রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৬
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বদলে দেবে মুস্তাফিজ : মাশরাফি
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বদলে দেবে মুস্তাফিজ : মাশরাফিনিজের ক্যারিয়ার, দল আর বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অথবা সাক্ষাৎকারে অনেক কথাই বলে আসছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এবার কথা বললেন শুধু একজনকে নিয়েই; আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবের পর থেকেই যিনি বিস্ময় ছড়িয়ে যাচ্ছেন, আলোড়ন তুলেছেন চলতি আইপিএলেও। মুস্তাফিজুর রহমানের ভেতর-বাহির, প্রতিভা-সামর্থ্য, শঙ্কা-সম্ভাবনা, সব কিছু নিয়েই কথা বললেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।প্রশ্ন: আইপিএল দেখছেন? মুস্তাফিজ তো দারুণ করছে!
মাশরাফি বিন মুর্তজা: আমি শুধু মুস্তাফিজের চার ওভার, আর সাকিবের ব্যাটিং-বোলিং দেখি। মুস্তাফিজের পারফরম্যান্স অবশ্যই প্রত্যাশিত ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই বড় বড় ব্যাটসম্যানরা হিমশিম খেয়েছে ওকে পড়তে। আইপিএলে তো চারজন বিদেশি, সাতজন ভারতীয়। সেখানে আরও ভালো করারই কথা। একটুও অবাক হইনি। ওর কাছে এমন পারফরম্যান্সই প্রত্যাশিত ছিল। আইপিএল শুরুর আগেই একটি সাক্ষাৎকারে আমি বলেছিলাম, মুস্তাফিজ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হবে, অন্তত সেরা তিনে থাকবেই। আমি এখন সেদিকেই তাকিয়ে।
আইপিএলে তো মাঠের বাইরেও অনেক ব্যাপার থাকে। প্রথমবার দেশের বাইরে গেল একা একা, ভাষার সমস্যা, এত গ্ল্যামার, এত ভ্রমণ, ভিন্ন একটা জগত। সেখানে এত দ্রুত মানিয়ে নেওয়াতে অবাক হননি?
মাশরাফি: আমি জানতাম এসব ওর কোনো সমস্যা হবে না। ওর যে ক্রিকেটিং স্কিল আছে, সেটা দিয়েই সে সব ঘাটতি বা আর সব কিছুকে ছাপিয়ে যেতে পারে। মাঠের বা্ইরে যদি অস্বস্তিতেও থাকে, কিংবা ধরুণ, ১০-১২ দিন যদি অনুশীলন না করে শুধু ঘুমিয়েই কাটায়, তার পরও ম্যাচে গিয়ে ঠিকই ওর স্কিলটা কাজে লাগাতে পারবে। চোখ বন্ধ করে কাটার করতে পারবে। এতটাই সহজাত ওর এই বিশেষ স্কিল। এজন্যই আমার কোনো চিন্তা ছিল না ওকে নিয়ে। আমরা অনেক সময় বলি, অমুক তমুকের চেয়ে কয়েক পদক্ষেপ এগিয়ে আছে। মুস্তাফিজ ওর স্কিল দিয়ে আর সবার চেয়ে অনেক অনেক পদক্ষেপ এগিয়ে আছে।
আপনারা ওকে কাছ থেকে দেখেন সবসময়। যতটা মনে হয়, আসলেই কি ততটা আনপ্লেয়েবল সে? নাকি ইমপ্রেশনের কারণে অনেক ব্যাটসম্যান সঙ্কুচিত থাকে?
মাশরাফি: আমি তো বলব, দেখে যতটা মনে হয়, খেলা তার চেয়েও কঠিন! একটা সিম্পল ব্যাপার ভাবুন, সব ব্যাটসম্যানই জানে যে সে কাটার করবে। তার পরও খেলতে পারে না। কেন? প্রথমত ওর কাটারেও অনেক বৈচিত্র। রিস্ট অ্যাকশনের কারণে পড়া কঠিন। আর এখন তো আরও অনেক অস্ত্র আছে ওর। স্লোয়ার আছে, ইয়র্কারে অনেক উন্নতি করেছে। বাউন্সারও করছে। ব্যাটসম্যানরা তাই কনফিউজড থাকে। খেয়াল করে দেখবেন, ওর অনেক ফুল টসেও ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারে না। কারণ তারা বুঝে উঠতে পারে না। হয়ত কাটারের জন্য প্রস্তুত থাকে। সব মিলিয়ে ওকে খেলা খুব কঠিন। ১-২টি ছক্কা-চার হয়ত হজম করে, সেটুকু হবেই। এমনিতে সে আসলেই আনপ্লেয়েবল। এবি ডি ভিলিয়ার্সের মত ব্যাটসম্যান ওকে সেট হওয়ার পরও খেলতে পারেনি। বুঝুন!
