মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০১৬
ভূমধ্যসাগরে আরেক ‘আয়লান কুর্দি’
Home Page » প্রথমপাতা » ভূমধ্যসাগরে আরেক ‘আয়লান কুর্দি’বঙ্গ-নিউজঃ ২০১৫ সালের শেষদিকে সাগরতীরে লাল জামা পড়া আয়লান কুর্দির নিথর দেহটির কথা নিশ্চয়ই আপনার মনে আছে। এ বছরও ভূমধ্যসাগরে মর্মান্তিক আরেকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইউরোপে ভাইরাল হয়েছে। শরণার্থী সমস্যার দুর্দশারই প্রতিচ্ছবি যেন ছবিটি।
ছবিটিতে দেখা যায়, এক জার্মান উদ্ধারকর্মী তার বাহুতে সাগরে ডুবে মারা যাওয়া এক শিশুর নিথর দেহ কোলে নিয়ে আছেন। ছবি দেখে ধারণা করা যায়, শিশুটির বয়স এক বছরের কম হবে। এই ছবিটিই গত কয়েক মাসে ভূমধ্যসাগরে শরণার্থীদের করুণ অবস্থার ভয়াবহ অবস্থার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। ছবির শিশুটিকে শুক্রবার উদ্ধার করা হয়।
হৃদয় বিদারক এই ছবিটি দেখিয়ে বিভিন্ন উদ্ধারকারী সংগঠনগুলো ইউরোপীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। জানা যায়, গত সপ্তাহের শেষ তিনদিনে ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে অন্তত তিনটি জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। শরণার্থী বোঝাই জাহাজগুলো ডুবে সাত শত-এর বেশি শরণার্থী মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতালীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা রোববার ৪৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
আলোচিত ছবিটির শিশুটিকে উদ্ধার করেন মার্টিন নামের এক উদ্ধারকর্মী। তিনি এক ইমেইল বার্তায় বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম পানির মধ্যে একটি পুতুল ভাসছে। পরে দেখি পুতুলের মতো একটি শিশুর নিথর দেহ। আর পুতুলের মতোই শিশুটি দুই হাত প্রসারিত করে আছে।’
তিনি বলেন, ‘শিশুটি সত্যি পুতুলের মতো। সমুদ্র থেকে তাকে আমি তার হাত ধরে টেনে নিজের কোলে নেই। পরে আমার বাহুতে শুয়ে দেই। মনে হচ্ছিল শিশুটি বেঁচে আছে। তার মুষ্ঠিবদ্ধ হাত যেন কোনকিছু ধরতে চাইছে। আর সূর্যের আলোয় যেন তার মুখ চকচক করছিল। ডাক্তাররা জানান, ছয় ঘণ্টা আগেও শিশুটি জীবিত ছিল।’
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স জানায়, জার্মান ভিত্তিক একটি মানবিক সংগঠন ডুবে মৃত্যুবরণ করা আরো ২৫ টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তারাই মূলত এই আলোচিত ছবিটি প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৫:৩২ ৩৪৩ বার পঠিত