মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০১৬

কালপঞ্জি ঘেঁটে বায়োমেট্রিক্সের ইতিহাসের সম্পর্কে খানিকটা ধারণা

Home Page » এক্সক্লুসিভ » কালপঞ্জি ঘেঁটে বায়োমেট্রিক্সের ইতিহাসের সম্পর্কে খানিকটা ধারণা
মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০১৬



বঙ্গ-নিউজঃ

বায়োমেট্রিক্স বিষয়টি আলোচনায় উঠে এলেও বিশ্ব জুড়ে এ নিয়ে কাজ চলছে অনেক আগে থেকেই। আধুনিক বায়োমেট্রিক্স নিয়েই গবেষণা চলছে প্রায় দুই শতাব্দী ধরে।
চলুন তাহলে কালপঞ্জি ঘেঁটে আধুনিক বায়োমেট্রিক্সের অগ্রযাত্রা সম্পর্কে খানিকটা ধারণা নিয়ে আসি।
১৮৫৮-সনাক্তকরণ কাজে নিয়মানুগভাবে প্রথম হাতের ছাপ ক্যাপচার করা হয়। ইন্ডিয়ান কর্মীদের পরিচিতি ঠিক রাখতে প্রথম এই কাজটি করেছিলেন স্যার উইলিয়াম হারসেল।
১৮৭০- বার্টিলন (Bertillon) উন্নয়নের জন্য ব্যক্তির বৈজ্ঞানিক সনাক্তকরণে এটি করা হয়। অপরাধীদের পরিচিতি ধরে রাখতেও তখন এটি ব্যবহৃত হয়। বিশ্বজুড়েই পুলিশ কর্তৃপক্ষ এই সিস্টেম ব্যবহার করেন।
১৮৯২-স্যার গালটন আঙ্গুলের ছাপ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র লেখেন যার নাম হয়েছে গালটন সিস্টেম। ফিঙ্গারপ্রিন্টের ক্ষেত্রে এটিই সর্বাধিক ব্যবহৃত হচ্ছে।
১৮৯৪- পণ্ডিত উইলসন এবং লেখক মার্ক টোয়েইন অপরাধী ও নিরপাধীদের বিচার কাজের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্টের প্রচলন করেন।
১৯০৩- নিউইয়র্ক সিভিল সার্ভিস কমিশন কয়েদিদের ক্ষেত্রে এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার চালু করে। মানুষের পরিচিতি সর্বোচ্চভাবে নিশ্চিত হতেই তারা এটি চাল করে। ধীরে ধীরে গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় এফবিআইর ব্যবহারের জন্য ১ জুলাই, ১৯২১ সালে মার্কিন কংগ্রেস এটি অনুমোদন করে।
১৯০৩- কিন্তু বার্টিলন সিস্টেম ভেঙে পড়ে। এক ঘটনার জন্য ঘটনাস্থলে দু’জনকে শাস্তি দেওয়া হয়। পরে সেই চ্যালেঞ্জ করা হয়। দ্বিতীয় রায়ে ভিন্ন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হয়।
১৯৩৬- ফ্রাঙ্ক ব্রুস ব্যক্তি ভেদে পরিচিতির জন্য এই সিস্টেম চালু করেন। ফ্রাঙ্কের অনুমোদনের পর ১৯৬০ আয়ারল্যান্ডে এটি অর্ধেক চালু হয়ে যায়।
১৯৬০- গুনার ফান্ট নামের এক সুইডিশ অধ্যাপক প্রথমবারের মতো অ্যাক্যুস্টিক স্পিচ প্রোডাকশন বা ধ্বনির ওপর ভিত্তি করে শব্দ তৈরি ও সনাক্ত করার একটি মডেল তৈরি করেন। বিশেষ ধ্বনি উচ্চারণের সময় বিভিন্ন মানুষের নেয়া এক্স-রে বিশ্লেষণ করে তৈরি হয় মডেলটি।
১৯৬৩- স্বয়ংক্রিয়ভাবে আঙ্গুলের ছাপ যাচাইয়ের ওপর হিউয়ের গবেষণাপত্র এ সময় প্রকাশিত হয়।
১৯৬৫- স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্বাক্ষর সনাক্ত করার ওপর গবেষণা শুরু হয়। এ সময় নর্থ আমেরিকান এভিয়েশন প্রতিষ্ঠানটি প্রথম স্বাক্ষর সনাক্তকারী ব্যবস্থা তৈরি করে।
১৯৬৯- এফবিআই নিজেদের জন্য স্বয়ংক্রিয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সনাক্তকরণ চালু করার উদ্দেশ্যে গবেষণা চালাতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি’র (এনআইএসটি) সঙ্গে চুক্তি করে। এনআইএসটি এক্ষেত্রে দু’টি চ্যালেঞ্জ সনাক্ত করে: ১. ফিঙ্গারপ্রিন্টযুক্ত কার্ড স্ক্যান করে খুঁটিনাটি চিহ্নিত করা, ২. তালিকায় থাকা খুঁটিনাটি তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা।
