শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৬

আইএসের কথিত বাংলাদেশ প্রধানের সাক্ষাৎ​কার প্রকাশ

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » আইএসের কথিত বাংলাদেশ প্রধানের সাক্ষাৎ​কার প্রকাশ
শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৬



 

বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ

কৌশলগত অবস্থানের সুবিধার কারণে বাংলাদেশে শক্ত ঘাঁটি করতে চায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে ‘হিন্দু ভারত’ ও ‘বৌদ্ধ বার্মায়’ জিহাদ পরিচালনা করতে চায় আইএস।

আইএস-এর কথিত বাংলাদেশ প্রধান শেখ আবু-ইব্রাহিম আল-হানিফ তাদের মুখপাত্র সাময়িকী ‘দাবিক’-এর ১৪তম সংস্করণে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার দাবিক-এর ওই সংস্করণটি প্রকাশ হয়।

দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই বলে বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন থেকে বলে আসছে। এখন পর্যন্ত আইএসও বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো শাখার ঘোষণা করেনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তমনা লেখক, ব্লগার ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনার পর আইএসের পক্ষ থেকে কথিত বিবৃতি দিয়ে হামলার দায় স্বীকার করা হচ্ছে।

দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে আইএস-এর কথিত বাংলাদেশ প্রধান শেখ আবু-ইব্রাহিম আল-হানিফ বাংলাদেশে আইএসের এসব অভিযান সম্পর্কে সগর্বে বলেন, ‘ইসলামবিরোধী ও নাস্তিকদের অনেকে ভীতসন্ত্রস্ত। মুজাহিদীনদের কাছ থেকে হুমকি পাওয়ার কথা বলার মাধ্যমে তাদের ভীতির কথা পরিষ্কার হয়ে গেছে।’ অনেকটা হুমকির সুরেই যেন তিনি বললেন, ‘নাস্তিক ও মুরতাদদের গলা কাটার জন্য আমাদের যোদ্ধারা এখন চাকু ধার দিচ্ছে।’

বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আইএসের এই কথিত নেতা বলেন, দলটির নেতারা শুধু মিষ্টি কথা বলে তাদের নিরীহ অনুসারীদের ধোঁকা দিচ্ছে।

বাংলাদেশে ঘাঁটি গড়তে চাওয়ার পেছনে কৌশলগত অবস্থানের বিষয়টি উঠে আসে কথিত এই নেতার কথায়। বলেন, এখান থেকেই ভারত ও মিয়ানমারে জিহাদ পরিচালনা সুবিধাজনক হবে। এ জিহাদের লক্ষ্য হিসেবে ‘মুসলিম হত্যার প্রতিশোধ’ এবং ‘এই অঞ্চলে আইএসের খিলাফত প্রতিষ্ঠাকে’ তুলে ধরেন তিনি।

কৌশলগত অবস্থান বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আবু-ইব্রাহিম আল-হানিফ বলেন, ভারতের পূর্বদিকে বাংলাদেশ এবং পশ্চিম দিকে খোরাসান (আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে আইএস-এর শাখা পুরো অঞ্চলটিকে খোরাসান প্রদেশ নামে ডাকে)। বাংলাদেশকে শক্ত ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে পারলে সেখান থেকে এবং খোরাসান থেকে সমানভাবেই ভারতের ভেতরে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনা করা যাবে। এ ছাড়াও বাংলাদেশে শক্ত ঘাঁটি করতে পারলে সেখান থেকে পরে মিয়ানমারেও জিহাদ পরিচালনা করা যাবে।

ভারত মিয়ানমারে জিহাদ শুরু করতে দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কথিত এ আইএস নেতা বলেন, কাছের শত্রু বাংলাদেশ সরকার এবং ভুয়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণেই দূরের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১০:০৬:১২   ৫১২ বার পঠিত