বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০১৬

পায়ে পানি আসার যত কারণ ও প্রতিকার

Home Page » স্বাস্থ্য ও সেবা » পায়ে পানি আসার যত কারণ ও প্রতিকার
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০১৬



বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ বিভিন্ন কারণে পায়ে পানি আসতে পারে। দুই পা ফুলে যাওয়া বা পায়ে পানি আসা খুবই মারাত্মক রোগের লক্ষণ। এমন লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অঙ্গ তথা হৃদযন্ত্র, লিভার, কিডনি, খাদ্যনালির কাজের ব্যাঘাত ঘটলে পা ও শরীরে পানি আসে। শরীর ও পায়ে পানি আসার কিছু কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ

হৃৎপি-ের সমস্যা : হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা কমে গেলে, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত (ওঐউ), হৃদযন্ত্রের ভাল্বের সমস্যায় হার্টের মাংসপেশির কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে পা, পেট, বুকে পানি আসে। রোগীর বুকব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ থাকে।

লিভারের সমস্যা : লিভার সিরোসিস হলে প্রথমে পেট, পরে পা ও বুকে পানি জমে। হেপাটাইটিস ভাইরাস (বি, সি), অতিরিক্ত মদ্যপান, লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে লিভারের সিরোসিস হয়। রোগীর খাবারে অরুচি, হলুদ প্রস্রাব, রক্তবমির লক্ষণ থাকে।

কিডনির সমস্যা : নেফ্রোটিক সিনড্রোম, নেফ্রাইটিস ও কিডনি বিকল হলে প্রথমে মুখ, পরে পা ও বুকে পানি আসে। এসব রোগীর বেশি বেশি প্রস্রাব, বমি বমি ভাব, খাবারে অরুচি, প্রস্রাব ফেনা ফেনা, প্রস্রাবের রঙ ঘন সরিষার তেলের মতো, কম প্রস্রাব হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ থাকে। রক্তে আমিষের মাত্রা কমে গেলে, পরিমিত খাবার না খেলে, হজম না হলে, খাদ্যনালি থেকে আমিষ বের হয়ে গেলে, কিডনি দিয়ে আমিষ বেরিয়ে গেলে, আমিষ শরীরে তৈরি না হলে রক্তে আমিষের মাত্রা কমে যায়। রক্তে আমিষ কমে গেলে পা, পেট ও বুকে পানি আসে।

থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা : শরীরে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা কমে গেলে পায়ে পানি আসে। রোগীর গলগ-, শীত লাগা, মোটা হয়ে যাওয়া, মাসিকের সময় রক্ত বেশি যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ থাকে।

ওষুধের কারণে পা ফুলে যাওয়া : ব্যথার ওষুধÑ ডাইক্লোফেনাক, ন্যাপরোক্সেন, আইবুপ্রফেন, ইটোরিকক্সিব খেলে পায়ে পানি আসে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, ক্যালসিয়াম, চ্যানেল ব্লকারÑ নিফেডিপিন, অ্যামলোডিপিন সেবনে পানি আসতে পারে।

পায়ে পানি এলে করণীয় : পায়ে পানি এলে রোগীকে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগের ইতিহাস, পর্যবেক্ষণ ও কিছু পরীক্ষাÑ ঈইঈ, টৎরহব জ/ঊ, বুকের ঢ-ৎধু, ইসিজি, হরমোন, পেটের আলট্রাসনোগ্রাম, হার্টের ইকো-কার্ডিওগ্রাম ইত্যাদি করে পানি আসার কারণ নির্ণয় করা যায়।

লেখক : ডায়াবেটিস, অ্যাজমা, হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ; সহকারী অধ্যাপক

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা

চেম্বার : পলাশ মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি, ৩৩/৭ ওয়্যারলেস গেইট, মহাখালী, ঢাকা

০১৬২০২১৭৪৪২, ০১১৯১৪২০৭২৭

বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৪:৪১   ৬৩৫ বার পঠিত