বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

প্রাণভিক্ষার জন্য আরো সময় চেয়েছেন মীর কাসেম

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » প্রাণভিক্ষার জন্য আরো সময় চেয়েছেন মীর কাসেম
বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬



 mir-kashem.jpg

বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ
প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সিদ্ধান্ত জানতে বৃহস্পতিবার ফের তার সঙ্গে দেখা করেছেন কারা কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করার জন্য আরও সময় চেয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী।
বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলসুপার প্রশান্ত কুমার বনিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, তিনিসহ কয়েকজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মীর কাসেমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চান। এ সময় তিনি ভাবনাচিন্তার জন্য আরও সময় চান। তবে সেই সময় কতটা এটা নিশ্চিত করে তিনি কিছু জানাননি তিনি।
এ বিষয়ে জেলসুপার সাংবাদিকদের বলেন, মীর কাসেম আলীকে এ সময়টা আর কতটুকু দেয়া হতে পারে সেটা সরকার ও কারা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।
বুধবার বিকেলে কারা অধিদপ্তরের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইজি প্রিজন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় চেয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে যৌক্তিক সময় দেয়া হচ্ছে।
যৌক্তিক সময় কতটুকু এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করবে উনি যখন যে উত্তর দিচ্ছেন, সেটার ওপর। ওনাকে আর কতটুকু সময় দেয় উচিত। উনি যখন সময় চাইবেন এর পেছনে ওনার একটা যুক্তি থাকতে হবে। যদি আমরা মনে করি সেটা যুক্তিসংগত। সেটা সমস্যা সমাধানের জন্য কতটুকু দরকার। আমরা তখন নির্ণয় করব।
তবে বুধবার বিকেলে মীর কাসেমের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ছেলেকে ছাড়া মীর কাসেম প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত দেবেন না।
পরিবারের অভিযোগ, গত ৯ আগস্ট সাদা পোশাকধারী লোকজন মীর কাসেমের ছেলে ব্যারিস্টার আহম্মেদ বিন কাসেমকে মিরপুরের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। আহম্মেদ বিন কাসেম তার বাবার মামলার আইনজীবীও।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কারা কর্তৃপক্ষ কারা অভ্যন্তরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন। এছাড়া কারাগারের বাইরে পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও লক্ষণীয়। তাছাড়া বিপুল সংখ্যক গণমাধ্যম কর্মীরাও কাশিমপুর কারা ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সেই আবেদন খারিজ করে দিলে মীর কাসেমের বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়।
নিয়ম অনুযায়ী এখন মীর কাসেম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে অথবা তা নাকচ হলে যেকোনো সময় তার ফাঁসি কার্যকর হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০০:২৮   ৩৪৩ বার পঠিত