শনিবার, ২ এপ্রিল ২০১৬

বিশ্বজুড়ে রেকর্ড পরিমাণ অবৈধ খাদ্য জব্দ

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » বিশ্বজুড়ে রেকর্ড পরিমাণ অবৈধ খাদ্য জব্দ
শনিবার, ২ এপ্রিল ২০১৬



foods20160331121843.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিযানে তিনমাসে বানরের মাংসসহ বিপুল পরিমাণ নানা রকমের অবৈধ খাদ্য ও পানীয় জব্দ করেছে ৫৭টি দেশের পুলিশ। এর পরিমাণ ১০ হাজার টনেরও বেশি, বলছে ইউরোপীয় পুলিশ এজেন্সি ইউরোপোল।এসব অভিযানে যে পরিমাণ ভুয়া অ্যালকোহল জব্দ করা হয়েছে, তা দিয়ে ১২ হাজার স্নানাগার ভরে ফেলা যাবে। এর মধ্যে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যেই ১০ হাজার লিটার ভেজাল মদ জব্দ করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পুলিশ সংস্থাটি।

ইতালি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ৮৫ টন জলপাই উদ্ধার করেছে, সবুজ দেখাতে যেগুলোর ওপর কপার সালফেটের প্রলেপ দেওয়া ছিল।

গত পাঁচ বছর ধরে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার (ইন্টারপোল) সঙ্গে একযোগে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে আসছে ইউরোপোল। সর্বশেষ ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চম দফায় অভিযানটি পরিচালিত হয়।

ইউরোপোল জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে ভেজাল খাবারের যে বাজার গড়ে উঠেছে, তাতে শত কোটি ডলার বিনিয়োগ হচ্ছে। কৃত্রিম খাদ্য সংকট তৈরি করে ভেজালমুক্ত খাবারের মূল্যবৃদ্ধিও এই বিনিয়োগকারীদের কারসাজিতেই ঘটে থাকে।

অভিযানের অংশ হিসেবে বেলজিয়ামে জাভেনতেম বিমানবন্দর থেকে কয়েক কেজি বানরের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া সুদানের রাজধানী খার্তুমে নয় টন সারমিশ্রিত চিনি জব্দ করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় ফরমালডিহাইড মিশ্রিত ৭০ কেজি মুরগির অন্ত্র ও গ্রিসে তিনটি ভেজাল মদের কারখানাও জব্দ করা হয়েছে।

ইউরোপোল আরো জানিয়েছে, এই তিন মাসে ফরাসি পুলিশ ১১ কেজি বড় আকৃতির বিষাক্ত ফড়িং ও ২০ কেজি শুঁয়োপোকা জব্দ করে ধ্বংস করেছে। এগুলো ফ্রান্সের বিমানবন্দরগুলো থেকে জব্দ করা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় জব্দ করা হয়েছে সাড়ে চারশ কেজি ভেজাল মধু। বলিভিয়ার পুলিশ একটি গুদামে হাজারের বেশি সার্ডিন মাছের ক্যান জব্দ করেছে, যেগুলোর গায়ে বিখ্যাত পেরুভিয়ান ব্র্যান্ডের লেভেল সংযুক্ত ছিল।

পুলিশ সংস্থাটি জানায়, হাঙ্গেরি কর্তৃপক্ষ দুই টনেরও বেশি হাঁসের মাংস জব্দ করেছে। থাইল্যান্ড পুলিশ ভারত থেকে পাচারকৃত বিপুল পরিমাণ অবৈধ খাদ্যপণ্য জব্দ করেছে, যার মধ্যে ৩০ টনেরও বেশি মানুষের খাবার অনুপযোগী। দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে, যিনি অনলাইনে সম্পূরক খাবারের নামে ক্ষতিকর উপাদানের পণ্য বিক্রি করছিলেন।

ইউরোপোল জানিয়েছে, শুধুমাত্র ওজন কমানোর ভেজাল পণ্য বিক্রি করেই গত ১০ মাসে ইউরোপ থেকে কালোবাজারিরা হাতিয়ে নিয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ডলার (৭৮.৩৮ টাকায় ডলার হিসেবে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা)।

বাংলাদেশ সময়: ৯:৩৭:০৫   ৩৩৪ বার পঠিত