মঙ্গলবার, ১০ মে ২০১৬
ট্রাম্প নয়, হোয়াইট হাউস হিলারির
Home Page » বিবিধ » ট্রাম্প নয়, হোয়াইট হাউস হিলারিরমার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই দলের প্রার্থী এখন মোটামুটি নিশ্চিত। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছেন ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বেশ কিছু কারণে সাধারণ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত হিলারিই ট্রাম্পকে হারিয়ে দেবেন। ওয়াশিংটন পোস্ট নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ের এরকম অন্তত ১০টি কারণ খুঁজে পেয়েছে।মার্কিন অর্থনীতি
মার্কিন অর্থনীতি এখন যথেষ্ট ভালো। কর্মসংস্থান প্রতিবেদন অগ্রণী না হলেও শ্রমবাজারে বড় ধরনের কোনো পতনের লক্ষণ নেই। ১ লাখ ৬০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে যেখানে বেকারত্বের হার শতকরা মাত্র ৫ ভাগ। রক্ষণশীল অর্থনীতিবিদ ডোগ হোল্জ-উয়াকিন বলছেন, আরেকটি ভালো সংবাদ হচ্ছে, গত কয়েক বছরে ঘণ্টায় গড় আয় শতকরা ০.৩ ভাগ থেকে বেড়ে ২.৫ ভাগ হয়েছে। কর্মসপ্তাহ খানিকটা কমেছে।
অর্থনীতিতে ট্রাম্প বেপরোয়া
মার্কিন অর্থনীতি বিষয়ে ট্রাম্পের বেপরোয়া ভাব। অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর ব্যাপারে ডোনাল্ট ট্রাম্প এতই বেপরোয়া ও ভীতিকর- এমনকি তার নিজ দল রিপাবলিকানরা পর্যন্ত তাকে ভয় পাচ্ছেন।
রিপাবলিকান বিভক্তি
ভাঙনের পর্যায়ে না হলেও রিপাবলিকান দল ভয়ানকভাবে বিভাজিত। তাদের অনেকেই ট্রাম্পকে সমর্থন দিচ্ছেন না। দাতাগোষ্ঠী ইতিমধ্যে টাকা-পয়সা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে এবং সাবেক দুই প্রেসিডেন্টসহ রিপাবলিকান দলের অনেকেই ট্রাম্পকে সমর্থন করেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
সমর্থকদের অজ্ঞতা
দলের মধ্যে যে বিভাজন রয়েছে ট্রাম্পের সাঙ্গপাঙ্গরা তা বুঝতে পারছে না। আর এটাই সম্ভবত পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলবে।
নির্বাচনী তহবিল
হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে তুলনায় ট্রাম্পের অর্থের জোগানের অভাব। নিজের তহবিল থেকে তিনি আর অর্থের জোগান দিতে পারছেন না। রিপাবলিকানরা যে টাকা-পয়সা দেবে তাও কঠিন। কারণ তার অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা অনেক রিপাবলিকানের কাছে সুপরিচিত নয়। এ জন্য অনেক বড় ও মাঝারি মানের দাতাদেরও ট্রাম্পকে টাকা-পয়সা দেয়ার ইচ্ছে নেই।
বেফাঁস মন্তব্য
বর্ণবাদ ও যৌনতা নিয়ে কিভাবে কথা বলতে হবে সেটা সম্ভবত ট্রাম্প ছয় মাসেও শিখতে পারবেন না। ইতিমধ্যে বেশ কিছু বর্ণবাদী মন্তব্য করে ট্রাম্প ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন। অনেকেই বলছেন, ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নয়। রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান রেইন্স প্রাইবাসও ট্রাম্পের সমালোচনা করে তার এই কাজের জন্য ট্রাম্পের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ট্রাম্প এটা দেখিয়ে দিয়েছেন যে, অপমান ও তিরস্কারের মধ্যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তার নেই।
অ্যাডাপশন
উপরোক্ত ছয়টি কারণেই হিলারি ক্লিনটন অনায়াসে বিজয়ী হবেন। আপনাকে যা করতে হবে তা হল শুধু এটুকু বলা যে, আমি অ্যাডপশনের পক্ষে। অথবা এটা বলুন, না, যুক্তরাষ্ট্র তার বাধ্যবাধকতায় আটকে গেছে। তাহলেই আপনার কেল্লা ফতে।
প্রচারণা
ট্রাম্পের বক্তব্যের কারণে হিলারির প্রচারণা এমনিতেই হয়ে যাচ্ছে। রিপাবলিকানরা হিলারির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ও দাবিগুলো করে আসছে, হিলারি সেগুলোই ট্রাম্পকে আক্রমণ ও অপদস্ত করার জন্য ব্যবহার করছেন।
হিলারির সম্পর্ক
হিলারি বেশ ভালো করেই জানেন কিভাবে রিপাবলিকানদের কাছাকাছি পৌঁছতে হয়। সিনেটে তিনি অনেক রিপাবলিকানের সঙ্গে ভালোভাবেই কাজ করেছিলেন। দেখা যাচ্ছে, অনেক রিপাবলিকানের সঙ্গেই হিলারির পূর্ব পরিচয় রয়েছে এবং সেটা এই নির্বাচনী আবহাওয়ায় বেশ কাজে দিয়েছে।
গণমাধ্যম
গণমাধ্যম অবশেষে ট্রাম্পের প্রতি কঠোর হচ্ছে। আগে মুক্ত মাধ্যমগুলো ট্রাম্পকে কঠিন প্রশ্ন করা এড়িয়ে গেলেও এটা আর বেশি দিন চলবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০:০৯:১৩ ৪৪৮ বার পঠিত