রবিবার, ৫ জুন ২০১৬
শেষ হোল ইউপি নির্বাচন - মারা গেল ১০৬ জন
Home Page » প্রথমপাতা » শেষ হোল ইউপি নির্বাচন - মারা গেল ১০৬ জনবঙ্গ-নিউজঃ দেশের ইতিহাসে সবচেয় বেশি প্রাণঘাতী নির্বাচন শেষ হলো। শনিবার ষষ্ট ধাপের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটলো নবম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের। এই নির্বাচনে শনিবার রাত নয়টা পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ১০৬ জন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
নির্বাচনের ষষ্ট ও শেষ ধাপ ছিলো শনিবার। এ দিনও তিনজন সংঘর্ষে প্রাণ হারান। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন একজন। এ ছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন।
এর আগে আরো আটবার ইউপি নির্বাচন হয়েছে দেশে। কোনোবারই এতো মানুষ মারা যাননি। এতোদিন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ-কাড়া নির্বাচন ছিলো ১৯৮৮ সালের ইউপি নির্বাচন। তখন ক্ষমতায় ছিলেন হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ।
সময় মারা যান মোট ৯৫ জন। তবে কোনো সংবাদ মাধ্যমে ওই নির্বাচনে মারা যাওয়ার সংখ্যা ৮৫-ও বলা হয়েছে।
২০০৩ সালের ইউপি নির্বাচনে প্রাণ হারান ৮০ জন মানুষ। সে সময় ক্ষমতায় ছিলো বিএনপি-জামায়াত জোট। ৫১ দিন ধরে হয়েছিলো ২০০৩ সালের ইউপি নির্বাচন।
সব মিলিয়ে এবারই সবচেয়ে ‘ভয়ঙ্কর’ নির্বাচন হলো। সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ নেয়া এই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘নির্বাচিত’ হওয়ারও রেকর্ড গড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্তত ২২০টি আসনে কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই জিতেছে তারা।
এবার ছয় ধাপে তিন হাজার ৯৬৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে। সিংহভাগ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা।
সরকারের ক্ষুদ্রতম সংস্থা ইউনিয়ন পরিষদে এবারই প্রথম দলীয়ভাবে নির্বাচন হলো। এর আগের আট নির্বাচনে ইউপিতে হতো নির্দলীয় নির্বাচন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দলীয় হওয়ার কারণেই এবার সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং প্রাণ হারিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০:৫৩:৩১ ৩৫৮ বার পঠিত