বুধবার, ৩০ মার্চ ২০১৬
রিজার্ভ চুরির ‘আংশিক’ ফেরতের সম্ভাবনা
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » রিজার্ভ চুরির ‘আংশিক’ ফেরতের সম্ভাবনাবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ফেরত দিতে সম্মত হয়েছেনে এ ঘটনার মূল হোতা ব্যবসায়ী কিম ওয়ং । অর্থ চুরির ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ফিলিপাইনের সিনেট কমিটির শুনানিতে হাজির হয়ে তিনি এ কথা বলেন। সিনেট কমিটির শুনানিতে বলা হয়েছে, ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে ৬৯ লাখ ডলার স্থানীয় একটি ক্যাসিনোর হিসাবে রয়েছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব।ওয়াং শুনানিতে কোথায় কোথায় চুরি যাওয়া অর্থ এখনো খানিকটা রয়েছে তার ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার সোলেয়া ক্যাসিনো রিসোর্টসের জাঙ্কেট হিসাবে এখনো রয়েছে যা উদ্ধার করা সম্ভব।এছাড়া ৮ লাখ ৬৩ হাজার ডলার এখনো তার কোম্পানি ইস্টার্ন হাওয়াই লেইজার কোম্পানির মাইডাস হোটেল কেসিনোর হিসাবে রয়েছে।এছাড়া আরো বেশ কিছু তথ্য দেন শুনানিতে।রিজাল ব্যাংকের জুপিটার মাকাতি শাখার ছয়টি সন্দেহভাজন হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার প্রথম জমা হয়।পরে তা নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।বলা হচ্ছে, এসব অর্থ ব্যংক ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে যাওয়ায় চুরি যাওয়া এই অর্থ ফেরত পাওয়া কঠিন।ঠিক এই অবস্থায় তিনি চুরির আংশিক অর্থ ফেরত দেয়ার কথা বললেন।সব মিলিয়ে এর পরিমাণ দুই কোটি ডলারের ওপর হবে বলে ফিলিপাইনের ইনকোয়ারার পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে।
আজ শুনানিতে সন্দেহভাজন মূল হোতা ওয়ং দাবি করেন, সোলেয়া ক্যাসিনো রিসোর্টস হোটেলের হিসাবে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার আছে। তিনি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে ওই অর্থ ফেরত দিতে চান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এখানে উপস্থিত আছেন। তিনি একটি মাধ্যম হতে পারেন। তাঁর মাধ্যমে আমরা অর্থ দিতে পারি।’ তবে তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
এটিকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন ব্লু রিবন কমিটির প্রধান তিওফেস্তো গুইনগোনা।
ওয়ং রিজেল ব্যাংকের জুপিটার মাকাতি শাখার ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতোর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। অর্থ চুরির ঘটনার সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। তিনি আগেই সিনেট শুনানির মুখোমুখি হয়েছিলেন। এ ছাড়া ওয়ং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন, এমন দুই সন্দেহভাজনের নাম উল্লেখ করেন। তাঁরা হলেন সুয়া হুয়া গাও ও দিং। তাঁর দাবি, ‘যেসব রাঘব-বোয়াল এই অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এই দুজনও আছেন।’
শুনানিতে ওয়ং দাবি করেন, ‘ভুয়া কাগজপত্র করার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এসব ভুয়া কাগজপত্র করেছেন মায়া। আর অর্থ কীভাবে তুলতে হবে, তার যাবতীয় কাজ তিনিই করেছেন।’
প্রসঙ্গত, অর্থ চুরির ঘটনায় মায়ার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলে রিজাল ব্যাংক তাঁকে বরখাস্ত করে। তিনি ১৭ মার্চের শুনানিতে ওয়ংয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৬:৩০ ৩৫৯ বার পঠিত