মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০১৬
স্মরণ : রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রতিবাদী কবি
Home Page » সারাদেশ » স্মরণ : রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রতিবাদী কবিবঙ্গ-নিউজঃ
১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। পিতার কর্মস্থল বরিশালে জন্মগ্রহণ করলেও তাদের মূল বাড়ি ছিল বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার মিঠেখালি গ্রামে। রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ঢাকা ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুল থেকে ১৯৭৪ সালে এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে এইচএসসি পাস করেন। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৮০ সালে সম্মানসহ বিএ এবং ১৯৮৩ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। মাত্র ৩৪ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে তিনি প্রতিবাদী কবি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, দেশাত্মবোধ, গণআন্দোলন, ধর্মনিরপেক্ষতা, ও অসাম্প্রদায়িকতা তার কবিতায় বলিষ্ঠভাবে উপস্থিত। স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠ ছিল উচ্চকিত। ১৯৭৫ সালের পরে স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
তার কবিতায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণআন্দোলন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতা। তারুণ্যের প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর স্বল্পায়ু জীবনে সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও রয়েছে গল্প, কাব্যনাট্য। তিনি ‘ভালো আছি ভালো থেকো’সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে উপদ্রুত উপকূল, ফিরে পাই স্বর্ণগ্রাম, মানুষের মানচিত্র, ছোবল, দিয়েছিলে সকল আকাশ এবং মৌলিক মুখোশ।
তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সত্তর দশকের অন্যতম জনপ্রিয় কবি হিসেবে অভিহিত হন। কবি ও গীতিকার রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শ্রোতাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। তার কবিতার পঙ্ক্তি তরুণ হৃদয়ে ধ্বনিত হয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। এই কবির প্রতিভা পূর্ণ বিকশিত হওয়ার আগেই মাত্র পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে ১৯৯১ সালের ২১ জুন ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। অকালে চলে যাওয়া কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুদিনে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:২৮:৪৭ ৪০০ বার পঠিত