রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৬
বিশ্বের আট রহস্যময় প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » বিশ্বের আট রহস্যময় প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারমানব সভ্যতার বিবর্তনের ইতিহাস আমরা জানতে পেরেছি বিশ্বের নানা প্রান্তের একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের মাধ্যমে। এর মধ্যে বেশ কিছু আবিষ্কারকে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক রহস্য। যে সব রহস্যভেদের চেষ্টায় এখনও অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন বিশ্বের তাবড় প্রত্নতাত্ত্বিকরা। জেনে নেওয়া যাক সেই সব রহস্যময় প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার সম্পর্কে কিছু তথ্য।১, মাউন্ট ওয়েন মোয়া: ১৯৮৬ সালে নিউজিল্যান্ডের একটি গুহা থেকে উদ্ধার হয় এটি। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি ২০০০ বছর আগে পৃথিবী থেকে লুপ্ত হয়ে যাওয়া পাখি ‘মোয়া’র পায়ের অংশ। ডানাহীন এই পাখিটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট এবং ওজন ছিল প্রায় ২৫০ কিলোগ্রাম। আশ্চর্যের বিষয়, বিশ্বের অন্য কোনও প্রান্ত থেকে এই পাখির কোনও খোঁজ পাোয়া যায়নি।
২, ভয়েনিশ ম্যানুস্ক্রিপ্ট: এটি বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় পাণ্ডুলিপি বলে পরিচিত। ১৯১২ সালে উত্তর ইতালি থেকে এটি আবিষ্কৃত হয়। এই পাণ্ডুলিপিটির ভাষা এখনও উদ্ধার করা যায়নি। শুধু তাই নয়, কে এর লেখক তাও জানা যায়নি আজ পর্যন্ত।সে উত্তর আজও অজানা।
৩, টেরাকোটা আর্মি: ১৯৭৪ সালে চিনের সাংহাই প্রদেশে সম্রাট কিন শি হুয়াং-এর সমাধির কাছে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে উদ্ধার হয় টেরাকোটার অদ্ভুত এই বিরাট সেনা বাহিনী। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি প্রায় ২২০০ বছর আগে তৈরি। কিন্তু কী কারণে এই টেরাকোটা বাহিনী চৈরি হয়েছিল,
৪,অ্যাটলান্টিস সিটি: অতলান্তিক মহাসাগরের গভীরে এই শহরটির খোঁজ পান প্রত্নতাত্ত্বিক বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, এই শহরটি প্রায় ২৪০০ বছর আগে তৈরি। তাঁদের আরও অনুমান, কোনও প্রবল সুনামির ধাক্কায় শহরটি অতলান্তিকের গভীরে তলিয়ে যায়। তবে এটা শুধুই অনুমান। প্রকৃত কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
৫, গোবেক্লি তেপে: তুরস্কে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এটির খোঁজ মেলে। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ১১০০০ বছর আগে প্রস্তর যুগে এই অদ্ভুত দর্শন স্থাপত্যটি তৈরি হয়। তাঁদের অনুমান, এটি একটি মন্দির। প্রস্তর যুগের মানুষের এই স্থাপত্য আজও অবাক করে একবিংশ শতকের আধুনিক মানুষকে। আশ্চর্যের বিষয়, এই ধরনের মাত্র একটি মন্দিরেরই খোঁজ মিলেছে পুরো দেশে।
৬, স্টোন হেঞ্জ: ইংল্যান্ডের এই প্রাচীন স্থাপত্যটি প্রায় ৫০০০ বছর আগে তৈরি বলে অনুমান। প্রায় ২০-২২ হাজার কিলোগ্রাম ওজনের এক একটি পাথর খণ্ডকে অদ্ভুত ভাবে বৃত্তাকারে সাজিয়ে তৈরি এই স্টোন হেঞ্জ। ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি একটি সমাধিক্ষেত্র, যেখানে প্রায় ২৪০ জন মানুষকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তবে এটা শুধুই অনুমান।
৭, নাজকা লাইনস: বিমানে চড়ে দক্ষিণ পেরুর মরুভূমির উপর দিয়ে যাওয়ার সময় নাজকা লাইনস আপনার চোখে পড়তে পারে। খুঁটিয়ে দেখলে এর মধ্যে ৩০০টি জ্যামিতিক আকার এবং ৭০টি প্রাণীর চেহারা চোখের সামনে ফুটে উঠবে। অনেকের বিশ্বাস, এটি ভিন গ্রহের প্রাণীদের সৃষ্টি। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি প্রায় ২০০০ বছর আগে তৈরি। তবে কারা এটা তৈরি করল তা নিয়ে আজও রয়েছে ধোঁয়াশা।
৮, অ্যান্টিকিথেরা মেকানিজম: ১৯০০ সালে গ্রিসের দ্বীপ অ্যান্টিকিথেরার ১৫০ ফুট জলের তলা থেকে উদ্ধার হয় এই প্রাচীন যন্ত্রটি। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ২০০০ বছর আগে তৈরি এই যন্ত্রটি সেকালের গ্রিক জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার অন্যতম সহায়ক যন্ত্র। কিন্তু এর নির্মাণ এবং ব্যবহার নিয়ে আজও রহস্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০:৪১:৪৭ ৪৪০ বার পঠিত