শনিবার, ৩০ জুলাই ২০১৬
এখন আরো কঠিন ব্যাচেলরের বাসা পাওয়া
Home Page » এক্সক্লুসিভ » এখন আরো কঠিন ব্যাচেলরের বাসা পাওয়াবঙ্গ-নিউজঃ বাংলাদেশে গুলশান হামলার পরে পুলিশ ঢাকা শহরের বিভিন্ন মেসগুলোতে নজরদারী এবং তল্লাশি জোরদার করেছে। সন্দেহভাজন জঙ্গীদের খোঁজে গতরাতে পুলিশ ঢাকার ১১টি মেসে তল্লাসী চালায়, যদিও কাউকে আটক করা হয়নি। তার দুদিন আগে কল্যাণপুরে একটি ফ্ল্যাটে পুলিশী অভিযানে ৯ জঙ্গী নিহত হয়। পুলিশী অভিযানের আংশকায় শহরের অনেক বাড়ির মালিক তাদের মেসে থাকা ভাড়াটিয়াদের উপর নজরদারীও বাড়িয়েছেন। এসব মেসে থাকা ছাত্র এবং চাকুরীজীবিরা এমন অবস্থায় তাদের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মেসগুলোতে যে নজরদারী জোরদার হয়েছে সেটি বেশ টের পাওয়া যায়। বিভিন্ন মেস ঘুরে দেখা গেল, সম্ভাব্য পুলিশি অভিযানের আশংকায় খানিকটা চিন্তিতএগুলো বাসিন্দারা। অনেক বাসিন্দা মনে করেন, যেভাবে মেসগুলোতে পুলিশ তল্লাশী চালাচ্ছে তাতে করে বাড়িয়াওয়ালারা মেস বাড়া দেবার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। কারণ পুলিশি অভিযান একটি ‘বাড়তি ঝামেলা’ তৈরি করে বলে তারা মনে করেন। ঢাকার বকশিবাজারে একটি মেসে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেন রুহুল আমিন তপু। তার সাথে একই বাসায় আরো চারজন থাকেন। এদের সবাই বিভিন্ন ধরনের চাকরী করছেন। মি: তপু বলেন, “চিন্তাটা এখন আরো বাড়ছে। আসলে আমাদের চাইতে বেশি চিন্তা করে মালিক। তারা মনে করে যে ব্যাচেলরদের রাখছি, কোন সমস্যা আছে কিনা।” “এমনিতেই ঢাকা শহরের বাড়ির মালিকরা ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দিতে চায় না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সে বিষয়টি আরো কঠিন হয়ে গেছে” - বলছেন তিনি। ঢাকায় মেসগুলোতে থাকেন হাজার হাজার নগরবাসী ঢাকা শহরের মেসগুলোতে কত লোক বসবাস করে তার সুনির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান নেই। প্রতি মাসেই বিভিন্ন মেসে নতুন ভাড়াটে আসা-যাওয়া করে। সেক্ষেত্রে পুরনো ভাড়াটেরা নতুনদের সম্পর্কে আগে থেকেই পুরোপুরি তথ্য জানতে পারেন না । পুলিশ মনে করে, জঙ্গিরা সংগঠিত হবার জন্য কখনো-কখনো বাসা ভাড়া নেয়। এছাড়া মেসগুলোতে বসবাসরত ছাত্রদের দলে ভেড়ানোর জন্য টার্গেট করা হতে পারে। সেজন্যই পুলিশ নজরদারী বাড়িয়েছে। বর্তমানে বাড়িওয়ালারাও মেসে বসবাসকারী ভাড়াটের উপর নজরদারী বাড়িয়েছে। এক্ষেত্রে বাড়িওলাদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়ছেন মেসে বসবাসকারী ভাড়াটিয়ারা। ঢাকার একজন বাড়ির মালিকের স্ত্রী জানালেন তিনি প্রতিনিয়ত মেসে বসবাসকারীদের নজরদারীতে রেখেছেন। তিনি জানান, “আমি থানায় যেসব ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য দিয়েছি, তার বাইরে কেউ আমার বাড়িতে থাকতে পারবেনা। ভাড়াটেদের বাসায় কোন মেহমান যদি রাতে থাকতে চায়, তাহলে আমাকে জানাতে হবে।” এ ধরনের পরিস্থিতি মেসের অনেক বাসিন্দাদের জন্য খানিকটা অস্বস্তি তৈরি করছে। পুলিশ বলছে, মেস ভাড়া দেবার বিষয়ে তারা কোন বিধি-নিষেধ আরোপ করেননি। সকল প্রকার ভাড়াটেদের তথ্য থানায় জমা দেবার জন্য বাড়ির মালিকদের তাগাদা দেয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১:৪২:১০ ৩৭৪ বার পঠিত