শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৬

পুলি​শ সদস্যের খারাপ আচরণ, পরে ক্ষমা প্রার্থনা।

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » পুলি​শ সদস্যের খারাপ আচরণ, পরে ক্ষমা প্রার্থনা।
শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৬



 পুলিশের সঙ্গে হাবিবার সহপাঠি ও সহকর্মীদের বাকবিতণ্ডা। ছবি: সাহাদাত পারভেজ

বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ

ন​ববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মহানগর পুলিশের কনস্টেবল রুহুল আমিন একজন ছাত্রীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করার পর ক্ষমা চেয়েছেন। হাবিবা জান্নাত নামের ওই ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান, প্রাণ পরিসংখ্যান ও তথ্য পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে থাকেন।

হাবিবা জান্নাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সহসভাপতি। ঘটনার পর অভিযোগ পেয়ে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এম আমজাদ আলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়সহ রমনা জোনের পুলিশ কর্মকর্তারা প্রক্টরের কার্যালয়ে যান। সেখানে মেয়েটির বন্ধু ও রাজনৈতিক সহকর্মী, ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ঘটনার জন্য পুলিশ সদস্য রুহুল আমিন দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বরাবর স্থানে হাবিবাসহ কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় সেখানে দায়িত্ব পালনরত রহুল আমিন পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) গাড়ি যাবে বলে তাদের সরতে বলেন। রহুল আমিন সেখানে দাঁড়ানো হাবিবার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করেন এবং তাঁকে উদ্দেশে করে কটূক্তি করেন। এ নিয়ে সেখানে থাকা হাবিবাসহ অন্যদের সঙ্গে পুলিশের কথা-কাটাকাটি হয়।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এম আমজাদ আলীর কাছে অভিযোগ জানানো হয়। তিনি বলেন, ‘এটি তেমন বড় কোনো ঘটনা নয়। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিটমাট করা হয়েছে।’

পুলিশের রমনা জোনের এসি শিবলী নোমান বলেছেন, ‘এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিটমাট করা হয়েছে।’

ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তাহসিন মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা অভিযোগ করার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে আছেন। ওই পুলিশ সদস্য ক্ষমা চেয়েছেন। এখন আর কিছু বলার নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১০:০৮:৩০   ৬০৬ বার পঠিত