সোমবার, ১ আগস্ট ২০১৬
দশ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি গুরুতর
Home Page » প্রথমপাতা » দশ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি গুরুতর১২ নদীর ১৭ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আসামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি। আসামের বন্যার পানি নামার সময় আমাদের দেশে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও মুন্সীগঞ্জে মারা গেছে ৫ জন
দেশের ১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি গুরুতর। এগুলো হলো কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, রাজাবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ, শরিয়তপুর। ১২ নদীর ১৭ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সরকারি হিসাবে এই বন্যায় ১৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট। গতকাল সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশু ও সাপের কামড়ে এক কৃষক মারা গেছেন। জামালপুরে পানিতে ডুবে দু’জন মারা গেছেন। মুন্সিগঞ্জে মারা গেছে এক শিশু। দুর্গত এলাকার মানুষ নৌ ডাকাত আতঙ্কে ভুগছেন।
আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় বসতবাড়ি ডুবে যাওয়ায় মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বাঁধ বা উঁচু স্থানে। পানিবন্দি এসব মানুষের দিন কাটছে অর্ধহারে অনাহারে। বন্যায় অধিকাংশ স্থানে নলকুপ ডুবে যাওয়ায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ছড়িয়ে পড়ছে পানি বাহিত রোগ। খাবার না থাকায় অনেকে গবাদি পশু বিক্রি করে দিচ্ছেন। চলতি বন্যায় প্রথম আক্রান্ত হয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলো। সেসব জেলা থেকে এখন পানি নামছে, সেই সঙ্গে বেড়ে গেছে ভাঙনের তীব্রতা। অন্যদিকে মধ্যাঞ্চলে বন্যার চাপ বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বন্যা পর্যবেক্ষন থেকে দেখা গেছে গতকাল রবিবার সবচেয়ে গুরুতর অবস্থা ছিল জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও রাজবাড়ী জেলায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের শনিবারে দেয়া পূর্বাভাষে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টায় পদ্মার নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। যার ফলে, পদ্মা নদী সংলগ্ন রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও শরিয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে। ঢাকার আশেপাশের বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষ্যা প্রভৃতি নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার খবর দিয়েছে গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ আসামের বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেছেন। পরে তিনি জানিয়েছেন আসামের রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি সত্যিই আশঙ্কাজনক। ২৮টি জেলায় ৩৬ লক্ষ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক সমরেন্দ্র কর্মকার বলেছেন, আসামের বন্যার পানি আমাদের দেশ দিয়ে নামবে এটাই স্বাভাবিক। এর ফলে ব্রক্ষপুত্র বেসিনে চাপ বাড়বে। তিস্তা বেসিনে বৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া হিমালয় পাদদেশে বৃষ্টি হয়েছে। এই পানি আমাদের দেশ ছাড়া অন্য জায়গা দিয়ে যাওয়া যায়গা কম।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, চিলমারী উপজেলার উপজেলার বরুজের পাড় ও শাকখাওয়ার মোড়ে তিনটি পাকা রাস্তা নতুন করে ভেঙে যাওয়ায় পানি ঢুকে পড়েছে চিলমারীর বিভিন্ন গ্রামে। পানি ঢুকে পড়েছে উপজেলা সদরের থানা ক্যাম্পাস, উপজেলা পরিষদ, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, স্কুল-কলেজ, খাদ্য গুদামসহ অনেক স্থাপনায়। ৩০টিও বেশী গ্রাম প্লাবিত হবার পাশাপাশি উপজেলা সদরের অনেক এলাকায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় শত শত হেক্টর জমির বীজতলা ও আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ঝুঁকিতে পড়েছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়ক, রেলপথ ও কয়েকটি সেতু। ঘর বাড়িতে টিকতে না পেরে অনেকে রাস্তা, রেল লাইন ও বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধায় শুক্রবার রাতে ফুলছড়ির সিংড়িয়ায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ওই পানির তোড়ে রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার আলাই নদীর চুনিয়াকান্দি এলাকায় সোনাইল বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ফলে সদর উপজেলার বোয়ালি, বাদিয়াখালি, সাঘাটার পদুমশহর, ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া ও উদাখালীর বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বর। ফুলছড়ির কালিরবাজার-গুণভরি সড়কের পূর্ব ছালুয়া এবং কালিরবাজার কাঠুর সড়কের দুটি ব্রিজ ভেঙ্গে গেছে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যুমনার পানি বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নদীগুলোরও পানি বাড়ছে। করতোয়া, বড়াল, হুরাসাগর, ধলাই, চাকলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এসব এলাকার গ্রামগুলো বন্যায় ডুবে আছে। জেলার পাঁচ উপজেলার চরাঞ্চলের ৩৩টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের মানুষ কয়েকদিন ধরে বন্যা আক্রান্ত হয়েছেন। বন্যা কবলিত এলাকার গরীব মানুষের জীব কাটছে অর্ধাহারে অনাহারে। এদিকে শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে যমুনার পানি প্রবেশ করায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাঁত সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত শাহজাদপুর, বেলকুচি ও এনায়েতপুরের হাজার হাজার তাঁত কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁতী ও শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, গত ২ দিনে এখানে পানিতে ডুবে দুই শিশু এবং সাপের কামুড়ে এক কৃষক মারা গেছেন। শিশু দুইজন হলো- উপজেলার মৈত্রবড়হর গ্রামের হুমায়ুন ইসলামের মেয়ে হাফজা (৩) এবং কালিপুর গ্রামের সেলিম হোসেনের মেয়ে তৃষা (২)। এছাড়া শনিবার বন্যার পানিতে পাট জাগ দেওয়ার সময় সাপের কামড়ে মারা গেছেন মাটিকোড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে কৃষক শহিদুল ইসলাম (৪০)।
