শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬
মানিকগঞ্জে মীর কাসেমের দাফন ঠেকাতে বিক্ষোভ
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » মানিকগঞ্জে মীর কাসেমের দাফন ঠেকাতে বিক্ষোভ
বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীকে মানিকগঞ্জে দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। শনিবার সন্ধ্যায় মীর কাসেমের সঙ্গে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে এ কথা জানিয়েছেন তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন। আয়েশা খাতুন বলেন, ‘তিনি (মীর কাসেম) আমাকে বলেছেন, তাকে ফাঁসির কথা জানানো হয়েছে।’
এদিকে মীর কাসেমকে মানিকগঞ্জে দাফন করার খবরে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
মীর কাসেম শেষ ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন কি না জানতে চাইলে আয়েশা খাতুন বলেন, শেষ মুহূর্তেও ছেলের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় আক্ষেপ করেছেন তিনি।
পরিবারের দাবি, মীর কাসেমের ছেলেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে।
মীর কাসেমের স্ত্রী জানান, মীর কাসেমের ভাই মানিকগঞ্জে একটি জমি কিনে রেখেছিলেন। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।এর আগে মীর কাসেমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার পরিবারের সদস্যদের ডাকে কারা কর্তৃপক্ষ। শনিবার বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাতের জন্য কারাগারে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে তারা সোয়া ৪টায় দেখা করার সুযোগ পান। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় পরিবারের সদস্যরা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
আয়েশা খাতুন বলেন, পরিবার ও নিকট আত্মীয়সহ ২২ জন দেখা করতে যান। ছোট ছোট দলে ধাপে ধাপে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়। সব শেষে দেখা করেন স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছেলের বউসহ আটজন।
সূত্রমতে, ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ কারাগারে পৌঁছে যাওয়ায় যেকোনো সময় মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সূতালড়ি ইউনিয়নের মুন্সীডাঙ্গী গ্রামে জন্ম নেন মীর কাসেম আলী। বাবা তৈমুর আলীর চাকরির সুবাদে শিশুকালে তিনি চট্টগ্রামে যান। মুন্সীডাঙ্গীতে গ্রামের বাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার পর তিনি হরিরামপুরের চালা ইউনিয়নের চালা গ্রামে ৫০ শতক জমি কেনেন। সেখানে ঘরবাড়ি না থাকলেও তিনি একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন।
এদিকে মীর কাসেমকে মানিকগঞ্জে দাফন করার খবরে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৫:২৯ ৪৬০ বার পঠিত