ভারতের বেশিরভাগ উইকেটই নিখাদ ব্যাটিং স্বর্গ, ততটা গ্রিপ করে না বল। তার পরও মুস্তাফিজ এত সফল কি বৈচিত্রের কারণেই?
মাশরাফি: গ্রিপ করলে ওর জন্য ভালো। তবে এখন আর গ্রিপ না করলেও চলে ওর জন্য। যেটা বললাম, এত এত অস্ত্র এখন ডেভেলপ করেছে ও। এখন সে ১৪২-১৪৩ কিমি গতিতে বল করছে, সেটাও ক্রস সিম। আবার স্লোয়ার-কাটারে সেটা ২০ কিমি কমে আসছে। ব্যাটসম্যানের জন্য অ্যাডজাস্ট করা খুব কঠিন। ব্যাটসম্যানরা প্ল্যানই করতে পারছে না, মানসিকভাবে থিতু হতে পারছে না। ইয়র্কারওটাও নিঁখুত করছে। স্টাম্পে ইয়র্কার করছে, ওয়াইড ইয়র্কার করছে।
১৪২-১৪৩ কিমি গতিতে বল করছে, এই গতি দেখে অবাক হননি?
মাশরাফি: বিশ্বকাপেও ১৩৮-১৪০ করেছে। ও যে উন্নতি করছে, সেটার আরেকটি প্রমাণ। গতি বেড়েছে বলে ওর স্লোয়ার ও কাটারগুলি আরও কার্যকর হয়ে উঠেছে। এখনও তো ওর বয়স কম, পেশি ততটা শক্ত হয়নি। আমার বিশ্বাস, গতি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। অবশ্য ওর যে স্কিল আছে, না বাড়লেও ক্ষতি নেই।
ইয়র্কারটা এত ভালো করছে দেখে বিস্মিত হননি? কদিন আগেও এত নিখুঁত ছিল না!
মাশরাফি: এশিযা কাপ থেকেই কিন্তু ভালো করছে! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাথিউস-কাপুগেদারাকে ভালো ইয়র্কার করেছে স্লগ ওভারে। বিশ্বকাপেও ভালো করেছে। আইপিএলে যেটা হলো, গ্ল্যামার বেশি এখানে, আলোচনা হয় অনেক। একটি ইয়র্কারে আন্দ্রে রাসেলকে শুইয়ে দিল, যেটা অনেকের চোখে লেগে আছে। এসব কারণে মনে হতে পারে। তবে হ্যাঁ, এটাও ঠিক যে আইপিএলে খুব ভালো অ্যাডজাস্ট করেছে। ওখানে নিয়মিত ম্যাচ খেলছে, এটা চোখে পড়ার কারণ। আর সে সবসময়ই কুইক লার্নার, এটাও দ্রুত শিখছে।
‘কুইক লার্নার’ এই কথাটি সবাই বলছে। আইপিএলে তার অধিনায়ক, টিম ম্যানেজমেন্টের অন্যরা, ধারাভাষ্যকার-বিশেষজ্ঞরা, সবাই বলছে মুস্তাফিজের ক্রিকেট ব্রেইন দারুণ। আপনার মূল্যায়ন কি?
মাশরাফি: এখানে ন্যাচারাল ব্যাপার কিছু তা আছেই। ও খুব দ্রুত সবকিছু ধরতে পারে। বছরখানেক হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছে এবং দলে ঢোকার পর থেকেই নিয়মিত খেলছে। কিছু অভিজ্ঞতাও হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা সে খুব ভালো কাজে লাগায়। ব্যাটসম্যানকে দ্রুত পড়তে পারে। আর সৃষ্টিকর্তা তো স্পেশাল একটা উপহার দিয়েছেই, ‘কাটার’। সব মিলিয়ে সে খুব স্মার্ট বোলার।
আর একটা ব্যাপার হলো, জীবনের সেরা জায়গায় কেউ থাকলে, আস্তে আস্তে মাথা খুলতে থাকে। ক্রিকেট মাঠের পারফরম্যান্সের ইতিবাচক প্রভাব জীবনেও পড়ে। আবার জীবন গোছানো হলে সেটার ইতিবাচক প্রভাব মাঠের পারফরম্যান্সে পড়ে। সব মিলিয়েই হচ্ছে।
আইপিএলে নিজের ফিল্ডিং মুস্তাফিজ নিজেই সাজাচ্ছেন বেশিরভাগ সময়, একজন তরুণ বোলারের ক্ষেত্রে যেটি খুবই বিরল। বাংলাদেশ দলেও কি এমনটি হয়, নাকি আপনি সাজান?
