সোমবার, ২৭ জুন ২০১৬
শিল্পে গ্যাস সংযোগ আরো এক বছর সময় নিলেন অর্থমন্ত্রী
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » শিল্পে গ্যাস সংযোগ আরো এক বছর সময় নিলেন অর্থমন্ত্রীবঙ্গ-নিউজঃ :
নতুন করে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় উত্পাদনে যেতে পারছে না হাজারখানেক শিল্প-কারখানা। মাসখানেক আগে তাদের জন্য আশার কথা শুনিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বলেছিলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকেই গ্যাসের সংকট থাকবে না। এলএনজি আমদানি করে ওই সময়ের মধ্যেই সরবরাহ করা হবে চাহিদা অনুযায়ী। কিন্তু গতকাল শনিবার আরো এক বছর বাড়তি সময় নিলেন তিনি। বললেন, ২০১৯ সালের পর যে যা চাইবে সবাই গ্যাস পাবে। যা আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ স্টাডি প্রাস্টের আয়োজনে ‘স্বপ্নপূরণের বাজেট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাট আইন মহাসমস্যা। যদি আমাদের ব্যবসায়ীরা একটু নমনীয় হন, তাহলে এটা বাস্তবায়ন সহজ হবে। তাঁরা মূল্য সংযোজনের বিভিন্ন পর্যায়ের হিসাব রাখেন না। ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের জন্য হিসাব রাখা খুবই জরুরি।’ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ২০০৭ ও ২০০৯ সালে বাংলাদেশে বিশ্বমন্দার প্রভাব পড়েনি। জাপানে অনুষ্ঠিত জি-সেভেন সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জাতির জন্য বিরাট সম্মানের। এবারের বাজেট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪ ধরা হয়েছে। এটা উচ্চাভিলাষী নয়। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও বাস্তবায়নযোগ্য। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। তাই বাজেট যেন আরো শিল্পবান্ধব হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, ‘বাজেট নিয়ে আমরা উৎসাহী। কারণ এটা বড় বাজেট। অর্থমন্ত্রীর বয়সের সেরা বাজেট। রপ্তানি আয়ে গতিশীলতা থাকলে এবং দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হলে এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব।’ বক্তারা বলেন, ‘বাজেট উচ্চাভিলাষী বটে, তবে বাস্তবায়নযোগ্য। একে বিশাল বলা যায় না। তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট দেশের জাতীয় জিডিপির মাত্র ১৭ শতাংশ। অনেক দেশের বার্ষিক বাজেট তাদের জিডিপির বিশ্লেষণে অনেক বড় হয়। যুক্তরাজ্যেও বাজেট তাদের জিডিপির ৪২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যকে অনুসরণ করলে আমাদের বাজেটের আকার হওয়া উচিত আট লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। তবে বর্তমান অবকাঠামো ও দক্ষতা বিবেচনায় সাড়ে আট লাখ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়ন করা খুবই দুরূহ হবে।’ বক্তারা বাজেট বাস্তবায়নে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বর্তমানে ১৬ কোটির মধ্যে ১২ লাখ মানুষ কর দিচ্ছে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার .৭৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১:৩৭:০৫ ৩৬৫ বার পঠিত