শনিবার, ২ এপ্রিল ২০১৬
নানা গুণে সমৃদ্ধ ঘৃতকুমারী
Home Page » স্বাস্থ্য ও সেবা » নানা গুণে সমৃদ্ধ ঘৃতকুমারীবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ স্বাস্থ্য রক্ষা ও সৌন্দর্য বর্ধনে ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার হয়ে আসছে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই। আয়ুর্বেদ বলুন আর ইউনানি - ভেষজ উদ্ভিদের জয়জয়কার সর্বত্র! আমাদের খুব পরিচিত ঘৃতকুমারী এমনই একটি গুণী উদ্ভিদ। যেখানে অহরহ ঘৃতকুমারীর নাম ও ছবি দেখবত পাবেন এটাই স্বাভাবিক। কারণ এ রসালো উদ্ভিদের উপকারের কথা স্বাস্থ্য ও রূপ সচেতন মানুষের অজানা থাকার কথা নয়।রুপচর্চায় নানা কারণে মানব দেহে ঘৃতকুমারীর পাতা ও শাঁস ব্যবহার করা হয়। আর্দ্রতা ধরে রাখতে এর পাতার জুড়ি নেই। ক্লিনজার হিসেবে ঘৃতকুমারী খুবই পরিচিত। এর রয়েছে ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা সারানোর ক্ষমতা। ত্বককে নরম, কোমল ও উজ্জ্বল করে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা রক্ষার মাধ্যমে দেয় স্বাস্থ্যকর ত্বকের নিশ্চয়তা।
নারী কিংবা পুরুষ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে দেখা দেয় বলিরেখা। এ ছাড়া আরও কিছু সুক্ষ রেখা দেখা যায়। এগুলো দূর করতে ঘৃতকুমারী বেশ উপকারী। ত্বকে নিয়মিত ঘৃতকুমারী ব্যবহারে এ ধরনের রেখা কমে আসে। এমনকি অদৃশ্যও হয়ে যায়। ত্বকে ফিরে আসে তারুণ্যের দীপ্তি। খুব সহজেই আপনার ত্বক হয়ে উঠবে আকর্ষনীয় ও প্রাণবন্ত।
পায়ের ফাটা সারাতে অনেক ব্যাবস্থার পরও উন্নতি হচ্ছেনা। তাহলে ব্যাবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস । পায়ের ফাটা দাগ সারাতে এটি চমকপ্রদ। সাধারণত শীতের সময় পায়ের গোড়ালি ফাটে। ক্ষতস্থানে কয়েক ফোঁটা ঘৃতকুমারীর রস মৃদৃভাবে ম্যাসাজ করুন। দারুন ফল পাবেন।
ঠোঁটের যত্মে ঘৃতকুমারী বেশ কার্যকরী। ঘুমানোর আগে ঠোঁটে কয়েক ফোঁটা ঘৃতকুমারীর রস লাগান। ঠোঁট নরম ও উজ্জ্বল হবে। ঘৃতকুমারীর ব্যবহার ত্বককে রোদে পুড়ে যাওয়া ও ব্রুন থেকে রক্ষা করে। সেই সাথে পানির ভারসাম্য রক্ষা করে ত্বককে করে লাবন্যময়।
নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস পানে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ হয়। ফলে পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। রক্তের শ্বেত কণিকা গঠন করে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে ঘৃতকুমারী। এ ছাড়া দাঁতের মাড়ি স্বাস্থ্য সবল রাখে। ডায়রিয়াতেও ঘৃতকুমারীর রস দারুণ কাজ করে। নিয়মিত এ রস সেবন শরীরের শক্তি যোগানসহ ওজনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫২:৪৭ ৫৮১ বার পঠিত