মঙ্গলবার, ১০ মে ২০১৬
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, কারিগরি ত্রুটি অস্বীকার সুইফটের
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, কারিগরি ত্রুটি অস্বীকার সুইফটেরবাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির দায় অস্বীকার করলো তিন হাজারের বেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন সফটওয়ারের মাধ্যমে যুক্তকারী প্রতিষ্ঠান সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট)।সুইফট’র দাবি, তাদের টেকনিশিয়ানদের ত্রুটিপূর্ণ কাজের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ার অভিযোগটি সঠিক নয়।
সোমবার এক বিবৃতিতে ব্রাসেলসভিত্তিক সংগঠন এ দাবি জানায়। খবর রয়টার্সের।
সুইফট’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সুইফট’র গাফিলতি ছিল এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ব্যাপারে সুইফটের কোনো দায় নেই। সার্ভারের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের। পাসওয়ার্ড থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ সব ব্যাংকিং পদ্ধতির নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের।
সুইফটের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের বাসেলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, সেখানে ব্যাংকের নিরাপত্তা ইস্যু ও এসব ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ নিয়ে আলোচনা হবে।
এর আগে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শাহ আলমের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত অক্টোবরে বাংলাদেশ ব্যাংকে সুইফট মেসেজিং প্ল্যাটফরমের সঙ্গে একটি নতুন ট্রানজেকশন সিস্টেম যুক্ত করে যান সুইফটের টেকনিশিয়ানরা।
এসময় তাদের ত্রুটিপূর্ণ কাজ ও অবহেলার কারণে সার্ভারের নিরাপত্তায় ফাঁক থেকে যায়। ফলে সার্ভার অরক্ষিত হয়ে পড়ে। এই সুযোগে হ্যাকাররা সহজেই সার্ভারে প্রবেশ করে রিজার্ভের টাকা চুরি করে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে রয়টার্সের কাছে প্রথমে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হন নি সুইফটের প্রধান মুখপাত্র নাতাশা দা তেরান।
এরপর সোমবার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে লিখিত বিবৃতি দেয়।
উল্লেখ্য, সাইবার দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে গত ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক (নিউইয়র্ক ফেডে) থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। এর মধ্যে দুই কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলংকায় আর বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:০৯:০৯ ৪৩৯ বার পঠিত