মাশরাফি: বাংলাদেশ দলে আমি বা আমরা সবাই জানি যে কিভাবে ওর বলে কিভাব ফিল্ডিং সাজাতে হয়। ওর ফিল্ড প্লেসিং আর সবার চেয়ে একটু আলাদা। একটা জায়গার কথা বলি। স্লগ ওভারে ওর বোলিংয়ে আমি সবসময়ই লং অন না রেখে মিড অন রাখি, আর স্কয়ার লেগ, মিড উইকেট বাউন্ডারিতে দুজন। এমনিতে বিশ্বের আর কোনো বোলারই স্লগ ওভারে মিড অন রাখার সাহস পায় না। কিন্তু মুস্তাফিজের বলে সোজা খেলা খুব কঠিন। কালকেই (শনিবার) দেখলেন, এক ব্যাটসম্যান (নিখিল নাইক) মিড অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হলো। তো এই ব্যপারগুলি তো ডেভিড ওয়ার্নার সেভাবে জানে না। এজন্য হয়ত মুস্তাফিজ নিজেই সাজাচ্ছে। বাংলাদেশ দলে তো আমরা সবাই জানি।
যতটা দারুণ বোলিং করছে, উইকেট তত বেশি পায়নি। সেটা কি তাকে ব্যাটসম্যানরা খুব সতর্কভাবে খেলছে বলে?
মাশরাফি: এটা ঠিক, আমি আশা করেছিলাম, এর মধ্যেই ওর অন্তত একবার ৪-৫ উইকেট হয়ে যাবে। কিন্তু উইকেট পাবে কী, সবাই এমনভাবে পরাস্ত হয়, ব্যাটেই তো লাগে না বল! বার বার পরাস্ত হচ্ছে। ম্যাককালামের মত ব্যাটসম্যানও কিছুই বুঝতে পারেনি!
ওকে সতর্কভাবে খেলার ব্যাপার তো আছেই। উইকেট পাওয়া ভাগ্যেরও ব্যাপার। হয়ত সামনেই এক ম্যাচে অনেক উইকেট পেয়ে যাবে। আমার বিশ্বাস, সামনে আরও ভালো করবে। আগেই বলেছি, সেরা তিনে দেখার আশা করছি।
এখনও পর্যন্ত তার সেরা পারফরম্যান্স কিংবা সেরা ডেলিভারি, কোনটি বলবেন?
মাশরাফি: আমি খুব করে অপেক্ষায় ছিলাম, এবি ডি ভিলিয়ার্সের সামনে মুস্তাফিজ কেমন বোলিং করে। জানতাম, কোনো ব্যাটসম্যান ওকে ঠিকভাবে খেলতে পারবে না। তবে সেট হয়ে যাওয়া ডি ভিলিয়ার্সের চেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটে আর কেউ নেই। আমার তাই নিজের মনেই প্রশ্ন ছিল, ডি ভিলিয়ার্সের সামনে কেমন করবে। সেই ডি ভিলিয়ার্সকেই মুস্তাফিজ যখন ২ বলেই আউট করে দিয়েছে, এরপর ওকে নিয়ে আমার আর কোনো সংশয়-প্রশ্নই নেই। এই কারণে ওই উইকেট স্পেশাল।
তবে সেরা ডেলিভারি বললে, যেহেতু ওর কাছ থেকে এমন নিখুঁত ইয়র্কার অনেকেই আশা করেনি এবং ব্যাটসম্যান বল ঠেকাতে গিয়ে পড়েই গেছে, সব মিলিয়ে আন্দ্রে রাসেলের উইকেটিই।
জনমনে প্রবল ভয়, প্রশ্ন; আইপিএল খেলায় মুস্তাফিজের কারিকুরি যদি সবাই ধরে ফেলে!
