মঙ্গলবার, ২ আগস্ট ২০১৬
রবি-এয়ারটেলের এক হওয়ার বাধা কাটল
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » রবি-এয়ারটেলের এক হওয়ার বাধা কাটলবঙ্গ-নিউজঃ দেশে টেলিযোগাযোগ খাতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুটি অপারেটরের একীভূত হওয়ার বাধা কাটল। একশ’ কোটি টাকা মাসুলে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে দুই কোম্পানি একীভূত হয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল সেবাদানকারী কোম্পানি গঠনের প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়ে গেল।
রবি ও এয়ারটেলের ব্যবসা এক হওয়ার পর একীভূত কোম্পানি রবি নামেই চলবে। গত সেপ্টেম্বর মাসে দুই অপারেটর একীভূতকরণের ঘোষণা দেয়। ঘোষণা অনুসারে মালয়েশিয়ার আজিয়াটা এবং জাপানের এনটিটি ডকোমো মিলে ৭৫ শতাংশের মালিক হবে রবির। অন্যদিকে এয়ারটেলের হাতে থাকবে ২৫ শতাংশের মালিকানা। একীভূত হওয়ার রবির গ্রাহক সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৮০ লাখ, যা বাংলাদেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের এক-তৃতীয়াংশ। আর পাঁচ কোটি ৬১ লাখ গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোন আছে সবার উপরে। বর্তমানে ৩ কোটি ১৯ লাখ গ্রাহক নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলালিংক।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অনুমোদনের পর এবার দুই অপারেটরকে উচ্চ আদালতের কোম্পানি ম্যাটার বেঞ্চে যেতে হবে। সেখানে দুই অপারেটরের দেনা-পাওনার বিষয়টি সমাধান হবে। কারো কোনো আপত্তি না থাকলে সেখান থেকে অনুমতি পাওয়ার পর বিটিআরসি এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে।
সোমবার বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়। গত ১৩ জুলাই দুই প্রতিষ্ঠানের একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় ১০০ কোটি টাকা ফি নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ওই ফি নির্ধারণ করা হয়। এরপর গত ২৪ জুলাই একীভূত ফি ১০০ কোটি টাকা অন্তর্ভুক্ত করে একীভূত প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। একত্রীকরণ ফি ছাড়াও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রতি মেগাহার্টজ টুজি তরঙ্গের জন্য ৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে। বর্তমানে এয়ারটেল ১৫ মেগাহার্টজের টুজি তরঙ্গ ব্যবহার করছে। রবি সমগ্র তরঙ্গের অধিকার লাভ করলে এ অপারেটরকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) মোট ৫০৭ কোটি টাকা দিতে হবে।
শর্তানুযায়ী, মোবাইল ফোন অপারেটর রবিকে কর্মীদের চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিটিআরসির কাছে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দাখিল করতে হবে যেন একীভূত হওয়ার পর কেউ চাকরিচ্যুত না হয় কিংবা কোনো বেকারত্বের সৃষ্টি না হয়।
এর আগে ২০১৫ সালের আগস্টে সম্ভাব্য যুক্তকরণ নিয়ে রবি ও এয়ারটেল আলোচনা শুরু করে। গত ২৮ জানুয়ারি অপারেটরের মূল প্রতিষ্ঠানগুলো তা কার্যকর করতে স্বাক্ষর করে। রবির মালিকানা মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপের। এশিয়ার বড় টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে আজিয়াটা অন্যতম। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পাশাপাশি কম্বোডিয়া, ভারত ও সিঙ্গাপুরেও তাদের ব্যবসা রয়েছে। অন্যদিকে এয়ারটেলের মালিক ভারতের ভারতি এয়ারটেল এর। যারা ওয়ারিদের ব্যবসা বাংলাদেশে কিনে নিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ৫:১১:০১ ৩৬১ বার পঠিত