সোমবার, ১৬ মে ২০১৬
‘শিক্ষক নির্যাতন কখনোই কাম্য নয়’
Home Page » প্রথমপাতা » ‘শিক্ষক নির্যাতন কখনোই কাম্য নয়’‘
বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ: নারায়ণগঞ্জে সংসদ সদস্যের উপস্থিতে শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সোমবার (১৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষক নির্যাতনের বিষয়টি কখনোই কাম্য নয়। পুরো বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বরিশালের শিক্ষা বোর্ডের ভুলে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা সম্পর্কে নাহিদ বলেন, এ বিষয়ে এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রেমের কারণে কমার্স কলেজের ১১ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার সম্পর্কে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জের ‘পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের’ প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তিনি বিব্রত হয়েছেন। একারণে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনা সম্পর্কে আমি খবর নিয়েছি, এটা খুবই দুঃখজনক। একজন শিক্ষককে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি করা কিংবা তার প্রতি এই ধরনের আচরণ করা কখনোই কাম্য হতে পারে না।
নাহিদ বলেন, যদি তিনি কোনো অপরাধ করে থাকেন, কোনো ভুল করে থাকেন, যেকোনো মানুষই তা করতে পারে। আমাদের অনেক শিক্ষকও তা করেন, আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থাও নেই। একটা নিয়ম কানুন আছে, রীতি আছে, রেওয়াজ আছে। সেখানে যা করা হয়েছে, এটাকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করি না, এটার জন্য আমরা বিব্রত।
শিক্ষামন্ত্রী এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা এই ধরনের ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের শিক্ষকরা যেখানে এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, আমরা দ্রুতই খবর নেওয়ার চেষ্টা করি। এই বিষয়ে আরও তথ্য নেবো। প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি করে এই বিষয়ে যা যা করণীয় সম্ভব, তা অবশ্যই করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষা পরিবারে বিপুল সংখ্যক মানুষ আছে। এর মূল শক্তি শিক্ষক। তারা না থাকলে আমরা শিক্ষার্থীদের যে লক্ষে নিতে চাই, তা পারবো না। শিক্ষকদের কাছেও সেটাই বলি, আপনারাও আরও ভালো করে পড়াবেন, ভালো আচরণ করবেন। যাতে আপনাদের জীবনাচরণ ছাত্ররা অনুসরণ করে। সেই হিসেবে শিক্ষকদের কাছে আমাদের কাম্য, শিক্ষার্থীদের বর্তমান যুগোপযোগী করে তুলবেন।
শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের মানসিক, শারীরিক নির্যাতন করতে পারবেন না। কারণ এর প্রতিক্রিয়াটা খারাপ হয়, শিক্ষার্থী তখন প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ওঠে। শিক্ষার প্রতি ঘৃণা জন্মায়। সে জন্য স্নেহ ভালোবাসা মমতা দিয়ে তাদের শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪১:৩৮ ৩৯৭ বার পঠিত