সোমবার, ২০ জুন ২০১৬
শরীয়তপুর হাসপাতালে হয়রানির অভিযোগ, তদন্তে কমিটি
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » শরীয়তপুর হাসপাতালে হয়রানির অভিযোগ, তদন্তে কমিটি
বঙ্গ-নিউজঃ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে বিড়ালের কামড়ের এক রোগীকে ‘যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে’ হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় রোগীর পরিবার জেলা প্রশাসককে অভিযোগ করেছে। এর প্রেক্ষিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি তদন্তের ব্যবস্থা নিয়েছে।
গত ১০ জুন শরীয়তপুর পৌরসভার ধানুকা এলাকার দিনমজুর শাহজাহান সরদারের স্ত্রী রেহানা বেগমকে বিড়ালে কামড় দেয়। এরপর তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে বিড়ালের কামড়ের যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে ‘অযথা’ কয়েকটি পরীক্ষা করানোর অভিযোগ ওঠে ডা. সুমন কুমার পোদ্দারের বিরুদ্ধে।
রেহানা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১০ জুন তাকে বিড়ালে কামড়ালে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সুমন কুমার পোদ্দার তাকে বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন না দিয়ে পাঁচটি পরীক্ষা করতে বলেন।
“আমি বার বার বিড়ালের কামড়ের ওষুধ দিতে বললেও ডাক্তার পরীক্ষা করাতে বাধ্য করেন।”
রেহানা বলেন, পরীক্ষাগুলো করার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং এরপর তাকে কয়েকটি ইনজেকশন দিতে বলেন।
পরামর্শপত্রে লেখা ইনজেকশনগুলো হলো ক্লিনোসল, টপসেফ, এক্সন, ডিসোপেন ও সেরিটন।
ডাক্তারের পরামর্শের পরীক্ষাগুলো করতে তিন হাজার ২০০ টাকা খরচ হয় বলে জানান রেহানার স্বামী দিনমজুর শাহজাহান সরদার।
তিনি বলেন, তার স্ত্রীকে যথাযত চিকিৎসা না দিয়ে হয়রানি করার বিচার চেয়ে পরদিন (১১ জুন) তিনি শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জেলা প্রশাসক যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযোগটি সিভিল সার্জন বরাবর পাঠান।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. মসিউর রহমান বলেন, চিকিৎসক সুমন পোদ্দার যেসব প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা ও ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন তা বিড়ালের কামড়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
রোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১২ জুন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুনীর আহমদ খানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
“রোববার সকালে তারা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এখনও তা পর্যালোচনা করা হয়নি। পর্যালোচনা করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমার সাধ্যের বাইরে চলে গেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।”
ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, “আমার কাছে রোগী যখন চিকিৎসা নিতে আসে তখন সে অচেতন অবস্থায় ছিল। সে আমাকে বিড়ালের কামড়ের কথা বলেনি। তার শরীর দুর্বল থাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৭:৪১ ৪৯৮ বার পঠিত