বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০১৬
বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস কমিটি
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস কমিটিবঙ্গ-নিউজ:এই সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্কের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ডুডলিকে পাঠানো প্রতিনিধি পরিষদের সায়েন্স কমিটির একটি চিঠির কথা তুলে ধরে বুধবার রয়টার্স এই খবর দিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের এই ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে সুইফটের মাধ্যমে ভুয়া নির্দেশনা পাঠিয়ে লোপাট হয়।
আলোচিত এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে সরে যেতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নড়চড় শুরু হয়।
এর মধ্যে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ভিয়েতনাম ও ইকুয়েডরের অর্থ চুরির ঘটনা প্রকাশের প্রেক্ষাপটে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের বৈশ্বিক সংগঠন সুইফট ব্যাংকগুলোকে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের পরামর্শ দেয়।
তারপরই গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস কমিটির চিঠি যায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে এবং চিঠিতে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত সব তথ্য দিতে বলা হয়।
এসব তথ্য ১৪ জুনের মধ্যে দিতে বলেছে কংগ্রেস কমিটি। ব্যাংকের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, তারা কংগ্রেস কমিটির অনুরোধে সাড়া দিয়ে তথ্যগুলো পাঠাবেন।
ভুয়া নির্দেশে ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে রিজার্ভের অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে নিউ ইয়র্ক ফেডের দায়ও দেখছে বাংলাদেশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকটির দাবি, তাদের নিরাপত্তায় কোনো খাদ নেই।
প্রতিনিধি পরিষদের সায়েন্স কমিটির চেয়ারম্যান ল্যামার স্মিথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, “আর্থিক ব্যবস্থাপনার উপর সাম্প্রতিক সাইবার হামলার আলোকে কমিটি নিউ ইয়র্ক ফেড থেকে এই বিষয়গুলো জানা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে।”
এগুলো হচ্ছে- ঘটনার পর নিউ ইয়র্ক ফেড কী পদক্ষেপ নিয়েছিল, সুইফটের কোনো গলদ ছিল কি না, তদন্তের হাল কী পর্যায়ে রয়েছে, এই ধরনের ঝুঁকি ঠেকাতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
একই ধরনের তথ্য চেয়ে গত মাসে সিনেটের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটির প্রধান টম কার্পেরও নিউ ইয়র্ক ফেডকে চিঠি দিয়েছিল। টম কার্পের একজন ডেমোক্রেট সিনেটর, অন্যদিকে স্মিথ প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে বাংলাদেশের এক বিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি মেসেজে আট কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপিন্সের একটি ব্যাংকে। আর আরেক আদেশে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয় ২০ লাখ ডলার।
শ্রীলঙ্কায় পাঠানো অর্থ ওই অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া শেষ পর্যন্ত আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সের ব্যাংকে যাওয়া অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় বদলে জুয়ার টেবিল ঘুরে চলে যায় নাগালের বাইরে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সাইবার চুরির এই ঘটনা বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারে ঘটনার এক মাস পর, ফিলিপিন্সের একটি পত্রিকার খবরের মাধ্যমে।
এই ঘটনার তদন্তে বাংলাদেশ সরকার যে কমিটি করেছে; তারা বলছে, এই ঘটনায় সুইফটেরও দায় আছে। আর এই চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ থাকলেও থাকতে পারে
বাংলাদেশ সময়: ১৩:২৯:১৭ ৪১০ বার পঠিত