বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০১৬

পুলিশের হাতে খুন : আসামি জনগণ

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » পুলিশের হাতে খুন : আসামি জনগণ
বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০১৬



1459874858.jpg

পুলিশের গুলিতে স্বজন হারিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে চলছে শোকের মাতম। গতকাল মঙ্গলবারও দিনভর বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। নিরপরাধ গ্রামবাসীর উপর পুলিশ গুলি চালিয়ে ৪ জনকে হত্যার বিচারের দাবি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনার বিরুদ্ধে গ্রামবাসী এ বিক্ষোভ করেছে।  এদিকে আজ বুধবার পুলিশি হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে ছাত্রঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসকাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ হরতাল কর্মসূচি দেন। : সোমবার বিকালে পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিহত ও অর্ধশত নারী-পুরুষ আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ উল্টো ৩ হাজার গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ঘটনায় মোট ৩টি মামলা হয়েছে। দুটি মামলা বাদী হয়েছেন নিহত দুই পরিবার। ঘটনার পর বাঁশখালীজুড়ে থমথমে এবং আতঙ্ক বিরাজ করলেও গতকাল বুধবার এস আলম গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধী গ্রামবাসী প্রতিবাদে সোচ্চার ছিল। ‘ভিটে বাড়ি ছাড়ব না, বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে না’।  ‘আমার ভাই মরল কেন প্রশাসন জবাব চাই’ নাসিরের  দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান।’  এ স্লোগান নিয়ে উপজেলার গন্ডামারার হাদিরপাড়া ও রহমানিয়া মাদ্রাসা মাঠে দুপুর থেকে সমবেত হয় বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে সোমবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর গন্ডামারা গ্রামজুড়ে নারী-পুরুষ শিশুদের মধ্যে  আতঙ্ক বিরাজ করছে। : স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মওলানা মুহাম্মদ আরিফ উল্লাহ জানান, সোমবারের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত এবং অর্ধশত নারী-পুরুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পরও মঙ্গলবার সকাল থেকে গন্ডামারা হাদীরপাড়া ও রহমানিয়া মাদ্রাসা মাঠ এলাকায় সমবেত হতে শুরু করে এলাকাবাসী। সমাবেশ থেকে এস আলম গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বিরোধী নানা স্লোগান দিয়েছে তারা। সকালে ‘বসতভিটা ও কবরস্থান রা কমিটি’র আহবায়ক বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে পুলিশ জনগণের উপর গুলি চালিয়ে চার গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে। কিন্তু প্রয়োজন হলে জনগণ আরো রক্ত দেবে, কিন্তু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে দেয়া হবে না। নিহতদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। সোমবার বিকেলে বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নে এস আলম গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিােভ মিছিলে গুলির ঘটনা ঘটে। এতে নিহতের বিষয়টি প্রথমে নিশ্চিত না করলেও পরে চারজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। : উল্লেখ্য, বাঁশখালীর উপজেলার গন্ডমারার এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্টপোষকতায় এস. আলম গ্রুপ ও চাইনা সেফকো কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকবাসী পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলে আসছে। : জনবসতিপূণ এলাকায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে পরিবেশ এবং জন জীবনের জন্য হুমকি বসত ভিটা বিলুপ্ত সহ বিভিন্ন কারণে এর বিরোধীতা করছে এলাকার বিশাল একটি অংশ। এ অংশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী। অপর দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পে আছেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম মাষ্টার। সোমবার পুলিশের সাথে যোগদিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায় শামসুল আলম মাষ্টারের নেতৃত্বে যুবলীগ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। এমন অভিযোগ গ্রামবাসীর। : একটি প কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিরোধে মিছিল মিটিং, সভা, সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ চালাচ্ছে। এনিয়ে দুপক্ষ বেশ কয়েকবাস সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। : স্থানীয়রা আরো জানান, রোববার রাতে এস আলম বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মালামাল নেয়ার সময় গ্রামবাসী হামলা চালায় গাড়িতে। এ ঘটনায় পুলিশ রাতে ৬ জনকে আটক করলে গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। : তারা