সোমবার, ২ মে ২০১৬
শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে কর্মবিরতি
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে কর্মবিরতিরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে তিন ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
অধ্যাপক হত্যা: কফিন মিছিল, শিক্ষকদের কর্মবিরতি
অধ্যাপক রেজাউল হত্যা: চবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি
সোমবার সকাল ১০টায় সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা কালো ব্যাজ পরে কর্মবিরতি শুরু করেন। বেলা ১২টা থেকে চলে তাদের একঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি।
কর্মসূচি চলাকালে সব ধরনের ক্লাস ও বিভাগীয় পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অধীনে কেন্দ্রীয় সব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে কলাভবনের বটতলায় অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
ফেডারেশন মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন”বেছে বেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের হত্যা করা হয়েছে- তা এখনো অব্যাহত আছে।”
পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, “অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয়েছে, এতোজন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল- এই ধরনের কথা আমরা শুনতে চাই না।
“আমরা চাই অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।”
অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষদের এইসব হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে ‘মনিটরিং সেল’ গঠনের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান এই শিক্ষক নেতা।
“আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তুলব।”
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেডারেশনের নেতৃত্বে প্রতিবাদ সভা ও বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান মাকসুদ কামাল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যায় তার বিভাগের ছাত্র শরিফুল ইসলাম জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে তার বিষয়ে তথ্য জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবা ও ভাই এবং আরও তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তারা বলছে, শরিফুল প্রায় এক বছর থেকে ‘নিয়মিত’ ক্লাস করে না।
২৩ এপ্রিল রাজশাহীর শালাবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে ৫০ গজ দূরে রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিনই নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন তার ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ।
গোয়েন্দা পুলিশকে পরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৫:৫১ ৪০০ বার পঠিত