মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০১৬
সুপার ফ্যাশন!
Home Page » ফিচার » সুপার ফ্যাশন!বঙ্গ-নিউজঃ মাথার ওপর দিয়ে সাঁই সাঁই করে উড়ে যাচ্ছে। কখনো ছোঁ মেরে উদ্ধার করছে বিপদে পড়া কাউকে। বাতাসে উড়ছে পোশাকের ওপর পরা আলগা এক আবরণ। ব্যাটম্যান, সুপারম্যান আর সুপার ওমেনদের এমন পোশাকেই দেখা যায়। এটা হলো কেইপ। আমাদের দেশেও চলে এসেছে এই কেইপ পরার চল। বিভিন্ন পোশাকের ওপর কেইপের ব্যবহার এবারের ঈদ ফ্যাশনে দেখা গেছে ভালোমতোই। বিশেষ করে গাউন ও লম্বা পোশাকের সঙ্গে।
.কেইপের মজা হলো এর কাটছাঁট নিয়ে ইচ্ছামতো নিরীক্ষা করা যায়। আর আলমারিতে একটি কেইপ থাকলে তা পরা যাবে অনেক পোশাকের সঙ্গে। ফ্যাশন আইকনরা ইদানীং এই ফ্যাশন ধারণায় যুক্ত করেছেন নতুন মাত্রা। এখন শাড়ির সঙ্গেও কেইপ পরা হচ্ছে।
স্টাইলে কেইপ ড্রেস বাড়তি একটা আভিজাত্য ফুটিয়ে তোলে। দাওয়াতে মসলিন ও নেটের কেইপ মানাবে বেশ। এটি কোরাল ক্লজেটের ডিজাইনার রুপো শামসের মত। আর কেইপের কাটছাঁট কত ধরনের হতে পারে তা তো বলে শেষই করা যাবে না। তিনি জানালেন, দাওয়াতে লম্বা ড্রেস বা গাউনের সঙ্গে মেঝে ছোঁয়ানো কেইপ খুব মানাবে। তবে ঠিকমতো বহন করতে না পারলে এটি পরার দরকার নেই। ওড়না কেইপ হাল ফ্যাশনে নতুন সংযোজন। সামনের দিকে খাটো আর দুই হাতা ও পেছনের দিকে লম্বা থাকে বলে এটিকে অনেকটা ওড়নার মতো দেখায়। বেশি ঘের দেওয়া লম্বা স্কার্ট বা হাঁটু পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের হাতাকাটা কামিজের সঙ্গে এই ধরনের কেইপ দারুণ লাগবে। কেইপের গলার কাছে কাজ থাকতে পারে। নকশা করা যেতে পারে হাতাতেও। মেশিন এমব্রয়ডারি, জাল ওয়ার্ক, পার্সিয়ান কাজ ও কারচুপির কাজ করা থাকলে জমকালো দাওয়াতে পরতে পারেন। তবে নকশা যেমনই হোক, কেইপের গলা ও কাঁধের মাপ ঠিকঠাক না হলে ফ্যাশনটা একদম মাঠে মারা যাবে। বুট, টিউলিপ বা একদম স্ট্রেট কাট প্যান্টের সঙ্গেও মানানসই কেইপ পরে হাজির হতে পারেন বড় কোনো দাওয়াতে।
.চলে নিত্যদিন
দাওয়াতের পোশাক হিসেবে তো বটেই, কেইপ পরা যাবে ঘরোয়া অনুষ্ঠানেও। তবে সে ক্ষেত্রে কেইপটি বাছাই করতে হবে একটু বুঝেশুনে। নিট কাপড়ের কেইপ দৈনন্দিন বা ক্যাজুয়াল ব্যবহারের জন্য সেরা। জর্জেট কাপড়ের কেইপও ভালো লাগবে। ঘেরওয়ালা ও সামনে অনেক কুচি দেওয়া কেইপ চাপা প্যান্ট ও স্কার্টের সঙ্গে খুব মানানসই, জানালেন ভায়োলা বুটিকের ফারিহা তাসমিন। এর নিচে পরে নিতে পারেন ট্যাংক টপ। পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাকের সঙ্গে সব কাটের কেইপ পরার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। গাউনের সঙ্গে যেমন পেছনে মেঝে পর্যন্ত গড়াতে পারে তেমনি প্যান্টের সঙ্গেও হাঁটুর নিচ পর্যন্ত নামলে কোনো ক্ষতি নেই। হাতাটাও যদি একটু লম্বা দিতে চান, তাও পারবেন অনায়াসে। ‘কিশোরীদের কাছে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই পোশাকটি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। পার্টিতে পরলে এর সঙ্গে হাইহিলই মানাবে। আর ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ওয়েজেস বা পাম্প শুয়ের সঙ্গে খারাপ দেখাবে না।’ বলছিলেন ফারিহা তাসমিন।
শাড়ির সঙ্গেও
শাড়ির সঙ্গে লম্বায় ছোট আকারের কেইপ আনবে ভিন্নতা পোশাক: মুমু মারিয়াফ্যাশন হাউস মুমু মারিয়ার ডিজাইনার মারিয়া সুলতানা বলেন, ‘কুচি হলো শাড়ির সবচেয়ে সুন্দর অংশ। তাই শাড়ির সঙ্গে কেইপ পরলে তা যেন সামনের দিকে কোমরের নিচে না নামে। বুক পর্যন্ত এসে, দুই দিকের হাতা কনুই পর্যন্ত ঝুলে থাকলে ভালো দেখাবে। শাড়ির সঙ্গে সামনের দিকে খোলা ও বন্ধ দুই রকমের কেইপই পরা যায়। ‘ এটি স্বচ্ছ কাপড়ের হলেই বেশি সুন্দর লাগে। ব্লাউজের পরিবর্তে কেইপ পরে আঁচলটা কেইপের ওপরেই ভাঁজ করে রাখতে পারেন। মারিয়া সুলতানা মনে করেন, শাড়ির সঙ্গে কেইপের দৈর্ঘ্য সামনের দিকে বুক পর্যন্ত লম্বা হয়ে পেছনের দিকে কোমরের একটু নিচে নামিয়ে আনলেও সমস্যা নেই। এটি শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়েও পরা যেতে পারে। আবার বিপরীত রঙেরও হতে পারে। কেইপের গলার কাটটি কেমন হবে সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছার ওপরেই নির্ভর করছে। তবে এ ক্ষেত্রে শাড়িটা কিন্তু একেবারে আঁটসাঁট করে পরা চাই। সামনে যদি ভারী নকশা রাখতেই চান তাহলে হাতাটা যেন হয় শিফন, নেট বা পাতলা জর্জেট কাপড়ের।
এই ধরনের পোশাকগুলো এখন পাওয়া যাচ্ছে ঢাকার সিকোসো, আইকনিক ফ্যাশন গ্যারেজ, মুমু মারিয়া, ভায়োলা ছাড়াও বেশ কিছু ইন্টারনেটভিত্তিক দোকানে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:০৪:০৩ ৫৮০ বার পঠিত