বুধবার, ২৯ মে ২০১৩

“ঢামেকের জরুরি বিভাগ ভাঙচুর”

Home Page » সংবাদ শিরোনাম » “ঢামেকের জরুরি বিভাগ ভাঙচুর”
বুধবার, ২৯ মে ২০১৩



dmc12bg20130528174659.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ  ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রকে মারধর করার ঘটনায় জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালায় ঢামেক ছাত্ররা। এসময় হাসপাতালে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।মঙ্গলবার দিনগত রাত পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী মাহবুব বাংলানিউজকে জানান, ৩০১ নং ওয়ার্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুই ছাত্র রোগী ভর্তি করতে আসে। এসময় বাবু নামে এক কর্মচারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে  বাবুসহ আরও তিন-চারজন কর্মচারী মিলে মেডিকেলের ছাত্রকে মারধর করে আটকে রাখে।

এরপর এ ছাত্ররা অন্য ছাত্রদের খবর দিলে তারা এসে মেডিকেলের মূল ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এদিকে তাদের আসার খবর শুনে পালিয়ে যায়  কর্চারীরা।

এসময় ছাত্ররা তাদের হাতে থাকা লাঠি, লোহার রড, ক্রিকেট খেলার ব্যাট, স্ট্যাম্প দিয়ে জরুরি বিভাগের বিভিন্ন কক্ষের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে।

এসময় হাসপাতারের রোগী ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে শাহবাগ থানা পুলিশের একটি দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এঘটনার পর ঢামেকের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ওই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, “কর্মচারীদের সঙ্গে ছাত্রদের কথা কাটাকাটির এক পর্ায়ে কিছু কর্মচারী ছাত্রদের মারধর করে।পরে ছাত্ররা এখানে এসে ভাঙচুর চালায়।”

ঘটনার পরপরই হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবদুল গফুর হাসপাতালে আসেন এবং ডাক্তারসহ কর্কর্াদের সঙ্গে বৈঠকে বসের।

বৈঠক শেষে ঢামেকের আবাসিক সার্ন ডা. হরিদাশ সাহা প্রতাপ সাংবাদিকদের বলেন, “এবিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। জরুরি বিভাগে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, তা থেকে ফুটেজ দেখে দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে।”

এদিকে এ ঘটনার সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ফটো সাংবাদিক সঞ্জিবের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় ছাত্ররা।

বাংলাদেশ সময়: ৭:৫৬:৫৪   ৪৪৮ বার পঠিত