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, গত কয়েকদিনে টাঙ্গাইলে বন্যারপানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। তলিয়ে গেছে নদীপাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই সঙ্গে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। বাড়ি-ঘরে পানি উঠায় বন্যাকবলিত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে আশপাশের উঁচু জায়গায়। টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, বাসাইল ও দেলদুয়ার উপজেলার নিন্মাঞ্চল বেশি বন্যাকবলিত হয়েছে। নাগরপুরে ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল স্রোতে টাঙ্গাইল-নাগরপুর-আরিচা সড়কের চাষাভাদ্রা নামকস্থানের বেইলি ব্রিজ শনিবার সকালে ভেঙে গেছে।
ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর, হাবলা ও কাশিল ইউনিয়নের কাশিল, দাপনাজোর, কামুটিয়া, নথখোলা, থোপিয়া, বালিনা ভৈরপাড়া, আদাজানের মানিকচর, কাঞ্চনপুর কাজিরাপাড়া, সোনারচরসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে আছে কাশিল কেবিএন বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবন। বন্যাকবলিত মানুষগুলো ঘর-ভিটা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধিতে কালিহাতী ও ভুঞাপুরের অনেক মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশপাশে রাস্তায় অস্থায়ী ঘর বানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। অনেকে আত্মীয় বাড়ি চলে গেছেন।
জামালপুর প্রতিনিধি জানান, জামালপুরে-তারাকান্দি রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। গতকাল ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারী ইউপিতে পানিতে ডুবে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
মেলান্দহ (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, জামালপুরের মেলান্দহের বানভাসিদের মাঝে ডাকাত আতংক বিরাজ করছে। ৩১ জুলাই মধ্য রাতে সগুনা-ঘোষেরপাড়া-ঝাউগড়া-হাজীপুর-কাহেতপাড়া-ছবিলাপুর-বেলতৈল-নাগেরপাড়ায় নৌডাকাত দল প্রবেশ করে। রাতভর ডাকাতদের তান্ডব চলে। বানভাসীদের চিত্কারে পার্শ্ববতী এলাকার মানুষ সজাগ হয়। এসময় বিভিন্ন মসজিদ থেকে মাইকিং করে সাবধান করা হয়। খবর পেয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশ স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সহায়তায় রাত জেগে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করে।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মুন্সীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। লৌহজং উপজেলার পদ্মার চরের দোয়ালি গ্রামের মুন্না (৪) বাড়িরতে উঠা বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় গোলা ঘরের মেঝেতে শিশু মুন্না তার বাবা মার সাথে খেলা করছিলো এ সময় পা পিছলিয়ে ঘরের ভিতরে খাট থেকে পানিতে পড়ে যায় এবং স্রোতের তোড়ে এক পর্যায়ে বাড়ির উঠোনে চলে যায়। পরে অনেক খোজাঁখুজির পর তার লাশ উঠান হতে উদ্ধার করে তার স্বজনরা।
শেরপুর প্রতিনিধি জানান, অব্যাহতভাবে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ও দশআনী নদীর পানিবৃদ্ধির ফলে শেরপুর সদর উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। শেরপুর জামালপুর সড়কে পোড়ার দোকানের নিকট কজওয়ের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি বয়ে যাওয়ার কারণে ঐ রুটে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু এ সতর্কতা পরেও ঝুকি নিয়ে ঐ রুটে যানবাহন চলাচল করছে।
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, গত কয়েকদিন ধরে পদ্মার পানি বেড়েই চলছে, এর ফলে প্লাবিত হয়েছে ফরিদপুর জেলার তিন উপজেলার ১১ ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
ঘিওর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, পদ্মা-যমুনার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির ফলে জেলার ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলার অন্তত দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
শিবালয় (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথলী সচিব মোড়, ফলসাটিয়া, বরংগাঈল, ধূলন্ডী, পুকুরিয়া, জোকা, বানিয়াজুড়ি মোড়ে বন্যার পানি উঠেছে। পানি অতিক্রম করে যানবাহন চলাচল করায় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১০১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া রোববার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৮টির মধ্যে মাত্র ১১টি ফেরি চলছিল। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল হক জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলাচলরত ১৮টি ফেরির মধ্যে রোববার ছোট-বড় ১১টি ফেরি চলছিল। এরমধ্যে রোরো ৬, কে-টাইপ ১ ও ইউটিলিটি ফেরি রয়েছে ৪টি। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় পাটুরিয়া থেকে গাড়ি বোঝাই করে কে-টাইপ ফেরি ‘কপোতি’ দৌলতদিয়া ঘাটের কাছে গিয়ে স্রোতের তোড়ে টিকতে না পেরে ফিরে যায়। অতিমাত্রায় চালাতে গিয়ে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ায় সেটি বসে পড়ে।
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, দেশের উত্তরাঞ্চলে যখন বন্যা তখন চাঁদপুরে চলছে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন। নদীতে প্রচন্ড স্রোত। উজান থেকে পানির ঢল চাঁদপুরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এখন মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক পানির টান দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ-রূটে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। নদী ভাঙ্গনে ভিটে মাটিহারা হয়েছে শতশত পরিবার ।
বাংলাদেশ সময়: ৮:১৭:৪৩ ৪২৩ বার পঠিত