বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০১৬

পঞ্চমবারের মতো অভিযান চালাল ডিএসসিসি

Home Page » জাতীয় » পঞ্চমবারের মতো অভিযান চালাল ডিএসসিসি
বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০১৬



ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ গতকাল আবারও মতিঝিল এজিবি কলোনিতে সড়ক দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে l ছবি: প্রথম আলো

বঙ্গ-নিউজ:মতিঝিল এজিবি কলোনিতে সড়ক দখল করে আবার গড়ে তোলা ১৩৪টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। এটি ওই সড়কে পঞ্চম অভিযান। এর আগে চারবার অভিযান চালানো হলেও কাজ হয়নি।

গতকাল বুধবার দুপুর ১২টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টার অভিযানে এসব দোকান উচ্ছেদ করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কলোনি বাজারে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। অভিযানে পুলিশ ও র্যাব অংশ নেয়।
গত ২০ মার্চ প্রথম আলোয় সড়ক দখল করে অবৈধ দোকান নির্মাণ নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। অসচ্ছল দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির নামে কাঁচাবাজারের দোকানগুলো নির্মাণ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাবাসীর পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী ডিএসসিসির ম্যাজিস্ট্রেট খান মো. নাজমুস শোয়েব প্রথম আলোকে বলেন, গত ৩ মে হাইকোর্ট থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে এজিবি কলোনির দোকানগুলো উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায় অনুসারেই এখানে আবার উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে গত মাসের শুরুতে ১৩৪টি মজবুত পাকা স্থাপনা উচ্ছেদের পর কিছুদিন এই জায়গা খালি ছিল। এক সপ্তাহ আগে থেকে এখানে বাঁশ ও টিন দিয়ে আবার ১৩৪টি দোকান তৈরি করা হয়।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কলোনি বাজারের পূর্ব প্রান্ত থেকে বুলডোজারের সাহায্যে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। অভিযান শুরুর আগেই বিভিন্ন দোকানি ও কর্মচারীরা মালামাল সরিয়ে নেন। পূর্ব প্রান্তের দক্ষিণ দিকের প্রথম দোকানটি ছিল একটি হোটেল। অন্যগুলোর মধ্যে ছিল ভাঙারি, সেলুন, কাঠের দোকান, মুরগির দোকান ইত্যাদি। বেলা প্রায় দেড়টার দিকে অভিযান শেষ হলে কয়েকজন দোকানি প্রথম আলোকে বলেন, আগে অসচ্ছল দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির নামে যেসব দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেগুলো তাঁরা নিয়েছিলেন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা করে। সেই টাকা তাঁরা ফেরত পাচ্ছেন না। নতুন করে টিন ও বেড়ার দোকান করে তাঁদের আপাতত চালিয়ে নিতে বলা হয়েছিল।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কলোনি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ধ্বংসাবশেষের ওপরেই পসরা সাজিয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি। যে হোটেলটি ভেঙে দেওয়া হয়, সেখানে আবার চেয়ার-টেবিল বসিয়ে খোলা আকাশের নিচেই বেচাকেনা চলছে। ফল তরিতরকারি, মুরগির দোকানও বসেছে একইভাবে। ভেঙে দেওয়া একটি দোকানের পাকা মেঝে খুঁড়ে চারপাশে চারটি বাঁশ গাড়তেও দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১১:২৪:১০   ৩৬৫ বার পঠিত