বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৬
গরমের বড় বিপদ হিটস্ট্রোক
Home Page » ফিচার » গরমের বড় বিপদ হিটস্ট্রোকশরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এটি বাড়তে বাড়তে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পেরিয়ে গেলেই হিটস্ট্রোক হতে পারে। এটি একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি। দ্রুত চিকিৎসা না দিলে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
হিটস্ট্রোকের প্রধান কারণ পানিশূন্যতা। হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো হলো: মাথা ঝিমঝিম করা, বমি, অবসাদ ও দুর্বলতা, মাথাব্যথা, মাংসপেশির খিঁচুনি, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি। হিটস্ট্রোকের রোগীর ত্বকে ঘাম থাকে না, ত্বক খসখসে, শুষ্ক ও লাল দেখায়, পাশাপাশি হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। শ্বাসকষ্টও হতে পারে। ছোট শিশু, বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি, দিনমজুরদের হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রচণ্ড গরমে বাইরে কেউ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত বলে সন্দেহ হলে প্রথমেই তাকে দ্রুত ছায়ায় বা শীতল জায়গায় নিয়ে যান। পরনের ভারী জামাকাপড় খুলে দিন। গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালুন বা স্পঞ্জ করে দিন। বগল ও ঊরুর ভাঁজে বরফ বা ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় দিন। থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখুন এবং ১০১-১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে আসার আগ পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসার পর যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রতিরোধে করণীয়
* পানিশূন্যতা যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখুন, গরমে ও রোদে প্রচুর পরিমাণ পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন খান। বিদ্যালয়ে বা খেলার মাঠে শিশুদের দিকে খেয়াল রাখুন ও পর্যাপ্ত পানি তাদের সঙ্গে দিন।
* দুপুরের প্রচণ্ড রোদে ভারী কাজ বা শারীরিক ব্যায়াম করবেন না। প্রয়োজন ছাড়া বাইরেও যাবেন না।
* গরমে বাইরে বেরোলে সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পরুন। ছাতা ব্যবহার করুন ও পানি সঙ্গে নিন।
অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ
ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ
মাছের তেল খেলে কি রক্তচাপ কমে?
মাছ এবং মাছের তেলে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি রক্তচাপ কমায় এবং হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী। একাধিক গবেষণায় দেখা যায়, মাছের তেল মানুষের রক্তচাপ ১০ মাত্রা পর্যন্ত কমাতে পারে।
‘স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয়
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: জ্বর হলে কি পানি বেশি পান করা উচিত?
উত্তর: জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকার ফলে ত্বক পানি হারায়। এতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই জ্বর হলে বেশি করে পানি পান করা ভালো।
ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন
মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ
মেডিকেল কলেজ
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫৩:০৬ ৩৬৪ বার পঠিত