পরদিন সোমবার বিকাল ৩টায় গন্ডামারা মনাজি পুকুরপাড়ে স্থানীয় সাইকোন সেন্টার মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাকে। অপর দিকে একই সময়ে সমাবেশ ঘোষণা করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষের গ্রুপটি এনিয়ে সংর্ঘষের আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা ঘোষনা করে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জানী করে। : বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধী গ্রামবাসী প্রশাসনে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে দুপুর থেকে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালিয়ে সমাবেশ পন্ড করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী সাথে পুলিশের সংর্ঘষ লেগে যায়। এসময় পুলিশ শত শত রাউন্ড গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত হয়। : এদিকে বাঁশখালিতে পুলিশের গুলিতে ৪ গ্রামবাসীকে হত্যার বিচারের দাবীতে আজ বুধবার সেখানে হরতাল ডেকেছে ছাত্র ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসকাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ হরতাল কর্মসূচি দেন ফোরামের আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ চৌধুরী। : পরিবেশ ও জনজীবনের জন্য ক্ষতিকর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেদ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর পুলিশের নির্বিচারে গুলিতে বহু হতাহতের প্রতিবাদে বুধবার বাঁশখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল : সমাবেশে ছাত্রঐক্য ফোরাম শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে এলাকার জনগণ আন্দোলন করছে। তারা তাদের বাপ-দাদার বসতভিটায় কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে দিবে না। অথচ পুলিশ গ্রামবাসীর সে আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫/৬ জনকে হত্যা করেছে। সভ্য সমাজে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সেখানে ঘরে ঘরে কান্নায় আর্তচিৎকার করছে মানবতা। এ অবস্থায় ছাত্রসমাজ বসে থাকতে পারে না। তাই আমরা বুধবার বাঁশখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছি। এর মধ্যে যদি নিহতদের তিপূরণ, আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ দেয়া না হয়, অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা দিয়ে হয়রানির যে চক্রান্ত তা যদি বন্ধ করা না হয় তাহলে বাঁশখালীমুখী লংমার্চসহ আরও বড় কর্মসূচি দেয়া হবে। - See more at: http://www.dailydinkal.net/2016/04/06/24458.php#sthash.NEYiSuJK.dpuf

পুলিশের গুলিতে স্বজন হারিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে চলছে শোকের মাতম। গতকাল মঙ্গলবারও দিনভর বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। নিরপরাধ গ্রামবাসীর উপর পুলিশ গুলি চালিয়ে ৪ জনকে হত্যার বিচারের দাবি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনার বিরুদ্ধে গ্রামবাসী এ বিক্ষোভ করেছে।  এদিকে আজ বুধবার পুলিশি হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে ছাত্রঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসকাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ হরতাল কর্মসূচি দেন। : সোমবার বিকালে পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিহত ও অর্ধশত নারী-পুরুষ আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ উল্টো ৩ হাজার গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ঘটনায় মোট ৩টি মামলা হয়েছে। দুটি মামলা বাদী হয়েছেন নিহত দুই পরিবার। ঘটনার পর বাঁশখালীজুড়ে থমথমে এবং আতঙ্ক বিরাজ করলেও গতকাল বুধবার এস আলম গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধী গ্রামবাসী প্রতিবাদে সোচ্চার ছিল। ‘ভিটে বাড়ি ছাড়ব না, বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে না’।  ‘আমার ভাই মরল কেন প্রশাসন জবাব চাই’ নাসিরের  দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান।’  এ স্লোগান নিয়ে উপজেলার গন্ডামারার হাদিরপাড়া ও রহমানিয়া মাদ্রাসা মাঠে দুপুর থেকে সমবেত হয় বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে সোমবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর গন্ডামারা গ্রামজুড়ে নারী-পুরুষ শিশুদের মধ্যে  আতঙ্ক বিরাজ করছে। : স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মওলানা মুহাম্মদ আরিফ উল্লাহ জানান, সোমবারের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত এবং অর্ধশত নারী-পুরুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পরও মঙ্গলবার সকাল থেকে গন্ডামারা হাদীরপাড়া ও রহমানিয়া মাদ্রাসা মাঠ এলাকায় সমবেত হতে শুরু করে এলাকাবাসী। সমাবেশ থেকে এস আলম গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বিরোধী