সোমবার, ২২ আগস্ট ২০১৬
নাচে-গানে-রঙের পসরায় পর্দা নামল অলিম্পিকের
Home Page » খেলা » নাচে-গানে-রঙের পসরায় পর্দা নামল অলিম্পিকেরসমাপনী মানেই কি বিষাদ! যা শেষ হয়ে যাচ্ছে, সেটির উদ্যাপনও তো হতে পারে। রিও অলিম্পিকের আয়োজকেরা দ্বিতীয়টিতেই বিশ্বাস রাখলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিষাদের সুর তাই বাজলই না। বরং নাচে-গানে আর রঙের পসরা সাজিয়ে সেটি হয়ে রইল সত্যিকার এক উদ্যাপন। অলিম্পিকের জয়গান। বিশ্ব মানবের মিলনমেলার জয়গান।
এই লেখা যখন লিখছি, মারাকানার গ্যালারি প্রায় খালি। যাঁরা আছেন, তাঁরা নেচে যাচ্ছেন। মাঠে যে চলছে যে ‘কার্নিভ্যাল’। রিওর কার্নিভ্যাল বিশ্ব বিখ্যাত। সেটি দিয়েই শেষ করাটা তাই খুব মানিয়ে গেল। এর আগে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টায় এই শহরের বিখ্যাত সব ল্যান্ডমার্ক ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার, সুগারলোফ, লাপার আর্চ সবই বিশ্বকে দেখিয়ে দিল রিও। নিজেদের গর্ব করার মতো যা কিছু, তার সবও।
অনেক কিছুতেই বিশেষত্ব আছে রিও ডি জেনিরোরও। আছে গর্ব করার মতো অনেক কিছুই। এর মধ্যে একটি হলো সংগীত। বিশ্বের আর কোনো শহরে কি প্রধান বিমানবন্দরের নাম কোনো সংগীতজ্ঞের নামে হয়েছে? রিওর প্রধান বিমানবন্দর আন্তনিও কার্লোস জবিমের নামে। যিনি ছিলেন সংগীতের মানুষ। রিওর সংগীত, রিওর নাচ, রিওর উৎসবপ্রিয়তা সবকিছুরই ছোট ছোট সংস্করণ থাকল সমাপনী অনুষ্ঠানে। অলিম্পিকের প্রাণ অ্যাথলেটরা ঢুকলেন ‘হিরোস অব দ্য অলিম্পিক’ পর্বে। একটা জায়গায় সেটিও হয়ে থাকল ব্যতিক্রমী। সমাপনী অনুষ্ঠানে
অ্যাথলেটদের দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যথা হয়ে যায়। এবার আর সেই যন্ত্রণা নেই। মাঠের চারপাশে বৃত্তাকার চেয়ারের সারিতে তাঁদের বসার ব্যবস্থা থাকল।
মাঝখানে একটা অংশ বরাদ্দ ছিল টোকিওর জন্য। চার বছর পর জাপানের রাজধানীতেই পরবর্তী অলিম্পিক। যে ৩৩টি খেলা হবে সেখানে, সেগুলোর অপূর্ব এক প্রদর্শনীতে জাপানিরা আবার মনে করিয়ে প্রযুক্তির সঙ্গে বাধা তাঁদের গাঁটছড়ার কথা।
সবকিছুর পর এক সময় মশাল নিভল। কিন্তু তাতেও বিষাদ নেমে আসার কোনো সুযোগ থাকল না। মাঠে যে শুরু হয়ে গেল মিনি কার্নিভ্যাল।’ গান-নাচ আর রঙের মেলায় যা জানিয়ে দিল, সমাপনী মানেই বিষাদ নয়। যা কিছু হয়েছে, সেটির উদ্যাপন।
বাংলাদেশ সময়: ৯:১৯:১৩ ৩৯৭ বার পঠিত