মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০১৬

রোবটের সৃজনশীল দক্ষতায় মুগ্ধ নির্মাতা

Home Page » বিজ্ঞান-প্রযুক্তি » রোবটের সৃজনশীল দক্ষতায় মুগ্ধ নির্মাতা
মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০১৬



robot

বঙ্গ-নিউজঃ আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য ডিজাইন করা একটি রোবট তার কোলে কোনো বস্তুকে ধরে রাখার কৌশল আয়ত্ব করে ফেলেছে ঠিক যেমন একজন মানুষ কোনো কিছুকে ধরে সযত্নে আগলে রাখে।

কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। এমনকি আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো রোবটটি নিজে নিজেই তার পাঁজরের মধ্যে স্বস্নেহে কোনো কিছু আগলে ধরতে পারে।

‘আমরা এটা কখনো ভাবতেই পারিনি’, রোবোটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শ্রীনিবাস, এ কথা বলেন।

এইচইআরবি এর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই হোম এক্সপ্লোরিং রোবটটি সমস্যার সমাধান এবং চারপাশের বস্তুর সরাতে অ্যালগরিদম একটি সিরিজ ব্যবহার করে। এইচইআরবি এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো, এটি একই সঙ্গে কোনো নির্দিষ্ট ধরনের বস্তুকে শনাক্ত করতে এবং তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় স্থানান্তর করতে সক্ষম।

আগের একটি ভিডিওতে রোবটটিকে ব্লক সরাতে এবং রঙ অনুযায়ী তাদেরকে বাছাই করতে দেখা গেছে।

শ্রীনিবাসের সাম্প্রতিক লক্ষ্য ছিল, রোবোটিক্স সহায়তাকে কারখানার বাইরে এনে বাড়ির কাজকর্মের মধ্যে যুক্ত করা। কারখানায় রোবট প্রোগ্রাম সেটিং করলে তা নির্দিষ্ট রুটিন অনুসরণ করে কাজ করে। কিন্তু বাসার পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়। কনটেক্সট অনুযায়ী বস্তু চিনতে পারা এবং হ্যান্ডেল করাটাই এখানে মূল বিষয়।

অন্য কথায় বলতে গেলে ধরুন আপনি একটি রোবট চান যে কিনা ‘আমাকে একটু বিয়ার ঢেলে দাও’ এর অর্থ বুঝতে পারবে। সেক্ষেত্রে আপনি নিশ্চই চাইবেন না যে রোবটটি রেফ্রিজারেটর খুলে প্রতিটি বস্তুকে একই বলে ব্যখ্যা করুক অথবা এটি আপনার রেফ্রিজারেটরের প্রতিটি আইটেম সরাক।

যখন একজন ব্যক্তি একটি ফ্রিজে একটি দুধের কার্টন খুঁজে তখন তিনি অগত্যা অন্য সব আইটেম সরান না। এর পরিবর্তে, একজন ব্যক্তি, একটি আইটেম বা দুইটি সরাতে পারে যখন অন্য বস্তুর ঠেলাঠেলিতে দূরে সরে যায়।

একটি ফ্রিজ থেকে একটি আইটেম সরানোর কাজটি মানব সম্প্রদায়ের দিক থেকে অনেক সহজ বলে মনে হয়। মস্তিষ্ক আমাদেরকে বলে দেয় ফ্রিজ পর্যন্ত পৌঁছাতে এবং টান দিয়ে খুলতে। আমাদের চোখ আমরা যা চাই তা শনাক্ত করে। তারপর আমরা অন্য বস্তুর বাঁধাগুলো সরাই এবং আঙুল দিয়ে প্রয়োজনীয বস্তুটি জাপটাজাপটি করে ধরি এবং ফ্রিজ ধাক্কা দিয়ে বন্ধ করি।

শ্রীনিবাস বলেন, কিন্তু প্রোগ্রামিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। কারণ মেশিনের মানুষের মতো অনুভূতি অভাব রয়েছে। তাই এটিকে দিয়ে কাজ করাতে অ্যালগরিদম এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বার ওপর নির্ভর করতে হয়। আমাদের রোবটের জন্য অ্যালগরিদমকে একইভাবে সমস্যা সমাধানে শিক্ষিত করতে হচ্ছে। গবেষণায় আমরা সক্রিয়ভাবে উন্নতি করছি। ঘরে মানুষের সহায়তাকারী হিসেবে রোবটটি সফলতা দেখাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০:১৪:৩১   ৪৩৮ বার পঠিত