১৯৭০’র দশক- ফেস রেকগনিশন প্রযুক্তি চালু হওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো। গোল্ডস্টেইন, হার্মন ও লেস্ক মিলে চুলের রং, ঠোঁটের পুরুত্বসহ ২১টি বিশেষ অংশের পরিচায়কের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয় ফেস রেকগনিশন পদ্ধতি চালু করেন। এর একটাই সমস্যা ছিলো: পরিচায়কগুলোর পরিমাপ ছিলো সম্পূর্ণ হাতের ওপর। তাই পরিমাপে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল অনেক বেশি।
১৯৭০- কণ্ঠস্বরের আচরণগত উপাদানগুলো প্রথমবারের মতো একটি মডেলের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এ সময় ১৯৬০-এ তৈরি প্রথম অ্যাক্যুস্টিক স্পিচ প্রোডাকশনের উন্নয়ন করেন ড. জোসেফ পারকেল। তিনি এ কাজে মোশন এক্স-রে ব্যবহার করেন এবং জিহ্বা ও চোয়ালকেও অন্তর্ভুক্ত করেন।
১৯৭৪- প্রথম হ্যান্ড জিওমেট্রি ব্যবস্থা বাজারে আসে। এই পদ্ধতির পেছনে উদ্দেশ্য ছিল তিনটি: প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ, সময় এবং উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ এবং ব্যক্তি সনাক্তকরণ।
১৯৭৫- সেন্সর ও খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ বিষয়ক প্রযুক্তির উন্নয়নে অর্থ সহায়তা দেয় এফবিআই, যার ফলে নতুন ধরণের একটি পরীক্ষামূলক রিডার তৈরি করা সম্ভব হয়। তবে অতিরিক্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় এতে শুধু আঙ্গুলের ছাপের খুঁটিনাটি তথ্যগুলোই সংরক্ষণ করা হতো। কালিতে সংরক্ষিত ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডিজিটাল করা ও ছবির মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে পরবর্তী দশকে ব্যাপক গবেষণার মধ্য দিয়ে এনআইএসটি এম৪০ অ্যালগরিদম তৈরি করতে সফল হয়।
১৯৭৬- টেক্সাস ইন্সট্রুমেন্টস প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে স্পিকার রেকগনিশন পদ্ধতি তৈরি করে। এটি পরীক্ষা করে মার্কিন বিমানবাহিনী ও মিত্রে কর্পোরেশন।
১৯৭৭- ভেরিপেন ইনকর্পোরেটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ‘পারসোনাল আইডেন্টিফিকেশন অ্যাপারেটাস’ নামের প্রযুক্তির পেটেন্ট পায়। এই প্রযুক্তিতে ব্যক্তির সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্যগুলোর পরিবর্তনশীল দিকগুলোকে চিহ্নিত করা সম্ভব।
১৯৮০’র দশক- কণ্ঠস্বর সনাক্তকরণ প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে এনআইএসটি স্পিচ গ্রুপ গঠিত হয়।
১৯৮৫- বিশ্বে কোনো দুই চোখের আইরিস একরকম নয়- এমনটাই প্রস্তাব করেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ড. লিওনার্ড ফ্লোম ও আরান সাফির।
১৯৮৫- ডেভিড সিডলস্কাস হ্যান্ড জিওমেট্রির মাধ্যমে হাতের ছাপ ও আকার সনাক্তকারী প্রযুক্তির পেটেন্ট লাভ করেন।
১৯৮৬- যুক্তরাষ্ট্রের এনআইএসটি প্রথমবারের মতো আনসি’র সঙ্গে মিলে ফিঙ্গারপ্রিন্টের খুঁটিনাটি তথ্য আদানপ্রদানের ব্যাপারে নীতিমালা প্রণয়ন করে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা এই নীতিমালারই আধুনিক সংস্করণ ব্যবহার করছে।
১৯৮৬- ব্যক্তি সনাক্তকরণে আইরিস ব্যবহার করা যাবে, এই ধারণার জন্য পেটেন্ট অর্জন করেন ড. লিওনার্ড ফ্লোম ও আরান সাফির। ড. ফ্লোম মানুষের চোখের আইরিস স্বয়ংক্রিয় উপায়ে সনাক্ত করার উদ্দেশ্যে অ্যালগরিদম তৈরির জন্য ড. জন ডগম্যানের শরণাপন্ন হন।
১৯৮৮- প্রথম প্রায়-স্বয়ংক্রিয় ফেস রেকগনিশন পদ্ধতির মাধ্যমে অপরাধীদের ডিজিটাল ছবির ডেটাবেস রেকর্ডের সঙ্গে স্কেচ বা ভিডিও ছবি মিলিয়ে দেখা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্টের লেকউড বিভাগ।