নানা স্লোগান দিয়েছে তারা। সকালে ‘বসতভিটা ও কবরস্থান রা কমিটি’র আহবায়ক বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে পুলিশ জনগণের উপর গুলি চালিয়ে চার গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে। কিন্তু প্রয়োজন হলে জনগণ আরো রক্ত দেবে, কিন্তু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে দেয়া হবে না। নিহতদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। সোমবার বিকেলে বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নে এস আলম গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিােভ মিছিলে গুলির ঘটনা ঘটে। এতে নিহতের বিষয়টি প্রথমে নিশ্চিত না করলেও পরে চারজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। : উল্লেখ্য, বাঁশখালীর উপজেলার গন্ডমারার এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্টপোষকতায় এস. আলম গ্রুপ ও চাইনা সেফকো কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকবাসী পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলে আসছে। : জনবসতিপূণ এলাকায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে পরিবেশ এবং জন জীবনের জন্য হুমকি বসত ভিটা বিলুপ্ত সহ বিভিন্ন কারণে এর বিরোধীতা করছে এলাকার বিশাল একটি অংশ। এ অংশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী। অপর দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পে আছেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম মাষ্টার। সোমবার পুলিশের সাথে যোগদিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায় শামসুল আলম মাষ্টারের নেতৃত্বে যুবলীগ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। এমন অভিযোগ গ্রামবাসীর। : একটি প কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিরোধে মিছিল মিটিং, সভা, সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ চালাচ্ছে। এনিয়ে দুপক্ষ বেশ কয়েকবাস সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। : স্থানীয়রা আরো জানান, রোববার রাতে এস আলম বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মালামাল নেয়ার সময় গ্রামবাসী হামলা চালায় গাড়িতে। এ ঘটনায় পুলিশ রাতে ৬ জনকে আটক করলে গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। : তারা পরদিন সোমবার বিকাল ৩টায় গন্ডামারা মনাজি পুকুরপাড়ে স্থানীয় সাইকোন সেন্টার মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাকে। অপর দিকে একই সময়ে সমাবেশ ঘোষণা করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষের গ্রুপটি এনিয়ে সংর্ঘষের আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা ঘোষনা করে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জানী করে। : বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধী গ্রামবাসী প্রশাসনে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে দুপুর থেকে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালিয়ে সমাবেশ পন্ড করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী সাথে পুলিশের সংর্ঘষ লেগে যায়। এসময় পুলিশ শত শত রাউন্ড গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত হয়। : এদিকে বাঁশখালিতে পুলিশের গুলিতে ৪ গ্রামবাসীকে হত্যার বিচারের দাবীতে আজ বুধবার সেখানে হরতাল ডেকেছে ছাত্র ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসকাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ হরতাল কর্মসূচি দেন ফোরামের আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ চৌধুরী। : পরিবেশ ও জনজীবনের জন্য ক্ষতিকর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেদ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর পুলিশের নির্বিচারে গুলিতে বহু হতাহতের প্রতিবাদে বুধবার বাঁশখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল : সমাবেশে ছাত্রঐক্য ফোরাম শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে এলাকার জনগণ আন্দোলন করছে। তারা তাদের বাপ-দাদার বসতভিটায় কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে দিবে না। অথচ পুলিশ গ্রামবাসীর সে আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫/৬ জনকে হত্যা করেছে। সভ্য সমাজে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সেখানে ঘরে ঘরে কান্নায় আর্তচিৎকার করছে মানবতা। এ অবস্থায় ছাত্রসমাজ বসে থাকতে পারে না। তাই আমরা বুধবার বাঁশখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছি। এর মধ্যে যদি নিহতদের তিপূরণ, আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ দেয়া না হয়, অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা দিয়ে হয়রানির যে চক্রান্ত তা যদি বন্ধ করা না হয় তাহলে বাঁশখালীমুখী লংমার্চসহ আরও বড় কর্মসূচি দেয়া হবে। - See more at: http://www.dailydinkal.net/2016/04/06/24458.php#sthash.NEYiSuJK.dpuf

