মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬
গ্রামীণফোনের ৮৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » গ্রামীণফোনের ৮৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণাবঙ্গ-নিউজঃ গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরায় এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন l ছবি: গ্রামীণফোনশেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের একমাত্র মুঠোফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ৮৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। রাজধানীর বসুন্ধরায় গতকাল সোমবার বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) আর্থিক ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের (ফেসভ্যালু) প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৮ টাকা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারধারীরা। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী অর্ধবার্ষিক হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দেখানো হয়েছে ৭ টাকা ৯২ পয়সা। ঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৮ আগস্ট।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৬ সালের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের আয় হয়েছে ৫ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা ২০১৫ সালের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। এ বছরের জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি করপরবর্তী মুনাফা করেছে ১ হাজার ৭০ কোটি টাকা।
ইন্টারনেট ডেটা থেকে ২০১৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের আয় হয়েছে ৩২০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২০০ কোটি টাকা। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে শুধু ডেটা থেকে গ্রামীণফোনের আয় বেড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ।
এ বছরের প্রথম ছয় মাসে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে গ্রামীণফোন ১ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ সময় আয়কর, মূল্য সংযোজন কর, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি সরকারকে দিয়েছে ৩ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। স্বেচ্ছা অবসর কর্মসূচির (ভিআরএস) আওতায় এ সময় গ্রামীণফোনের বিভিন্ন পর্যায়ের ৩৪৯ জন কর্মী অবসর নিয়েছেন। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির খরচ হয়েছে ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি বলেন, গ্রামীণফোন খুব সফলভাবে ২০১৬ সালের প্রথম ছয় মাস পার করেছে। এ সময়ে ডেটা গ্রাহক ও ব্যবহার দুটোই বেড়েছে। একই সঙ্গে ভয়েস কল থেকেও আয় বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩১ মে পর্যন্ত আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে গ্রামীণফোনের ৫ কোটি ২৬ লাখ সিম নিবন্ধিত হয়েছে। এ-সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে সিইও রাজীব শেঠি বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যেসব সিম পুনর্নিবন্ধিত হয়নি সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) দিলীপ পাল। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ৬:৫৬:১৪ ৩৬৭ বার পঠিত