১৯৮৮- ফেস রেকগনিশন সমস্যার সমাধানে ‘ইগেনফেস’ নামের একটি স্ট্যান্ডার্ড লিনিয়ার অ্যালজেব্রা প্রযুক্তি নিয়ে আসেন কার্বি ও সিরোভিচ।
১৯৯১- টার্ক ও পেন্টল্যান্ড আবিষ্কার করেন, ইগেনফেস প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের চেহারা সনাক্ত করতে গিয়ে যেসব ভুল ধরা পড়ছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলেই চলমান সময়ে (রিয়েল টাইম) স্বয়ংক্রিয় ফেস রেকগনিশন সম্ভব।
১৯৯২- বায়োমেট্রিক কনসোর্টিয়াম গঠন করে মার্কিন সরকার। এ বছরের অক্টোবরে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) নবগঠিত সংঘের প্রথম বৈঠকে বসে।
১৯৯৩- যুক্তরাষ্ট্রে ফেস রেকগনিশন টেকনোলজি (FacE REcognition Technology- FERET) প্রকল্প চালু হয়। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত প্রকল্পটির উন্নয়ন ও মূল্যায়নে অর্থ দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো।
১৯৯৪- ড. জন ডগম্যানের নামে প্রথম আইরিস রেকগনিশন অ্যালগরিদমের পেটেন্ট করা হয়। বর্তমানে ইরিডিয়ান টেকনোলজিস’র মালিকানাধীন পেটেন্টটি অধিকাংশ আইরিস সনাক্তকারী বাণিজ্যিক পণ্যের রূপদাতা।
১৯৯৪- এফবিআইয়ের অধীনে নতুন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সনাক্তকারী প্রযুক্তি Integrated Automated Fingerprint Identification System (IAFIS) তৈরির জন্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। লকহিড মার্টিন প্রতিযোগিতায় জয়ী হন।
১৯৯৪- হাতের তালু সনাক্ত করার প্রযুক্তি নির্ধারণ হয় এ সময়ে হাঙ্গেরির কোম্পানি রিকোওয়্যার লিমিটেড রিকোডার্ম নামের প্রযুক্তিটি বাজারে আনে।
১৯৯৪- ভ্রমণকারীদের জন্য হ্যান্ড জিওমেট্রি প্রযুক্তির ইন্সপাস পদ্ধতি চালু হয়। ধীর্ঘ ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার পরিবর্তে এই কার্ড দিয়ে ইমিগ্রেশনের কাজ শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। তবে ২০০৪ সালের শেষ দিকে এটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
১৯৯৫- প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক আইরিস রেকগনিশন প্রযুক্তি বাজারে আসে।
১৯৯৬- আটলান্টা অলিম্পিক গেমসের সময় অলিম্পিক ভিলেজে প্রবেশাধিকার সংরক্ষণের জন্য সেখানে ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষের তথ্য সম্বলিত হ্যান্ড জিওমেট্রি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
১৯৯৬- স্পিকার রেকগনিশন প্রযুক্তির বার্ষিক মূল্যায়ন শুরু করে এনআইএসটি।
১৯৯৭- এনএসএ’র অর্থায়নে প্রথম বাণিজ্যিক জাতিভিত্তিক বায়োমেট্রিক আন্তঃব্যবহার বিষয়ক নীতিমালা প্রকাশিত হয়।
১৯৯৮- ফরেনসিক কাজে ডিজিটাল উপায়ে ডিএনএ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ, অনুসন্ধান ও উদ্ধারের জন্য প্রথম সমন্বিত ডিএনএ ইনডেক্স ব্যবস্থা (CODIS) চালু করে এফবিআই।
১৯৯৯- বায়োমেট্রিক্স এবং মেশিন রিডেবল ভ্রমণ দলিলাদির সঙ্গতির ওপর গবেষণা শুরু হয়।
১৯৯৯- এফবিআইয়ের IAFIS প্রযুক্তির কাজ শুরু হয়। প্রযুক্তিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দু’হাতের দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চেহারার ইলেকট্রনিক ইমেজ সংরক্ষণ করতে ও সার্চে ব্যবহার করতে পারে।
২০০০- বিভিন্ন মার্কিন সরকারি সংস্থা মিলে প্রথম ফেস রেকগনিশন ভেন্ডর টেস্ট (FRVT 2000) পরীক্ষাটি করে।
