মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০১৬
ভুয়া ক্রসফায়ার: ভারতীয় ৪৭ জন পুলিশের যাবজ্জীবন
Home Page » বিশ্ব » ভুয়া ক্রসফায়ার: ভারতীয় ৪৭ জন পুলিশের যাবজ্জীবনবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ ১৯৯১ সালের ১২ জুলাই ভারতের উত্তর প্রদেশের পিলিভিতে ১০ জন শিখ তীর্থযাত্রীকে চরমপন্থি সাজিয়ে কথিত ক্রসফায়ারে হত্যা করে পুলিশ। ফাইলছবি: রয়টার্সসন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে কথিত ক্রসফায়ারে(এনকাউন্টার) নিরপরাধ ১০ শিখ তীর্থযাত্রীকে গুলি করে হত্যার অপরাধে ভারতীয় পুলিশের ৪৭ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির বিশেষ একটি আদালত।
২৫ বছর আগে উত্তর প্রদেশের পিলিভিতে ঘটনাটি ঘটেছিল।
এনডিটিভি ও বিবিসি বলছে, ভুয়া এনকাউন্টার বা ক্রস ফায়ারে ওই শিখদের হত্যা করার দায়ে শুক্রবার এসব পুলিশ সদস্যকে দোষী ঘোষণা করে বিশেষ আদালত।
১৯৯১ সালের ১২ জুলাই, পিলিভিতে একটি বিলাসবহুল বাস থামায় পুলিশ সদস্যরা। বাসটি শিখ তীর্থযাত্রীতে পূর্ণ ছিল। কয়েকটি পরিবারের নারী ও শিশুদের রেখে ১০ পুরুষ যাত্রীকে বাস থেকে নামতে বাধ্য করে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে আরো পুলিশ এসে যোগ দেয়ার পর তারা ওই ১০ জনকে কয়েকটি দলে ভাগ করে। এরপর তাদের জঙ্গলে আলাদা আলাদা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করে।
ঘটনার পর পুলিশ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মিথ্যা বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে পুলিশ দাবি করে, নিহত শিখেরা চরমপন্থি এবং ঘটনার সময় সশস্ত্র অবস্থায় ছিল।
১৩ জুলাইয়ের ওই বিবৃতিতে, ‘এনকাউন্টারে’ খালিস্তানপন্থি ১০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশ। এসব ‘সন্ত্রাসীর’ বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ছিল বলেও দাবি করা হয়।
ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে সিবিআই মামলাটির তদন্ত করে জানায়, পুরস্কার অর্জন ও ‘সন্ত্রাসী’ হত্যার কৃতিত্ব জাহির করাই ছিল এই খুনের উদ্দেশ্য।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫৭ জন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু এদের মধ্যে ১০ জন রায় ঘোষণার আগেই মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৮:২৯ ৩৩২ বার পঠিত