বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০১৬

কুমিল্লায় ডেমুতে অর্ধ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » কুমিল্লায় ডেমুতে অর্ধ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০১৬



কুমিল্লায় ডেমুতে অর্ধ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকারশিডিউল বিপর্যয়, গোজামিল সময়সূচি ও পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে কুমিল্লা-চাঁদপুর, কুমিল্লা-নোয়াখালী এবং কুমিল্লা-ঢাকাগামী ডেমু ট্রেন সমূহ থেকে বছরে অর্ধ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
কুমিল্লা রেলওয়ে সূত্র মতে, কুমিল্লা থেকে নোয়াখালী রুটে শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন দুটি ট্রেন সকাল সোয়া ৯টায় এবং দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে যাতায়াত করে। একইভাবে প্রতিদিন বেলা দেড়টায় একটি ট্রেন চাঁদপুর ও সকাল সাড়ে আটটায় অপর আরেকটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। চাঁদপুর ও নোয়াখালীগামী তিনটি ট্রেন লাকসাম জংশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই তিনটি ট্রেনে সর্বমোট ৪৫০টি আসন রয়েছে।
সূত্র জানায়, গত জুলাই মাসে কুমিল্লা থেকে লাকসামে অর্থাৎ চাঁদপুর ও নোয়াখালী যাতায়াতকালে সর্বনিন্ম দূরত্বে ১২,১৫০টি টিকিটের বিপরীতে বিক্রি হয়েছে মাত্র ১,১১৯টি টিকিট! যা মোট টিকিটের ৯ দশমিক ২১ শতাংশ। টিকিটের বিক্রয় মূল্য ২২,৩৮০ টাকা। হিসেব করে দেখা গেছে , শুধুমাত্র কুমিল্লা থেকে লাকসাম পর্যন্ত যাতায়াত করতে ওই তিনটি ট্রেনে জুলাই মাসে ২,২০,০০০ টাকার টিকিট বিক্রি কম হয়েছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে কুমিল্লা রেলওয়ের একজন কর্মী জানান, লাকসাম পরবর্তী স্টেশনগুলোতে টিকিট বিক্রি করার জন্য প্রয়োজনিয় লোকবল নেই, নেই কোন হিসেব। রেলওয়েতে নতুন লোকবল নিয়োগ হলেও দৌলতগঞ্জ ও খিলা স্টেশনে টিকিট বিক্রি করার জন্য কোন লোকবল নেই। এ দুটি স্টেশনের যাত্রীরা টিকিট ছাড়াই ট্রেনে ভ্রমণ করেন। আর টিটির হাতে পড়ে জরিমানা গুনেন। আবার টিটির সঙ্গে কখনো কখনো চলে দর কষাকষি। এতে করে যাত্রী ও টিটি উভয়েই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী ডেমু ট্রেনে গত জুলাই মাসে ১,২৭,৯০০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। মোট হিসেবে এ ভাড়ার পরিমাণ কুমিল্লা থেকে ক্ষুদ্রতম দূরত্ব সদর রসুলপুর থেকেও ৪০,০০০ টাকা কম। স্টেশন সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী- ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল আটটায় কুমিল্লা স্টেশনে পৌঁছে। কাছাকাছি সময়ে দুটি ট্রেন যাতায়াত করায় ডেমু ট্রেনে পূর্বের মত টিকিট বিক্রি হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে কথা হলে কুমিল্লা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার সফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ট্রেনের বর্তমান সময়সূচি পরিবর্তন করে উপযোগী সময়সূচি নির্ধারণ এবং প্রয়োজনিয় লোকবল নিয়োগ করা হলে এ ট্রেনের লোকসান থেকে অনেকটা বেরিয়ে আসা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ৫:৪১:৪৭   ৩২২ বার পঠিত