সোমবার, ২ মে ২০১৬
আগুনে পুড়ল কারওয়ান বাজারের মসলার আড়ত
Home Page » প্রথমপাতা » আগুনে পুড়ল কারওয়ান বাজারের মসলার আড়তবঙ্গ-নিউজঃ কালবৈশাখীর পর অগ্নিকাণ্ডে রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারে অন্তত ২০০ দোকান পুড়েছে।রোববার রাতে জনতা টাওয়ারের পেছনের টিনশেডের দোতলা হাসিনা মার্কেটের পুড়ে যাওয়া এই দোকানগুলোর অধিকাংশই ছিল মসলার আড়ত।
এর বড় অংশে ছিল আদা, রসুন, পিঁয়াজ, মরিচের আড়ত। হলুদ-মরিচ গুঁড়া করার কিছু মিলও ছিল। পাশাপাশি লেপ তোষকের দোকান এবং খাবার দোকানও ছিল সেখানে।
প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ৯টায় আগুন নেভানোর পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে ১৮৬টি দোকান স্থায়ী বরাদ্দ ছিল। আরও কিছু অস্থায়ী বরাদ্দ ছিল। সব পুড়ে গেছে।”
রাত পৌনে ৮টায় আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পরপরই তেজগাঁও ফায়ার স্টেশন থেকে অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর কয়েকটি গাড়ি আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা তানহারুল ইসলাম বলেন, “তিনটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেছে।”
এরপর অন্য ফায়ার স্টেশনগুলো থেকে অনেকগুলো গাড়ি আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। তার সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয়রাও।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলী ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের ২৫টি ইউনিট কাজ করেছে। এখানে আলো ও পানির সমস্যা ছিল। সবাইকে নিয়ে আগুন নেভানো হয়।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘণ্টাখানেক আগেই রাজধানীজুড়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ে গাছ ও বিলবোর্ড ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন লাগার কথাও জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
তবে কারওয়ান বাজারের এই আগুন কীভাবে লাগল, সে বিষয়ে অগ্নিনির্বাপক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি।
পাইকারি মার্কেটের এক দোকান কর্মচারী জসিম বলেন, “উত্তর-পূর্ব কোণে প্রথম আগুন লাগে। এরপর দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে।”
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এই বাজারটি পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার কাজে হাত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মেয়র আনিসুল হক।
তিনি বলেন, “৮ মাস আগে দোকান মালিকদের সঙ্গে নেগোশিয়েট করেছি। আশা করি, যাত্রাবাড়ী ও আমিনবাজারের মতো কারওয়ান বাজারকেও সুন্দর মার্কেটে রূপ দিতে পারব।”
বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৩:১৫ ৪২২ বার পঠিত