শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৬
অপপ্রচার চালানো হচ্ছে রামপাল নিয়ে
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » অপপ্রচার চালানো হচ্ছে রামপাল নিয়ে
বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রামপাল নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার বিকেল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
শেখ হাসিনা বলেছেন, রামপাল নিয়ে যারা যড়যন্ত্র করছেন তাদের খুঁটির জোরের সূত্র আমরা পেয়েছি। বিএনপি চেয়ারপার্সন সংবাদ সম্মেলন করে যখন এর বিরোধিতা করেন তখন তা আর বুঝতে বাকি থাকে না।
তিনি বলেন, বিএনপি কেবল খাম্বা বানানোর কোম্পানি করেছিল। সর্বপ্রথম আমরা বেসরকারি বিদ্যুৎখাতের আইন করি ও উৎপাদন শুরু করি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের কোনো টেকসই পরিকল্পনা অন্য কোনো সরকার করেনি। যৌক্তিক মূল্যে গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার জন্য কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
কয়লাই এখন সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য জ্বালানি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমরা বিদ্যুতের জন্য হাহাকার দেখে তখনই পরিকল্পনা করি।
অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ছিল কঠিন কাজ। সরকার জনগণের সেবক তা কাজ দিয়ে প্রমাণ করেছি।
১২ জুলাই বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
পরিবেশের ক্ষতি ও সুন্দরবনের সম্ভাব্য নানা বিপর্যয় তুলে ধরে বিভিন্ন সংগঠন রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের বিরোধিতা করছে। বামপন্থীদের নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে। সম্প্রতি বিএনপিও আনুষ্ঠানিকভাবে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদ জানায়।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতার কথা জানান। তিনি সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে গণবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী উল্লেখ করে এ প্রকল্প বাতিলের দাবি জানান।
এরপর রামপাল ইস্যুতে বামপন্থীদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সমর্থনের কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ সংবাদ সম্মেলনে এলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের রামপালে নির্মিত হচ্ছে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড’।
প্রকল্পে সহায়তা করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্পের জন্য ৪৩০ একর ভূমি উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া চলছে প্রাথমিক অবকাঠামোর কাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৩:০৩ ৪৩০ বার পঠিত