সোমবার, ১১ জুলাই ২০১৬
জাতিসংঘ সংস্থার আমন্ত্রণে সি২০ সামিটে মাসুদ এ খানের মূল বক্তব্য উপস্থাপন
Home Page » ফিচার » জাতিসংঘ সংস্থার আমন্ত্রণে সি২০ সামিটে মাসুদ এ খানের মূল বক্তব্য উপস্থাপন বঙ্গ-নিউজঃ বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মাসুদ এ খান গণঙ্গচীনের শিংদাওয়ে জাতিসংঘ সংস্থা ও চায়না এনজিও নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ আয়োজিত সি২০ সিভিল সোসাইটি ২০১৬-এর আমন্ত্রণে অংশগ্রহণ করেন। মাসুদ এ খান এ বিশ্বসভায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও সুশীল সমাজের ভূমিকা বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। মূল বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততর উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে একটি। তিনি তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রসরমান, প্রগতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের সারিতে নাম লেখাবে; এ জন্য মাসুদ এ খান বিশ্বনেতাদের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
মাসুদ এ খানের নান্দনিক উপস্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরপর চীনা মিডিয়ায় তাঁর সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়, যা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য, মাসুদ এ খান বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ছাড়াও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও উন্নয়ন সহযোগী এবং বিশ্বনেতাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে সুপরিচিত ও জনপ্রিয়। এছাড়া দ্য ডেইলি পিপল’স টাইম-এর প্রধান উপদেষ্টা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য, টিআইবির সম্মানিত সদস্য, ঢাকা ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, কূটনৈতিক ম্যাগাজিন দ্য ভয়েজ-এর সম্পাদক ও প্রকাশক, রোটারি ইন্টারন্যাশনালের সদস্য ছাড়াও সামাজিক বহু সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আগামী দিনগুলোতে আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তিনি বিশ্বসভায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অত্যন্ত উঁচুতে তুলে ধরার জন্য সরকারের পাশাপাশি কাজ করে যেতে বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যেই বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (বিবিএফ)-এর কার্যক্রম বিশ্বের কয়েকটি দেশে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মিসর, কুয়েত, গণচীন, ভারত প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখ্য, তিনি তাঁর মূল বক্তব্যে বলেন, যুবসমাজ সারা পৃথিবীকে পাল্টে দিতে পারে, সে জন্য যুবশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এবং সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে তিনি বিশ্বনেতাদের কাছে বার বার সহযোগিতা কামনা করেন। উল্লেখ্য, মিসরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর ড. এসাম শরাফ এবং থাইল্যান্ডের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার ড. ভকিন ভালাকুলাসহ ৫৪টি দেশের প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০:১৮:২৫ ৪০৭ বার পঠিত