সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০১৬

‘৩০ এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক না করলে সিম বন্ধ’

Home Page » প্রথমপাতা » ‘৩০ এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক না করলে সিম বন্ধ’
সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০১৬



1449056480_203940.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেছেন, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রি-রেজিস্ট্রেশন না করলে সিম কার্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে পরবর্তীতে রি-রেজিস্ট্রেশন করলে তা ফের খুলে দেওয়া হবে।সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

তারানা হালিম বলেন, জনগণকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তার ব্যবহৃত মোবাইলের সিম কার্ডটি তিনি বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে রি-ভেরিফিকেশন করে নেবেন। দেশে ৯ হাজারেরও বেশি ডাকঘর রয়েছে। এসব ডাকঘরে বায়োমেট্টিক পদ্ধতি চালু করে জনগণের সিম কার্ড ভেরিফিকেশনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ডাকঘরে নিবন্ধন সেবা চালু করা সম্ভব হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

তিনি বলেন, জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অবৈধ ভিওআইপি এবং মানুষের ক্ষতিকারক বিষয় বন্ধের জন্য নিজের সিমের মালিকানা নিজের স্বীকার করে নিতে হচ্ছে এবং ভেরিভিকেশন করাতে হচ্ছে। ‘বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের’ ব্যবস্থা রাখার জন্য ইতোমধ্যে দূতাবাসগুলো চিঠি পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে এনএইডিতে আমরা চিঠি লিখছি, কোনো কারণে যাদের আঙুলের ছাপ পাওয়া যাচ্ছে না, এনআইডির আঞ্চলিক অফিসে তারা যাবে, সেখানে যদি ডিভাইসগুলো থাকে, তাদের আর বেশি যেন ঘোরাঘুরি করতে না হয়, সেখানেই যেন ভেরিফিকেশনের কাজটি করে নিতে পারেন।

৩০ এপ্রিলের পর অনিবন্ধিত সিম মালিককে সতর্ক করতে প্রথমে কয়েক ঘণ্টা করে সিম বন্ধ করে রাখা হবে জানিয়ে তারানা বলেন, এরপরও কেউ যখন নিবন্ধন করতে আসবেন না, তখন আমাদের ধরে নিতে হবে, এটি সেই সিমগুলো যেগুলো বিভিন্ন অন্যায় কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটার মালিকানা কেউ স্বীকার করে নিতে রাজি নন। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে সিমগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।

নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সিম পুনঃনিবন্ধন করতে হবে। এজন্য গ্রাহকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং যে সিমটি নিবন্ধন করা হবে তা সঙ্গে আনতে হবে। তবে গত ১৬ ডিসেম্বর সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আঙুলের ছাপ না দিয়ে এখন আর নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন চলছে।

তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নিয়ে এই নিবন্ধন কার্যক্রমে আপত্তি জানিয়ে এক ব্যক্তি হাই কোর্টে যাওয়ায় আদালত এ বিষয়ে একটি রুল জারি করেছে। তবে কোনো স্থগিতাদেশ না থাকায় নিবন্ধন চালিয়ে যাচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:০২:১৯   ২৬৬ বার পঠিত