পুলিশের গুলিতে স্বজন হারিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে চলছে শোকের মাতম। গতকাল মঙ্গলবারও দিনভর বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। নিরপরাধ গ্রামবাসীর উপর পুলিশ গুলি চালিয়ে ৪ জনকে হত্যার বিচারের দাবি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনার বিরুদ্ধে গ্রামবাসী এ বিক্ষোভ করেছে।  এদিকে আজ বুধবার পুলিশি হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে ছাত্রঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসকাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ হরতাল কর্মসূচি দেন। : সোমবার বিকালে পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিহত ও অর্ধশত নারী-পুরুষ আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ উল্টো ৩ হাজার গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ঘটনায় মোট ৩টি মামলা হয়েছে। দুটি মামলা বাদী হয়েছেন নিহত দুই পরিবার। ঘটনার পর বাঁশখালীজুড়ে থমথমে এবং আতঙ্ক বিরাজ করলেও গতকাল বুধবার এস আলম গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধী গ্রামবাসী প্রতিবাদে সোচ্চার ছিল। ‘ভিটে বাড়ি ছাড়ব না, বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে না’।  ‘আমার ভাই মরল কেন প্রশাসন জবাব চাই’ নাসিরের  দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান।’  এ স্লোগান নিয়ে উপজেলার গন্ডামারার হাদিরপাড়া ও রহমানিয়া মাদ্রাসা মাঠে দুপুর থেকে সমবেত হয় বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে সোমবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর গন্ডামারা গ্রামজুড়ে নারী-পুরুষ শিশুদের মধ্যে  আতঙ্ক বিরাজ করছে। : স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মওলানা মুহাম্মদ আরিফ উল্লাহ জানান, সোমবারের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত এবং অর্ধশত নারী-পুরুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পরও মঙ্গলবার সকাল থেকে গন্ডামারা হাদীরপাড়া ও রহমানিয়া মাদ্রাসা মাঠ এলাকায় সমবেত হতে শুরু করে এলাকাবাসী। সমাবেশ থেকে এস আলম গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বিরোধী নানা স্লোগান দিয়েছে তারা। সকালে ‘বসতভিটা ও কবরস্থান রা কমিটি’র আহবায়ক বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে পুলিশ জনগণের উপর গুলি চালিয়ে চার গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে। কিন্তু প্রয়োজন হলে জনগণ আরো রক্ত দেবে, কিন্তু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে দেয়া হবে না। নিহতদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। সোমবার বিকেলে বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নে এস আলম গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিােভ মিছিলে গুলির ঘটনা ঘটে। এতে নিহতের বিষয়টি প্রথমে নিশ্চিত না করলেও পরে চারজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। : উল্লেখ্য, বাঁশখালীর উপজেলার গন্ডমারার এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্টপোষকতায় এস. আলম গ্রুপ ও চাইনা সেফকো কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকবাসী পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলে আসছে। : জনবসতিপূণ এলাকায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে পরিবেশ এবং জন জীবনের জন্য হুমকি বসত ভিটা বিলুপ্ত সহ বিভিন্ন কারণে এর বিরোধীতা করছে এলাকার বিশাল একটি অংশ। এ অংশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী। অপর দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পে আছেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম মাষ্টার। সোমবার পুলিশের সাথে যোগদিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায় শামসুল আলম মাষ্টারের নেতৃত্বে যুবলীগ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। এমন অভিযোগ গ্রামবাসীর। : একটি প কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিরোধে মিছিল মিটিং, সভা, সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ চালাচ্ছে। এনিয়ে দুপক্ষ বেশ কয়েকবাস সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। : স্থানীয়রা আরো জানান, রোববার রাতে এস আলম বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মালামাল নেয়ার সময় গ্রামবাসী হামলা চালায় গাড়িতে। এ ঘটনায় পুলিশ রাতে ৬ জনকে আটক করলে গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। : তারা পরদিন সোমবার বিকাল ৩টায় গন্ডামারা মনাজি পুকুরপাড়ে স্থানীয় সাইকোন সেন্টার মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাকে। অপর দিকে একই