রবিবার, ২৬ জুন ২০১৬

জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেশি

Home Page » ফিচার » জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেশি
রবিবার, ২৬ জুন ২০১৬



বঙ্গ-নিউজঃ

পর্যটন শহর কক্সবাজারে জীবনযাত্রার ব্যয় অত্যধিক বেশি। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমন ঘটে এখানে সবচেয়ে বিশ। এ কারণে বাড়ে টাকার প্রবাহ। অর্থনীতির নিয়মে চাহিদা ও টাকার প্রবাহ বেশি থাকলে পণ্যমূল্য বাড়ে। পাশাপাশি সব ধরনের সেবার দামও এখানে অনেক বেশি। এর প্রভাবে বাড়ে জীবনযাত্রার ব্যয়। পর্যটকরা কিছু দিন থেকে এখান থেকে চলে যাওয়ার কারণে তাদের মধ্যে এর তেমন প্রভাব পড়ে না। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নানাভাবে এই বাড়তি মূল্যস্ফীতিজনিত কারণে সুবিধা পেয়ে থাকেন। কেননা সেবা ও পণ্যের বাড়তি মূল্য তারাই পেয়ে থাকেন। বিড়ম্বনা শুধু চাকরিজীবীদের। এখানে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের যারা চাকরিজীবী রয়েছেন, তারা বাড়তি মূল্যস্ফীতিজনিত কারণে কোনো ভাড়া পাচ্ছেন না। ফলে সীমিত আয়ে সৎ চাকরিজীবীদের জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ কারণে কক্সবাজারের চাকরিজীবীরা দাবি করেছেন তাদের পর্যটন ভাতা দেওয়ার।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, পর্যটন ভাতার দাবিটা খুবই যৌক্তিক। আর সে কারণেই আমার আগের দুজন জেলা প্রশাসক বিষয়টি ঢাকায় অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে উত্থাপন করেছিলেন। আমরা আশা করি, এ বিষয়ে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক আসেন বলে এখানে দেশের অন্য যে কোনো জেলার চেয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেক বেশি। একই সঙ্গে যানবাহন ভাড়া থেকে শুরু করে, বাসা ভাড়া, আনুসঙ্গিক সব সেবার মূল্য বেশি। তাই এখানে জীবনযাপন করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ জন্য চাকরিজীবীদের সারা বছরই বেকায়দার পড়তে হয়। এ ছাড়া যারা কক্সবাজারে চাকরি করেন, তাদের বাসায় সারা বছরই অতিথি আসেন, ফলে তাদের ব্যয় আরও বেড়ে যায়।

সরকারি চাকরিজীবী মাহবুবুর রহমান জানান, বেতনের টাকায় এই শহরে জীবনযাপন করা খুবই কঠিন। সঞ্চয় ভাঙতে হচ্ছে বা বাড়ি থেকে সহায়তা নিতে হচ্ছে। কক্সবাজারে সরকারি চাকরিজীবীদের ৫৮টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সরকারি চাকরিজীবী সমন্বয় পরিষদ এরই মধ্যে এখানকার চাকরিজীবীদের বাড়তি দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। স্মারকলিপি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বরাবর। ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ বলেন, আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, এখানকার সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্যও পর্যটন ভাতা চালু করা প্রয়োজন। আমার জানা মতে, বিষয়টি এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে।

কক্সবাজার জেলা কালেক্টরেট সহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম ফরিদ বলেন, যারা পাহাড়ি এলাকায় চাকরি করেন তারা যদি পাহাড়ি ভাতা পায়, তাহলে আমরা যারা পর্যটন এলাকায় চাকরি করি কেন পর্যটন ভাতা পাব না।

বাংলাদেশ সময়: ১২:২১:৫৯   ৩৬৪ বার পঠিত