সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
‘যেন হাওয়ায় ভাসছিলাম’
Home Page » বিনোদন » ‘যেন হাওয়ায় ভাসছিলাম’বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ২০০৭ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে অভিনয়ে নাম লেখান বিদ্যা সিনহা মিম। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনচিত্রেও দেখা গেছে তাঁর সরব উপস্থিতি। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘আমার আছে জল’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক ঘটেছিল তাঁর। শুরুর দিকে টিভি নাটকে অভিনয় করলেও ইদানীং চলচ্চিত্র নিয়েই তাঁর যত ব্যস্ততা। অবশ্য চলচ্চিত্রও তাঁকে নিরাশ করেনি। ২০১৪ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নেন তিনি। অভিনয়জীবনের তিন নম্বর ছবিতে কাজ করেই এ পুরস্কার পেয়েছেন মিম। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতিসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে প্রথম আলোর প্রতিনিধি মনজুর কাদেরের সঙ্গে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার খবরটি জানার পর কেমন লেগেছে?
শুরুতে তো আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না। পরে যখন সবাই ফোনে, এসএমএসে আর ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানাতে থাকল, তখন যেন হাওয়ায় ভাসছিলাম। সাত বছর আগে যেদিন লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হই, ঠিক যেন সেদিনের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। চলচ্চিত্রে একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায়ের এ পুরস্কারে আমি অনেক অনেক খুশি। এ আনন্দ বলে বোঝাতে পারব না।
সেই আনন্দটা কেমন?
লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার আগে আমি ছিলাম খুব সাধারণ একজন মেয়ে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পরিচিতজনেরা তো বটেই, অপরিচিত মানুষেরাও আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা আমার চলার পথে আশীর্বাদ হয়েই ছিল। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার খবর শুনেও সবাই একইভাবে আমাকে শুভেচ্ছায় সিক্ত করেছেন। বাসা ফুলের তোড়ায় ভরে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবার কাছ থেকে পাওয়া এমন ভালোবাসায় আমি গর্বিত ও সম্মানিত।
আপনি কি ভেবেছিলেন ‘জোনাকীর আলো’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবেন?
‘আমার আছে জল’ ছবিতে অভিনয়ের সময়ই হুমায়ূন আহমেদ স্যার আমাকে বলেছিলেন, ছবিটির জন্য আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাব। কিছুটা স্বপ্ন দেখার শুরুও হয়। তবে প্রথম ছবিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার না পেলেও মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ঠিকই পেয়েছিলাম। এতে কিছুটা হলেও স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। এবার ‘জোনাকীর আলো’ ছবিতে অভিনয় করার সময়েও একই কথা বলেছিলেন পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু। চার বছর বিরতির পর আমি ছবির কাজ শুরু করি। আর তাই পুরস্কারের বিষয়টি নিয়ে আমি খুব একটা মাথা ঘামাইনি। মন দিয়ে কাজ করে গেছি।
তিনটি ছবির মধ্যে কোনটিতে পুরস্কার পেলে বেশি ভালো লাগত?
দিন দিন মানুষের অভিজ্ঞতা বাড়ে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমিও এখন অনেক বেশি পরিণত হয়েছি। আমার প্রাণের প্রিয় ছবিতে অভিনয়ের চার বছর পর আমি নতুন করে ছবির কাজ শুরু করি। এই সময়টাতে আমি অনেক নাটকে অভিনয় করেছি। অনেক গুণী শিল্পীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। অভিনয় ব্যাপারটি আরও অনেক ভালো করে রপ্ত করেছি। সেই হিসেবে বলতে পারি, এখন পাওয়াটাই ঠিক আছে।
আপনার চারপাশে খুব শব্দ শোনা যাচ্ছে…
আমি এখন বিমানবন্দরে। সিলেট যাচ্ছি। সেখানে ‘দাগ’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেব।
আপনি না সিলেটে ছিলেন?
ঠিকই বলেছেন। দুদিন আমার অংশের শুটিং ছিল না। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের খবরটি পাওয়ার পর মনটা ঢাকায় ফেরার জন্য ছটফট করছিল। তাই ছুটি পেয়ে ঢাকায় চলে আসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪০:৩২ ১৫৩৭ বার পঠিত