সময়ে সমাবেশ ঘোষণা করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষের গ্রুপটি এনিয়ে সংর্ঘষের আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা ঘোষনা করে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জানী করে। : বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধী গ্রামবাসী প্রশাসনে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে দুপুর থেকে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালিয়ে সমাবেশ পন্ড করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী সাথে পুলিশের সংর্ঘষ লেগে যায়। এসময় পুলিশ শত শত রাউন্ড গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত হয়। : এদিকে বাঁশখালিতে পুলিশের গুলিতে ৪ গ্রামবাসীকে হত্যার বিচারের দাবীতে আজ বুধবার সেখানে হরতাল ডেকেছে ছাত্র ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসকাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ হরতাল কর্মসূচি দেন ফোরামের আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ চৌধুরী। : পরিবেশ ও জনজীবনের জন্য ক্ষতিকর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেদ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর পুলিশের নির্বিচারে গুলিতে বহু হতাহতের প্রতিবাদে বুধবার বাঁশখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল : সমাবেশে ছাত্রঐক্য ফোরাম শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে এলাকার জনগণ আন্দোলন করছে। তারা তাদের বাপ-দাদার বসতভিটায় কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে দিবে না। অথচ পুলিশ গ্রামবাসীর সে আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫/৬ জনকে হত্যা করেছে। সভ্য সমাজে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সেখানে ঘরে ঘরে কান্নায় আর্তচিৎকার করছে মানবতা। এ অবস্থায় ছাত্রসমাজ বসে থাকতে পারে না। তাই আমরা বুধবার বাঁশখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছি। এর মধ্যে যদি নিহতদের তিপূরণ, আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ দেয়া না হয়, অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা দিয়ে হয়রানির যে চক্রান্ত তা যদি বন্ধ করা না হয় তাহলে বাঁশখালীমুখী লংমার্চসহ আরও বড় কর্মসূচি দেয়া হবে। - See more at: http://www.dailydinkal.net/2016/04/06/24458.php#sthash.NEYiSuJK.dpuf

বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ পুলিশের গুলিতে স্বজন হারিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে চলছে শোকের মাতম। গতকাল মঙ্গলবারও দিনভর বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। নিরপরাধ গ্রামবাসীর উপর পুলিশ গুলি চালিয়ে ৪ জনকে হত্যার বিচারের দাবি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনার বিরুদ্ধে গ্রামবাসী এ বিক্ষোভ করেছে। এদিকে আজ বুধবার পুলিশি হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে ছাত্রঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসকাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ হরতাল কর্মসূচি দেন। : সোমবার বিকালে পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিহত ও অর্ধশত নারী-পুরুষ আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ উল্টো ৩ হাজার গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ঘটনায় মোট ৩টি মামলা হয়েছে। দুটি মামলা বাদী হয়েছেন নিহত দুই পরিবার। ঘটনার পর বাঁশখালীজুড়ে থমথমে এবং আতঙ্ক বিরাজ করলেও গতকাল বুধবার এস আলম গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধী গ্রামবাসী প্রতিবাদে সোচ্চার ছিল। ‘ভিটে বাড়ি ছাড়ব না, বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে না’। ‘আমার ভাই মরল কেন প্রশাসন জবাব চাই’ নাসিরের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান।’ এ স্লোগান নিয়ে উপজেলার গন্ডামারার হাদিরপাড়া ও রহমানিয়া মাদ্রাসা মাঠে দুপুর থেকে সমবেত হয় বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে সোমবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর গন্ডামারা গ্রামজুড়ে নারী-পুরুষ শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। : স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মওলানা মুহাম্মদ আরিফ উল্লাহ জানান, সোমবারের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত এবং অর্ধশত নারী-পুরুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পরও মঙ্গলবার সকাল থেকে গন্ডামারা হাদীরপাড়া ও রহমানিয়া মাদ্রাসা মাঠ এলাকায় সমবেত হতে শুরু করে এলাকাবাসী। সমাবেশ থেকে এস আলম গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বিরোধী নানা স্লোগান দিয়েছে তারা। সকালে ‘বসতভিটা ও কবরস্থান রা কমিটি’র আহবায়ক বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে পুলিশ জনগণের উপর গুলি চালিয়ে চার গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে। কিন্তু প্রয়োজন হলে জনগণ আরো রক্ত দেবে, কিন্তু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে দেয়া হবে না। নিহতদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। সোমবার বিকেলে বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নে এস আলম গ্রুপের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিােভ মিছিলে গুলির ঘটনা ঘটে। এতে নিহতের বিষয়টি প্রথমে নিশ্চিত না করলেও পরে চারজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। : উল্লেখ্য, বাঁশখালীর উপজেলার গন্ডমারার এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্টপোষকতায় এস. আলম গ্রুপ ও চাইনা সেফকো কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকবাসী পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলে আসছে। : জনবসতিপূণ এলাকায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে পরিবেশ এবং জন জীবনের জন্য হুমকি বসত ভিটা বিলুপ্ত সহ বিভিন্ন কারণে এর বিরোধীতা করছে এলাকার বিশাল একটি অংশ। এ অংশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী। অপর দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পে আছেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম মাষ্টার। সোমবার পুলিশের সাথে যোগদিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায় শামসুল আলম মাষ্টারের নেতৃত্বে যুবলীগ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। এমন অভিযোগ গ্রামবাসীর। : একটি প কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিরোধে মিছিল মিটিং, সভা, সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ চালাচ্ছে। এনিয়ে দুপক্ষ বেশ কয়েকবাস সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। : স্থানীয়রা আরো জানান, রোববার রাতে এস আলম বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মালামাল নেয়ার সময় গ্রামবাসী হামলা চালায় গাড়িতে। এ ঘটনায় পুলিশ রাতে ৬ জনকে আটক করলে গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। : তারা পরদিন সোমবার বিকাল ৩টায় গন্ডামারা মনাজি পুকুরপাড়ে স্থানীয় সাইকোন সেন্টার মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাকে। অপর দিকে একই সময়ে সমাবেশ ঘোষণা করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষের গ্রুপটি এনিয়ে সংর্ঘষের আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা ঘোষনা করে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জানী করে। : বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধী গ্রামবাসী প্রশাসনে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে দুপুর থেকে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালিয়ে সমাবেশ পন্ড করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী সাথে পুলিশের সংর্ঘষ লেগে যায়। এসময় পুলিশ শত শত রাউন্ড গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত হয়। : এদিকে বাঁশখালিতে পুলিশের গুলিতে ৪ গ্রামবাসীকে হত্যার বিচারের দাবীতে আজ বুধবার সেখানে হরতাল ডেকেছে ছাত্র ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসকাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ হরতাল কর্মসূচি দেন ফোরামের আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ চৌধুরী। : পরিবেশ ও জনজীবনের জন্য ক্ষতিকর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেদ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর পুলিশের নির্বিচারে গুলিতে বহু হতাহতের প্রতিবাদে বুধবার বাঁশখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল : সমাবেশে ছাত্রঐক্য ফোরাম শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে এলাকার জনগণ আন্দোলন করছে। তারা তাদের বাপ-দাদার বসতভিটায় কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে দিবে না। অথচ পুলিশ গ্রামবাসীর সে আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫/৬ জনকে হত্যা করেছে। সভ্য সমাজে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সেখানে ঘরে ঘরে কান্নায় আর্তচিৎকার করছে মানবতা। এ অবস্থায় ছাত্রসমাজ বসে থাকতে পারে না। তাই আমরা বুধবার বাঁশখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছি। এর মধ্যে যদি নিহতদের তিপূরণ, আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ দেয়া না হয়, অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা দিয়ে হয়রানির যে চক্রান্ত তা যদি বন্ধ করা না হয় তাহলে বাঁশখালীমুখী লংমার্চসহ আরও বড় কর্মসূচি দেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:১৯:০২   ৪২৬ বার পঠিত