বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০১৬

চীনের শ্রমঘন কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব আমুর

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » চীনের শ্রমঘন কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব আমুর
বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০১৬



বঙ্গ-নিউজঃ  বাংলাদেশে চীনের শ্রমঘন শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছেন কুনমিংয়ে সফররত শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, চীন সরকারের ‘বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়’ নীতির আলোকে সে দেশের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশ অধিকাংশ পণ্য শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে। বাংলাদেশে স্বল্প মজুরিতে বিপুল পরিমাণ দক্ষ শ্রমিক এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীর জন্য আকর্ষণীয় ইনসেনটিভ সুবিধা রয়েছে। চীনা বিনিয়োগকারীরা এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে কম দামে গুণগত মানের পণ্য উৎপাদন করে তা নিজেদের দেশে রফতানির সুযোগ নিতে পারে।শিল্পমন্ত্রী গতকাল সোমবার চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিং শহরে ওয়ান্ডা ভিস্তা হোটেলে শিল্প উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তাবিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তৃতাকালে এ প্রস্তাব দেন। চতুর্থ চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনী এবং ২৪তম চীনা কুনমিং আমদানি-রফতানি পণ্য মেলার পাশাপাশি এ ফোরাম আয়োজন করা হয়। চীন সরকারের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বিভাগ আয়োজিত এ ফোরামে ওই বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান নিং জি, ইউনান প্রদেশের গভর্নর চেন হাউ, আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মন্ত্রী, শিল্প উদ্যোক্তা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশ নেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ চীনে এক বিলিয়ন ডলারেরও কম রফতানি করছে। দ্রুত বাণিজ্য প্রসার ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। চীনা উদ্যোক্তাদের জন্য চট্টগ্রামে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৬:০১   ২৭২ বার পঠিত