২০০০- মানুষের রক্ত সংবহণতন্ত্রের প্যাটার্নকে সনাক্তকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায় কিনা এর ওপর প্রথম গবেষণা শুরু এ সময়। হাতের পাতার উল্টো পিঠ দিয়েই কাজ শুরু হয়।
২০০০- ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটি বায়োমেট্রিক্সের ওপর ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করে।
২০০১- ফ্লোরিডার টাম্পাতে আয়োজিত সুপার বোউল প্রতিযোগিতায় যেন কোনো অপরাধী ঢুকতে না পারে তাই এখানে ফেস রেকগনিশন প্রয়োগ করা হয়। এতে কোনো অপরাধী সনাক্ত না হলেও ডজনখানের নিরপরাধ ভক্ত-দর্শক হয়রানির শিকার হয়েছিলো।
২০০২- বায়োমেট্রিক্স ব্যবহারে আইএসও/আইইসি মানদণ্ড প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০২- সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাজের মানোন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রে এম১ টেকনিক্যাল কমিটি অন বায়োমেট্রিক্স গঠিত হয়।
২০০২- হাতের তালুর ছাপ ও IAFIS এর কর্মক্ষমতার ওপর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।
২০০৩- যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর পারস্পরিক সমন্বয়ে আনুষ্ঠানিকবাবে বায়োমেট্রিক কার্যক্রম শুরু হয়।
২০০৩- পাসপোর্টসহ অন্যান্য মেশিন রিডেবল ভ্রমণ সংক্রান্ত দলিলাদিতে বায়োমেট্রিক তথ্যাবলি যুক্ত করার প্রকল্প হাতে নেয় মার্কিন সংস্থা ICAO।
২০০৩- ইউরোপিয়ান কমিশনের সমর্থনে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউরোপিয়ান বায়োমেট্রিক্স ফোরাম গঠিত হয়।
২০০৪- যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ইউএস-ভিজিট প্রকল্প চালু হয়, যেখানে বায়োমেট্রিক তথ্যাদি ব্যবহার শুরু হয়।
২০০৪- জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ অটোমেটেড বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (ABIS) প্রয়োগ শুরু করে। এতে চেহারার পাঁচ দিকের ছবি, দম আঙ্গুলের ছাপ, কণ্ঠস্বরের নমুনা, আইরিসের ছবি এমনকি থুতুর নমুনাও সংরক্ষণ করা হয়।
২০০৪- প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক তথ্যযুক্ত কার্ড ইস্যু করার নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ।
২০০৪- যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম অঙ্গরাজ্যভিত্তিক হাতের ছাপের ডাটাবেস চালু হয়।
২০০৪- ফেস রেকগনিশন অ্যালগরিদমের উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষকদের জন্য ফেস রেকগনিশন গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মার্কিন সরকার।
২০০৫- যুক্তরাষ্ট্রে বায়োমেট্রিক্স কনসোর্টিয়াম কনফারেন্সে দেশটির ইন্টেলিজেন্স টেকনোলজি ইনোভেশন সেন্টারের অর্থায়নে ‘আইরিস অন দ্যা মুভ’ নামে গবেষণা প্রকল্প শুরু হয়।
২০০৮- ফিঙ্গারপ্রিন্ট, আইরিস ও ফেসিয়াল ইমেজ বিষয়ক আধুনিক অ্যালগরিদমের সমন্বয়ে বায়োমেট্রিক ডেটাবেসের ব্যবহার শুরু করে মার্কিন সরকার।
২০১০- যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাপারেটাস অপরাধী সনাক্ত করার কাজে বায়োমেট্রিক্স ব্যবহার করে। এ সময় নাইন ইলেভেনের হামলাকারীদের সনাক্ত করতে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তির সাহায্য নেয়া হয়।
২০১১- বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে ৯৫ শতাংশ নিশ্চয়তাসহ ওসামা বিন লাদেনের মৃতদেহ সনাক্ত করা হয়।
২০১৩- অ্যাপল তাদের বিভিন্ন মডেলের ট্যাব ও স্মার্টফোনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যুক্ত করে।

বাংলাদেশ সময়: ০:৩৪:৩১   ৩৭৮ বার পঠিত