মাশরাফি: যুক্তি আছে, কিন্তু এই যুক্তির কোনো মূল্য নেই! পৃথিবীর নিয়মই এমন। বুঝে ফেলবে বলে কি মুস্তাফিজ না খেলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে! ও যেটা করতে পারত, সেটা খুব ভালোভাবে করছে। কাটার ওর আল্লাহপ্রদত্ত, কিন্তু শুধু সেটা নিয়েই বসে নেই। আরও অনেক কিছু ডেভেলপ করেছে, ইয়র্কার, বাউন্সার, ক্রস সিম ডেলিভারি। আরও উন্নতি করবে। এসবে ওর কাটারও কিন্তু আরও কার্যকর হয়েছে। ব্যাটসম্যানরা বুঝে উঠতেই পারছে না। কাজেই শঙ্কার কিছু নেই। বরং আরও ধারালো হয়ে উঠবে সে।
ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য ভেতরে ঢোকা বলটি শিখতে পারলে তো আরও দারুণ হয়!
মাশরাফি: সীমিত ওভারে খুব জরুরি মনে করি না আমি। হ্যাঁ, ওয়ানডেতে নতুন বলে বল করলে তখন কয়েক ওভারে এটা খুব কার্যকর হতে পারে। তবে ওকে আমরা মূলত বোলিং করাই একটু পরে, ‘সেমি-নিউ’ বলে ও সবচেয়ে বেশি কার্যকর। সীমিত ওভারে ওর ভেরিয়েশনই যথেষ্ট। তবে টেস্টের জন্য ভেতরে ঢোক বল লাগবেই, কারণ টেস্টে কাটার এতটা কার্যকর হবে না।
তবে ওর বয়স মাত্র ২০, এখনই অনেক অনেক অস্ত্র আছে। তাড়াহুড়োর কিছু নেই। আস্তে আস্তে সব শিখে যাবে।
কিন্তু এত খেলার ধকল মুস্তাফিজ কতটা সইতে পারবে? ওকে সামলানো কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কার দায়িত্ব কতটা?
মাশরাফি: ভবিষ্যতের পথচলায় এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজের দেখভাল নিজেকেই সবচেয়ে বেশি করতে হয়। মুস্তফিজ সেটা খুব ভালোভাবেই পারে। জিম করে, খুব নিয়ম মেনে চলে। খুবই গোছানো ছেলে। এই জায়গাটায় তাই আমার চিন্তা কম।
দুর্ভাবনা অন্য জায়গায়। আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, বিশ্বের সব লিগে বা টুর্নামেন্টে এখন মুস্তাফিজের প্রবল চাহিদা থাকবে। এই জায়গাটাতেই নিজের ভালো বুঝতে হবে ওকে এবং ওর পরিবারকে। এর মধ্যেই সে দুই দফা ইনজুরির ধকল সামলেছে গত কিছু দিনে। গত ১ বছরে টানা খেলার মধ্যে আছে। বিশ্বকাপ থেকে আইপিএলে গেল। সেখান থেকে ঢাকা লিগে ২-৩টি ম্যাচ খেলতেও পারে। সেখান থেকে সাসেক্সে খেলতে যাবে। আমাদের ভারত সফর আছে, এরপর দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ। তার নিউ জিল্যান্ড সফর। বিশ্রামটা পাচ্ছে কোথায়?
আমি তাই বলব, ওকে খুব সতর্কভাবে ঠিক করতে হবে, কোনটা খেলবে, কোনটা খেলবে না। কারণ দিনশেষে এসব টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আর্থিক লাভ ছাড়া ক্রিকেটীয় লাভ খুব বেশি নেই। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে ওর আর্থিক দিকটা অবশ্যই দেখতে হবে। আইপিএল স্বাভাবিকভাবেই খেলতে চাইবে, বিপিএল তো আমাদের লিগ। এর বাইরে আর্থিকভাবে খুব লাভবান হবে, এমন লিগেই শুধু খেলা উচিত। সেটাও নিজের শরীরের সঙ্গে আপোশ না করে।
ওর পরিবার, আশেপাশের লোকজন, আমাদের বোর্ড, সবারই দায়িত্ব আছে। মেশিনও বিশ্রাম না পেলে নষ্ট হয়ে যায়; ওর শরীর তো মেশিন নয়! মুস্তাফিজ বাংলাদেশের সম্পদ, এটা বুঝতে হবে। ওর কাছ থেকে সর্বোচ্চ সার্ভিস যেন বাংলাদেশ পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। অন্তত ১০-১২ বছর যেন বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারে। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বদলে দেবে মুস্তাফিজ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৭:৫৮ ৪১২ বার পঠিত