুবাইয়ে চার ঘন্টা যাত্রাবিরতি করেন। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান ৬টা ৫০ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করলেও বেলা ৪টার আগেই বিজয় সরণি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে জনতার ঢল নামে।
এ সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন গাড়ীতে করে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দলীয় নেতা-কর্মীদের অবস্থান পরিদর্শন করেন।
ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, কৃষিবিদ, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক নেতা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সংস্কৃতি কর্মী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, নারী সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারাসহ সর্বস্তরের মানুষ বিভিন্ন স্পটে সমবেত হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানকে সুশৃঙ্খল করতে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত ৮টি রুটে বিভক্ত করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বে সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এসব রুটে দাঁড়িয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন। এদিকে জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তর পাশের ক্রিসেন্ট লেক সংলগ্ন সড়কে সারিবদ্ধভােেব দাঁড়িয়ে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদসহ সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ১৪-দল, সাম্যবাধী দল, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্পটে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাসভবন গণভবনে পৌঁছানোর পরে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, ক্রিকেটারসহ গুণীজনেরা। জাতিসংঘে গিয়ে দু’টি সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করায় শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী গণভবনে পৌঁছালে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
এ সময়ে বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা সুর তোলেন- ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি, তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী! ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে।’ এ সময় উপস্থিত অন্যরা তার সঙ্গে খালি গলায় সুর মেলান। এরপরে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সবার সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন।
প্রধামন্ত্রী কানাডায় গ্লোবাল ফান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা ছেড়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:১৪:৩৫   ৩৭৩ বার পঠিত